ক্রাইমবার্তারিপোট: দুই হাতভর্তি আম নিয়ে গত ৩ মে নিজের ফেসবুকে দুটি ছবি পোস্ট করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের ছেলে শেখ ওমর তৌফিক। ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘আম আর আম। আমের রাজ্যে পৃথিবী মোহ ময়। তবে আমের কথা আর নাহি লিখি। এবার আপনারা বলুন, কে কোন হাতের আম চান?’
সেই আম পাড়তে গিয়েই প্রাণ গেল তৌফিকের। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের একটি আমগাছ থেকে পড়ে আহত হন তিনি। বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
তৌফিকের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদদীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
তৌফিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই হলের জ্যেষ্ঠ আবাসিক শিক্ষক মাহামুদুল হাসান।
তৌফিকের বন্ধু হোসেন আলী জানান, মঙ্গলবার রাতে ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদসংলগ্ন একটি গাছে আম পাড়তে ওঠেন তৌফিক। এ সময় হঠাৎ পা পিছলে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা খারাপ দেখে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার দুপুরে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
তৌফিকের বন্ধু জানান, তৌফিক একা একা আম পাড়তেন না। সঙ্গে বন্ধুরাও থাকতেন। আম পাড়া শেষে সেগুলো হলের বড় ভাইদেরও দিতেন।
এ নিয়েও ৩ মে রাতে ফেসবুকে চারটি ছবিসহ আরেকটি পোস্ট দেন তৌফিক। সেখানে লিখেন, ‘মধ্যরাতে আম পাড়ার মজাই আলাদা। আজ সাতজন বন্ধু মিলে এক মণ প্লাস আম পেড়ে হলের সব ভাইদের দিয়েছি এবং অনেকে তাদের ইয়ে মানে ইয়েদের জন্য আম সংরক্ষণ করে রেখেছে। যদি তাদের ইয়ে মানে ইয়ে এই পোস্টটি পড়ে থাকেন, তবে আপনার প্রাপ্য আম চেয়ে নিতে ভুলবেন না!!!
Check Also
৩০ জুলাই পর্যন্ত অনেক দল সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, সংগ্রামে যুক্ত হবে কি না: সারজিস আলম
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, …