ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট : গাজীপুরের পুলিশ এখন ভয়ঙ্কর আতঙ্কের নাম- এমন অভিযোগ করে জেলা পুলিশ সুপারকে (এসপি) দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি করেছে বিএনপি। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমরা শুরু থেকে গাজীপুরের এসপি হারুন অর রশিদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ব্যাপারে নির্বিকার। আমি অবিলম্বে গাজীপুরের এসপি হারুনের প্রত্যাহার দাবি করছি।’ একই সঙ্গে আবারও দুই সিটির নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, দলীয়করণের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আওয়ামী লীগ যেভাবে নষ্ট করে ফেলছে, তাতে তাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকরাও বলেছেন, দলীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়। তাই নির্বাচনের সাত দিন আগে দুই সিটিতে সেনা মোতায়েনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, তৈমুর আলম খন্দকার, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম উপস্থিত ছিলেন।
দুই সিটিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিপীড়ন-নির্যাতন চলছে দাবি করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হচ্ছে, এমনকি নেতাকর্মীদের বিনা কারণে গ্রেফতার করছে পুলিশ। দু’দিন আগে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণাকালে গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ এসএম সানাউল্লাহসহ ৪৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেও দুই সিটিতে ক্ষমতাসীনদের বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি। সন্ত্রাসীরা এলাকায় এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে কালো টাকা ছড়ানো এবং প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ইসিতে জমা দেয়া হলেও নির্বাচন কমিশন নীরব ভূমিকা পালন করছে। ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে রিজভী বলেন, শনিবার গাজীপুরের মৌচাকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এক নির্বাচনী যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, বাহাউদ্দিন নাসিম, আহমদ হোসেন এবং গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীরকে বিজয়ী করতে আহ্বান জানান, যা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। রিজভী বলেন, বিভিন্নভাবে ব্যর্থ হওয়ার পর এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নানা অপপ্রচারের জন্য সেল খোলা হয়েছে। একটি বিশেষ কক্ষ খোলা হয়েছে।