ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট: সাতক্ষীরায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশের হার ৭৬ দশমিক ৯৯। যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, সাতক্ষীরা জেলার ২৯৮টি বিদ্যালয়ের ১৯ হাজার ৯৪৪ জন শিক্ষার্থী ২০১৮ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৩৫৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। উত্তীর্ণ ছেলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ৭১৮ এবং মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ৬৩৬। প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এ বছরও জেলার শীর্ষে রয়েছে। এ বিদ্যালয়ের ২৪৬জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এ প্লাস পেয়েছে ১০৪জন, এ গ্রেড ১১৫জন, এ মাইনাস ১৪জন, বি ৬জন। এছাড়া ফেল করেছে ৭জন শিক্ষার্থী।
গত বছরের চেয়ে এ বছর পাশের হার কমেছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা শহরের দুটি সরকারি স্কুলে ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। পরীক্ষার মাধ্যমে বাছাই করা ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করা হয় এ দুটি স্কুলে। সেখানে দুটি স্কুলে এবার ফেল করেছে ১৭ জন শিক্ষার্থী। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটাই বড় ফলাফল বিপর্যয়।
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬১। এরমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ২৫১ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ১০ জন। এর মধ্যে এ প্লাস পেয়েছে ৮৮ জন, এ গ্রেড ১৩২ জন, এ মাইনাস পেয়েছে ২১ জন এবং বি গ্রেড পেয়েছে ১০ জন। এব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গত বছরে তুলনায় এবছর বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল অনেক খারাপ হয়েছে। আগামী যাতে শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল করতে পারে সে বিষয় সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪৬ জন। এরমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ২৩৯ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৭জন। এর মধ্যে এ প্লাস পেয়েছে ১০৪ জন, এ গ্রেড পেয়েছে ১১৫ জন, এ মাইনাস পেয়েছে ১৪ জন, বি গ্রেড পেয়েছে ৬ জন।
সাতক্ষীরা নবারুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়: সাতক্ষীরা নবারুন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯১ জন। এর মধ্যে এ প্লাস পেয়েছে ৫ জন, এ গ্রেড পেয়েছে ৫৮ জন, এ মাইনাস পেয়েছে ১৪ জন, বি গ্রেড পেয়েছে ১১ জন, সি গ্রেড পেয়েছে ১ জন। ফেল করেছে ২ জন।
চেউটিয়া এজেএস দাখিল মাদ্রাসা: চেউটিয়া এজেএস দাখিল মাদ্রাসায় এবারের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষাথীর সংখ্যা ২০ জন। এরমধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ১৩ জন, এ মাইনাস পেয়েছে ৬ জন, বি গ্রেড পেয়েছে ১ জন।
শ্যামনগরে এসএসসিতে পাশের হার এসএসসিতে ৮৪ ও দাখিলে ৯০
সুন্দরবনাঞ্চল (শ্যামনগর) প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলায় এসএসসিতে পাশের হার ৮৪.৭৭ ভাগ ও দাখিল পরীক্ষায় ৯০ভাগ। এসএসসিতে এ প্লাস প্রাপ্ত মোট ১০৮ জন ও দাখিলে ১৭ জন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মিনা হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলার এসএসসিতে মোট ৩৯টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৬৮৬ জন। এরমধ্যে পাশ করেছে ২২৭৭ জন। এ প্লাস প্রাপ্ত মোট ১০৮জন। সর্বোচচ এ প্লাস প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ প্লাস প্রাপ্ত সংখ্যা ২১জন। দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। এ প্লাস প্রাপ্ত সংখ্যা ১৪ জন। উপজেলায় এ পেয়েছে ৬১৬ জন, এ মাইনাস পেয়েছে ৫৫২, বি-৫৯১, সি গ্রেডে ৩৯৬ ও ডি গ্রেডে ৪জন। পাশ করেনি ৪০৯ জন। মাদ্রাসা পর্যায়ে দাখিলে ৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১১০৩ জন, পাশ করেছে ৯৯২ জন। ফেল করেছে ১১১জন। এ প্লাস প্রাপ্ত সংখ্যা ১৭জন। মাদ্রাসা পর্যায়ে এ পেয়েছে ৫৫৭ জন, এ মাইনাস পেয়েছে ৩১৬ জন, বি গ্রেডে ৮৬, সি গ্রেডে ১৬। সর্বোচ্চ এ প্লাস প্রাপ্ত পাশের প্রতিষ্ঠান পাতাখালী ফাযিল মাদ্রাসা। এ প্লাস প্রাপ্তের সংখ্যা ৪ জন।
