কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার সুযোগ নেই: হানিফ

নিজস্ব প্রতিনিধি  ঢাকা: এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার দায়ে খালদা জিয়া কারাবরণ করেছেন। তাকে মুক্ত করার কোনো সুযোগ নেই। মুক্ত করতে হলে একমাত্র আইনিভাবে লড়াই করে মুক্ত করতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ এমপি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত মে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। মো. সামসুল আলম বকুলের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল ইসলাম, শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মন্টু।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমার এমন বক্তব্যে বিএনপি নেতারা গোসসা করেছেন। এতে গোসসা হওয়ার কী আছে? এটাই তো বাস্তবতা।’

আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিশ্বের নানা জরিপে ওঠে এসেছে শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় নেতা, আওয়ামী লীগ জনপ্রিয় দল। তাহলে বাংলার জনগণ শেখ হাসিনাকে ভোট না দিয়ে কি দুর্নীতিবাজ ও এতিমের টাকা আত্মতাৎকারী নেত্রীকে ভোট দেবে?’।

গত ২৫ এপ্রিল রাজধানীতে এক আলোচনায় হানিফ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দুর্নীতি-হত্যার রাজনীতি এ দেশের জনগণ আর চায় না। জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন জীবিত আছেন, ততদিন পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকবে, জননেত্রী শেখ হাসিনা ততদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।’

হানিফের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে বিএনপির পক্ষ থেকে। দলের নেতারা বলছেন, এই বক্তব্য গণতান্ত্রিক নয়। জবাবে হানিফ বলেন, ‘কে আছে শেখ হাসিনা ছাড়া? শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা যতদিন জীবিত আছেন, বাংলার মানুষ বার বার ভোট দিয়ে তাকে ক্ষমতায় আনবে। এতে গোসসা হওয়ার কী আছে?’

মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, আইনি লড়াই ছাড়া কোনো ভাবেই মুক্ত করা সম্ভব না। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও জনগণকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে খালেদা জিয়াকে জেলে থেকে মুক্ত করা যাবে না। বিএনপি খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে আসবে কি না একান্ত বিএনপির অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে এ নিয়ে আওয়ামী লীগ মাথা ঘামায় না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচনে জয় পরাজয় মেনে নেয়ার মত মানসিকতা নেই। হুমকি-ধামকি দিয়ে নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো সুযোগ নেই। সংবিধানের বাইরে কোন নির্বাচন হবে না। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিবিনি খেলে। তাই জনগণ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাদের মধ্যে একজনও সত নেতা নাই। তাই একজন সন্ত্রাসী দুর্নীতিবাজ এবং জেলের আসামিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানিয়েছে।

খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি অতীতের মতো মিথ্যাচার করছে অভিযোগ করে হানিফ বলেন, ‘তারা বলছে, পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় করছে। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে আগে থেকে অভিযোগ আছে, যারা আসামি, তাদের নির্বাচনে কাজ করার সুযোগ নেই।’

হানিফ বলেন, ‘আপনারা নির্বাচনের দোহাই দিয়ে দাগী আসামিদের আবারও নির্বাচনী মাঠে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে সেটা করতে দেয়া হবে না। তাদের দেখা মাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনের আওতায় আনবে। আমাদের কাছে খবর আছে, বিএনপি বরিশালের কিছু দাগী আসামি খুলনায় নিয়ে এসেছে নির্বাচনী কাজের জন্য। গাজীপুরেও কিছু আসামিকে নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব, এদের দেখা মাত্র ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো আসামির নির্বাচনী কাজে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই।’

Check Also

ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নদীসহ ৪ জন কারাগারে

নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শামসুন্নাহার হল শাখার সাবেক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।