আবু সাইদ বিশ্বাসঃসাতক্ষীরাঃ নদী-খাল ভরাট ও বেদখল হওয়া, জলবায়ু পরির্বতে নেতিবাচক প্রভাব সহ জনবল সংকট সাতক্ষীরা জেলা মৎস অধিদপ্তর। মৎস্য খাদ্যো দাম বৃদ্ধি,চিংড়ি চাষীদের ভতুর্কি না দেয়া,স্টেকহোল্ডাদের কোন সংগঠন না থাকা ও আন্তরিকতার অভাবে জেলা মৎস্য শিল্প হুমকীর মুখে। পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় স্বাভাবিক কার্যক্রম চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জেলাতে ৮৪ টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছে মাত্র ৫২ জন । নেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও পর্যাপ্ত বরাদ্ধ ফলে উৎপান ব্যবস্থায় ধ্বস নামার আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জেলা মৎস অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এখানে ৮৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরপদ অনুমোদন রয়েছে। কর্মরত আছেন, মাত্র ৫২ জন। বাকি ৩২ পদে দীর্ঘদিন ধরে লোকবল না থাকায় কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। শূন্য পদ রয়েছে প্রথম শ্রেণীতে ১৩ জন,দ্বিতীয় শ্রেণীতে ২ জন,তৃতীয় শ্রেণীতে ৮ জন এবং চতৃর্থ শ্রেণীতে ৯ জন। প্রথম শ্রেণীতে ২৯ টি পদে কর্মরত আছে ১৬ জন, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৯টি পদে কর্মরত আছে ৭ জন, তৃতীয় শ্রেণীতে ২৫টি পদে কর্মরত আছে ১৭জন এবং চতুর্থ শ্রেণীতে ২১ট পদে কর্মরত আছে মাত্র ১২ জন। জেলা মৎস্য অধিদপ্তরে ১৭টি পদে ৬টি রয়েছে শূন্য। এমন অবস্থায় জেলার মৎস্য খাতের উন্নয়ন অনেটা হুমকীর মুখে।
জেলা চাহিদার তিনগুণ মৎস উৎপাদন করা হয় এখানে। জেলা মৎস অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে,জেলাতে বার্ষিক মাছের চাহিদা রয়েছে ৪২,২৯৩ মে:টন। অন্যদিকে মাছের উৎপাদন রয়েছে ১,৩১,৫১৬ মে:টন। ফলে প্রতিবছর জেলার চাহিদা মিটিয়ে ৮৯,২৬৮ মে:টন মাছ বাইরে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় জনবল না থাকায় উৎপাদনে ধ্বস নামতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
জেলা মৎস অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, ৫০ হাজার ১৮টি মৎস পুকুর রয়েছে জেলাতে। বাগদা চিংড়ির ঘের রয়েছে ৫৫ হাজার ১২২টি এবং গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে ১১ হাজার ৬৩৮টি । এসব ঘেরে নিবন্ধিত ৪৯ হাজার ২৩ জন জেলে এ পেশায় নিয়োজত। এছাড়া ৭৬ হাজার ৩৯৪ জন মৎস চাষী এ পেশায় কর্মরত। এছাড়া ৪৩টি নদী ,৪০৬টি খাল,৩২০৫ হেক্টর বিল, ৪৫০ হেক্টর বাওড়,৮০.৭৬ হেক্টও প্লাবন ভ’মি, ১৮ হাজার ২৮৮ হেক্টর নদীর মোহনা এবং সুন্দরবনের ৫৫৫২৪ হেক্টর এলাকাতে মৎস্য উৎস ধরা হয়।
জনবল সংকটের কারণে জেলাতে মৎস চাষে ও উৎপাদনে অপার সম্ভাবনাময় হওয়ার পরও মাঠ পর্যায়ে মৎসক্ষেত্রের যথাযত পর্যবেক্ষণ, মৎসচাষীদের পরামর্শ , প্রযুক্তিগত সেবা ও প্রশিক্ষণ প্রদান ব্যাহত হচ্ছে।
এই সম্পর্কে জেলা মৎস কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম সরদার বলেন, লোকবল সংকট ও আর্থিক বরাদ্ধ কম থাকার কারণে যথাযতভাবে কাজ সম্পাদন করতে সমস্যা পেতে হয়।এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে জেলা মৎস অধিদপ্তরে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। নতুন নিয়োগ হলে জনবল সংকট কমবে।