ধুলিহর ও ব্রহ্মরাজপুর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা) ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা থেকে ৪৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্য থেকে গোল্ডেন এ প্লাস ১জন, এ ২৮ জন, এ মাইনাস ১১ জন ও বি গ্রেডে ৬ জন পাশ করেছে। ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৯৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্য থেকে এ প্লাস ১ জন, এ গ্রেড ২১ জন, এ মাইনাস ২২জন, বি গ্রেড ২৭ জন, সি গ্রেডে ১৩জন। মোট ৮৪ জন পাশ করেছে।
ডিবি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে এ গ্রেডে ১জন, এ মাইনাস গ্রেডে ৭জন, বি গ্রেডে ৭জন ও সি গ্রেডে ৭জন। মোট ২২জন পাশ করেছে।
পল্লী উন্নয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়(নেহালপুর) থেকে এ গ্রেডে ১৪ জন, এ মাইনাস ১৭ জন, বি গ্রেডে ১৩ জন ও সি গ্রেডে ৬ জন। মোট ৫০ জন পাশ করেছে।
ডিবি ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১০৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এরমধ্যে থেকে এ প্লাস ৮ জন, এ গ্রেডে ৩৩ জন, এ মাইনাস ২০ জন, বি গ্রেডে ২১ জন, সি গ্রেডে ১৫ জন। মোট ৯৭ জন পাশ করেছে।
আলিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়: আলিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শতভাগ পাশ করেছে। ১২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জন এ প্লাস, ৫২ জন এ গ্রেড, ৪৬ জন এ মাইনাস, ১২ জন বি গ্রেড এবং ৩ জন সি গ্রেডে পাশ করেছে।
সাতক্ষীরা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সাফল্য
সাতক্ষীরা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি পরীক্ষীয় প্রথমবার অংশ গ্রহন করে এ প্লাসসহ শতভাগ কৃতকার্য হয়েছে। এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ জন। এর মধ্যে এ প্লাস পেয়েছে ১ জন, এ গ্রেড ৮ জন এবং এ মাইনাস পেয়েছে ১ জন। স্কুলের এ সাফল্যে জন্য অধ্যক্ষ নাছিমা খাতুন সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
আশাশুনিতে এ প্লাস পেয়েছে ৬৮ জন
আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনির ৪৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৬টি বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ২১৯৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ১৬৫১ জন কৃতকার্য হয়েছে। যার মধ্যে এ প্লাস পেয়েছে ৬৮ জন। জানা গেছে, আশাশুনি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ১৩৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ১১০ জন। যার মধ্যে এ প্লাস ৯, এ ৪৩, এ মাইনাস ২৯, বি ১৮ ও সি ১১ জন। বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুল হতে ১২৮ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ১২১ জন। যার মধ্যে এ প্লাস ১৮, এ ৫১, এ মাইনাস ৩১, বি ১৯ ও সি ২ জন। কুঁন্দুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ১০৪ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ১০০ জন। যার মধ্যে এ প্লাস ৩, এ ৪০, এ মাইনাস ৩৮, বি ১৩, সি ৬ জন। শ্রীউলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৯৫ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৮১ জন। যার মধ্যে এ প্লাস ২, এ ২৩, এ মাইনাস ২৪, বি ২৭ ও সি ৫ জন। বদরতলা