সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মিনি স্লুইচ গেট দখল করতে না পেরে যুবলীগ নেতাসহ চারজনের নামে মিথ্যে পাচার মামলা করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পানখালী(চুনা) গ্রামের মৃত শফির আলী গাজীর ছেলে যুবলীগ নেতা মোঃ আনিছুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বোনের নামীয় আবাদ চন্ডিপুর মৌজায় এক একর ১১ শতক জমি মাছের ঘের করার জন্য ২০১৭ সাল পর্যন্ত ডিড দেয়া ছিল। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে ঘেরটি ফেরত নিয়ে আমরা ব্যবসা শুরু করি। পাশ্ববর্তী কাশেম গাজীর ছেলে চোরাকারবারি শহিদ গাজী ওরফে ক্যান্সর শহিদ। ওই ঘেরে থাকা মিনি স্লুইচ গেটটি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন। কিন্তু দখল করতে না পেরে শহিদ গাজী আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই জের ধরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় শহিদ তার মামা শশুর জাহাবক্সকে ম্যানেজ করে তার মেয়ে শাহানারা বিবি অপহরণ হয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী আমার ও মেঝ ভাই হাফেজ মিজানুর রহমান, এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ এবং তার বোন তাহলিমার নামে একটি মিথ্যে অপহরণ মামলা দায়ের করে। অথচ আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি জাহাবক্সের মেয়ে কথিত অপহৃত শাহানারা বিবি বিগত ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ভারতের একটি কারাগারে অন্তরীন রয়েছে। যে মামলায় শাহানারা কারাগারে রয়েছে তার সার্টিফাই কপি আমরা সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে তুলে এনেছি।
যুবলীগ নেতা আনিছুর অভিযোগ করে বলেন, ভারত থেকে অবৈধভাবে নদী পথে চোরচালানি মালামাল পাচারকালে ২০০৯ সালে বিজিজি’র হাতে আটক হয় শহিদের ট্রলার। এঘটনায় বিজিবি তার নামে দু’টি চোরচালানি মামলা দায়ের করে। একই সময় শ্যামনগর থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা দায়ের হয়। এই হত্যা মামলা থেকে অব্যহতি পেতে ভারতে গিয়ে তার ক্যান্সার হয়েছে মর্মে একটি সার্টিফিকেট আনে। সেই থেকে তার নাম হয়েছে ক্যান্সর শহিদ। চোরাকারবারির মাধ্যমে শহিদ জিরো থেকে এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে। তার এই কালো টাকার প্রভাবে সে এলাকার সাধারন মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না।
তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য চোরাকারবারি শহিদের কথায় জাহাবক্স আমাদের নামে মিথ্যে অপহরণ মামলা করেছে। মিথ্যে মামলার আসামি হয়ে আমার এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ বর্তমানে পলাতক জীবন যাপন করছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার ভবিষ্যত শিক্ষা জীবন। তিনি মিথ্যে অপহরণ মামলার দায় থেকে কলেজ ছাত্র ভাগ্নেসহ সকলকে অব্যহতি প্রদান ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Check Also
তালায় ইউপি পরিষদ কক্ষে দুই সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন
তালা প্রতিনিধি তালার ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদে সাংবাদিক আক্তারুল ইসলাম ও আতাউর রহমানের ওপর সন্ত্রাসী রমজান আলী …