ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট: চাকরীতে কোটা সংস্কার বাতিল করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো ধরনের ক্ষোভ থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। ছাত্ররা কোটা ব্যবস্থা বাতিল চেয়েছে, বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সেটা নিয়ে এখন প্রশ্ন আনার দরকার কী?
সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে বুধবার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কোটা সংস্কার ছাত্রদের বিষয় না, এটা সরকারের নীতিনির্ধারণী বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্ররা দাবি করেছে, সেটি মেনে নেয়া হয়েছে। এখন হা-হুতাশের কী আছে?
শেখ হাসিনা বলেন, জেলা কোটা না থাকার ফলে আন্দোলনকারীরা চাকরি না পেলে কোনো অভিযোগ করতে পারবে না, কারণ আন্দোলনের সময় অনেকের ছবি সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
কোটা সংস্কারের আন্দোলনের পেছনে কারা রয়েছে, তাদের পরিচয় খুঁজে বের করতে বলেন শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে কমনওয়েলথ সম্মেলনে অংশ নেয়ার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সম্মেলনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
তিনি বলেন, সেখানে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এই সফরকে আমার সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করি।
সফরে নরেন্দ্র মোদি, জাস্টিন ট্রুডোসহ বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিশ্ব সম্প্রদায়। এছাড়া বিশ্বদরবারে অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা তুলে ধরা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা আমাদের দেশে এসেছেন, তাদের মনোভাব অত্যন্ত ইতিবাচক, তারাও চান মিয়ানমার থেকে যে ১১ লাখ মানুষ এসেছে, তারা সেখানে ফিরে যাক।
ছাত্রলীগের আসন্ন সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব গঠনে নির্বাচনের নিয়ম আছে। সে জন্য প্রার্থীদের আবেদন নেয়া হয়েছে। প্রথমে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়, সেটা না হলে নির্বাচন হয়। সমঝোতা হয়ে গেলে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে তা ঘোষণা করা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে কবে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেকের বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। নিশ্চয়ই আমরা তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসব।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা অনেক দেশ থেকে এ ধরনের আসামি নিয়ে আসি। সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেকের বিষয়েও আমরা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি।
তারেককে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন করায় বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে তারা চেয়ারপারসন করল। বিএনপি নাকি সবচেয়ে বড়, জনপ্রিয় দল, তাদের দলে কি একজন যোগ্য লোকও নেই? এ ধরনের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে তারা চেয়ারপারসন করে? এ ধরনের রাজনৈতিক দেউলিয়া দল আর নেই।’
উল্লেখ্য, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে গত মাসের ১৫ তারিখে দুদিনের সফরে সৌদি আরব যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে ‘গালফ শিল্ড-১ নামে একটি যৌথ সামরিক মহড়ার কুচকাওয়াজ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
এরপর সেখান থেকে কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের বৈঠকে (সিএইচওজিএম) যোগ দিতে যুক্তরাজ্য যান প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে আট দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ২৩ এপ্রিল দেশে ফেরেন তিনি।
এর তিন দিন পর ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘গ্লোবাল সামিট অন উইমেন’ সম্মেলনে যোগ দিতে অস্ট্রেলিয়া যান।
এই সম্মেলনে নারী নেতৃত্বে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়।
তিন দিনের অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে রোববার মধ্যরাতে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে বিশ্ব সম্প্রদায়: প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন রয়েছে।
সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে বুধবার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে কমনওয়েলথ সম্মেলনে অংশ নেয়ার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সম্মেলনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
তিনি বলেন, সেখানে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এই সফরকে আমার সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করি।
সফরে নরেন্দ্র মোদি, জাস্টিন ট্রুডোসহ বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিশ্ব সম্প্রদায়। এছাড়া বিশ্বদরবারে অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা তুলে ধরা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা আমাদের দেশে এসেছেন, তাদের মনোভাব অত্যন্ত ইতিবাচক, তারাও চান মিয়ানমার থেকে যে ১১ লাখ মানুষ এসেছে, তারা সেখানে ফিরে যাক।
চাকরীতে কোটা সংস্কার বাতিল করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো ধরনের ক্ষোভ থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। কোটা নিয়ে কোনো আলোচনা বা নতুন করে বিবেচনার সুযোগ নেই।
ছাত্রলীগের আসন্ন সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব গঠনে নির্বাচনের নিয়ম আছে। সেজন্য প্রার্থীদের আবেদন নেওয়া হয়েছে। প্রথমে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়, সেটা না হলে নির্বাচন হয়। সমঝোতা হয়ে গেলে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে তা ঘোষণা করা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে কবে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেকের বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। নিশ্চয়ই আমরা তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা অনেক দেশ থেকে এ ধরনের আসামি নিয়ে আসি। সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেকের বিষয়েও আমরা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। নিশ্চয়ই আমরা তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো।
তারেককে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন করায় বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে তারা চেয়ারপারসন করলো। বিএনপি নাকি সবচেয়ে বড়, জনপ্রিয় দল, তাদের দলে কি একজন যোগ্য লোকও নেই? এ ধরনের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে তারা চেয়ারপারসন করে? এ ধরনের রাজনৈতিক দেউলিয়া দল আর নেই।’
উল্লেখ্য, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে গত মাসের ১৫ তারিখে দুদিনের সফরে সৌদি আরব যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে ‘গালফ শিল্ড-১ নামে একটি যৌথ সামরিক মহড়ার কুচকাওয়াজ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
এরপর সেখান থেকে কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের বৈঠকে (সিএইচওজিএম) যোগ দিতে যুক্তরাজ্য যান প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে আট দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ২৩ এপ্রিল দেশে ফিরেন তিনি।
এর তিন দিন পর ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘গ্লোবাল সামিট অন ওমেন’ সম্মেলনে যোগ দিতে অস্ট্রেলিয়া যান।
এই সম্মেলনে নারী নেতৃত্বে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়।
তিন দিনের অস্ট্রেলিয়া সফর শেষে রোববার মধ্যরাতে দেশে ফিরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।