হাইস্কুল হতে ৭৬ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৭৫ জন। যার মধ্যে এ প্লাস ৬, এ ৩২, এ মাইনাস ২৭, বি ৯, সি ১ জন। শরাফপুর হাইস্কুল হতে ৫৯ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৫৩ জন। যার মধ্যে এ প্লাস ৫, এ ২১, এ মাইনাস ১১, বি ১৪, সি ৩ জন। বুধহাটা বালিকা বিদ্যালয় হতে ১২ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৭ জন। যার মধ্যে এ ১, এ মাইনাস ২, সি ২ জন। চাপড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৬১ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৪৬ জন। যার মধ্যে এ ১৩, এ মাইনাস ১২, বি ১৩, সি ৮ জন। গুনাকরকাটি হাইস্কুল থেকে ৬৩ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৩৭ জন। যার মধ্যে এ ৭, এ মাইনাস ৯, বি ১৮, সি ১৩ জন। আগরদাড়ী হাইস্কুল থেকে ৫৭ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৪৭ জন। যার মধ্যে এ ১৩, এ মাইনাস ১২, বি ৬, সি ১৬ জন। মহিষাডাঙ্গা হাইস্কুল থেকে ৮০ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৬৩ জন। যার মধ্যে এ ১২, এ মাইনাস ২০, বি ১৫, সি ১৬ জন। গাবতলা হাইস্কুল থেকে ৫৫ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৪৬ জন। যার মধ্যে এ প্লাস ৫, এ ৭, এ মাইনাস ১০, বি ১৬, সি ৮ জন। মাড়িয়ালা হাইস্কুল হতে ১৭১ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ১২৪ জন। যার মধ্যে এ প্লাস ৭, এ ৩৩, এ মাইনাস ২৬, বি ২৮, সি ২৯, ডি ১ জন। প্রতাপনগর হাইস্কুল হতে ১০৪ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৮০ জন। যার মধ্যে এ প্লাস ২, এ ১৭, এ মাইনাস ১৪, বি ২৭, সি ২০ জন। পুইজালা হাইস্কুল হতে ৮০ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৬৩ জন। যার মধ্যে এ প্লাস ১, এ ১৮, এ মাইনাস ১৬, বি ১৫, সি ১৩ জন। বলাবাড়িয়া হাইস্কুল হতে ৭৮ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৫৫ জন। যার মধ্যে এ প্লাস ৪, এ ১৩, এ মাইনাস ১৪, বি ১৩, সি ১১ জন। বড়দল কলেজিয়েট স্কুল হতে ১৪৯ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৮৬ জন। যার মধ্যে এ প্লাস ১, এ ২০, এ মাইনাস ১৫, বি ১৭, সি ৪২, ডি ১। মিত্র তেতুলিয়া হাইস্কুল হতে ১১৭ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৭৪ জন। যার মধ্যে এ প্লাস ১, এ ২৩, এ মাইনাস ১৮, বি ২৫, সি ৭ জন। কাদাকাটি আরার হাইস্কুল হতে ১১২ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৭৯ জন। যার মধ্যে এ ১৭, এ মাইনাস ৩০, বি ২৫, সি ৭ জন। কাকবাসিয়া হাইস্কুল হতে ১০৮ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৮০ জন। যার মধ্যে এ প্লাস ২, এ ১৫, এ মাইনাস ১৯, বি ২৩, সি ২১ জন। বিছট নিউ মডেল হাইস্কুল হতে ১০৮ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৭৪ জন। যার মধ্যে এ ১১, এ মাইনাস ১৭, বি ২৯, সি ১৭ জন। কোদন্ডা হাইস্কুল হতে ৫৬ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৩৫ জন। যার মধ্যে এ ৭, এ মাইনাস ৭, বি ১২, সি ৯ জন। হাড়িভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ৫৪ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৩৭ জন। যার মধ্যে এ প্লাস ২, এ ১৬, এ মাইনাস ৯, বি ৮, সি ২ জন। কল্যাণপুর হাইস্কুল হতে ৯২ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৬১ জন। যার মধ্যে এ ১৭, এ মাইনাস ২১, বি ১২, সি ১১ জন। আশাশুনি বালিকা বিদ্যালয় হতে ২২ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ১১ জন। যার মধ্যে এ ৩, বি ৩, সি ৫ জন। কাকড়াবুনিয়া হাইস্কুল হতে ১৯ জন অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়েছে ৬ জন। যার মধ্যে এ ২, এ মাইনাস ১, সি ৩ জন। সর্বমোট আশাশুনি উপজেলায় ২৬টি স্কুলের ফলাফলে দেখা গেছে এ প্লাস ৬৮ জন, এ ৪৭৪ জন, এ মাইনাস ৪৩২ জন, বি ৪০৫ জন, সি ২৪৬ জন ও ডি ২ জন।