কারিগরি ত্রুটির কারণে সেটি পরবর্তীতে ৪টা ২২ মিনিটে নির্ধারণ করে ঘোষণা দেয়া হয় এসময়ের মধ্যে উৎক্ষেপন না হলে সেটি আর আজ উৎক্ষেপন হবে না। সবশেষে কারিগরি সমস্যার কারণে সেটি স্থগিত করা হয় বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উৎক্ষেপন আজকের মতো স্থগিত করা হয়েছে। রকেট ও পে লোড ভালোই আছে। ব্যাকআপ হিসেবে যে সুযোগ আছে সেটিকে কাজে লাগানো হবে।
তবে আগামীকাল একই সময়ে অর্থাৎ রাত ৪টার পর এটি আবার উড্ডয়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ উপলক্ষে এদিন কেনেডি স্পেস সেন্টারে ছিল বাংলাদেশের ৩০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এ ঐতিহাসিক ঘটনা নিজ চোখে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিরাও ছুটে আসেন ফ্লোরিডায়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজন করে নানা অনুষ্ঠান।
লঞ্চপ্যাডের সাড়ে তিন মাইল দূরে ছিল দর্শনার্থীদের বসার স্থান। এর ভিআইপি লাউঞ্জে এদিন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আর বাংলাদেশ দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তথ্যপ্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ইমরান আহমেদ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ প্রমুখ। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি কৃষিবিজ্ঞানী ড. সিদ্দিকুর রহমানসহ দলের নেতাকর্মীরাও ছিলেন দর্শনার্থী।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে গণমাধ্যমকর্মীরা নাসার গবেষণাস্থল কেনেডি স্পেস সেন্টারে ঢুকতে থাকেন। তবে নাসার কার্যক্রম শুরু হয় এর আগে সকাল ৭টা থেকে। সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য উৎক্ষেপণ দেখতে নির্ধারিত স্থান ছিল। তবে এর বাইরে কেনেডি সেন্টারের আশপাশে খোলা প্রান্তরে জড়ো হন বহু মানুষ।
ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠান উৎসবমুখর করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য থেকে দলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা ফ্লোরিডা আসেন। উৎক্ষেপণ উপলক্ষে কাল (আজ) কোকোয়া বিচ হোটেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস। সজীব ওয়াজেদ জয় সেখানে থাকবেন বলে আশা করছি।
সিদ্দিকুর আরও বলেন, দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান করছে। সকালে কেনেডি স্পেস সেন্টারের আশপাশে নেতাকর্মীরা আনন্দ র্যালি বের করেন। সন্ধ্যার পর থেকে ফ্লোরিডার আকাশজুড়ে আতশবাজির ঝলকানি দেখা যাবে। তিনি বলেন, ৯ মে থেকে কেনেডি স্পেস সেন্টারের পার্শ্ববর্তী হোটেলগুলোয় রুম খালি নেই। অভ্যন্তরীণ এয়ারলাইন্সগুলোয়ও আসন মিলছে না।
উৎক্ষেপণের আগে সকালে তারানা হালিম বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত। সবকিছু ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়েই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে বাংলায় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানটি লেখা রয়েছে। এ স্লোগান নিয়েই কক্ষপথের দিকে ছুটবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।’ তিনি বলেন, উৎক্ষেপণের জন্য বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সব ধরনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সব পরীক্ষার ফল ইতিবাচক। তবে এসব ক্ষেত্রে আবহাওয়া ও কারিগরি বিষয়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। বহু ঘটনা আছে, যেখানে কাউন্টডাউনের একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়েও উৎক্ষেপণ স্থগিত করতে হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়েই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কক্ষপথের দিকে রওনা হবে। স্পেসএক্স এবারই প্রথম উপগ্রহ উৎক্ষেপণে তাদের ফ্যালকন-৯ রকেটের ব্লক ৫ সংস্করণ ব্যবহার করতে যাচ্ছে। ৪ মে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে নতুন এই রকেটের স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট সম্পন্ন হয়। ৩ হাজার ৫০০ কেজি ওজনের জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ফ্যালকন-৯ কক্ষপথের দিকে ছুটবে কেনেডি স্পেস সেন্টারের ঐতিহাসিক লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯-এ থেকে। এখান থেকেই ১৯৬৯ সালে চন্দ্রাভিযানে রওনা হয়েছিল অ্যাপোলো-১১।
বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেছে, ফ্যালকন-৯ সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। রকেটের গায়ে উপরের অংশে সবুজ বর্গের ভেতরে আঁকা বাংলাদেশ সরকারের লোগো। উৎক্ষেপক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার ছবিও অঙ্কিত রয়েছে এতে। রকেটের গায়ে লেখা ফ্যালকন-৯, স্পেসএক্স।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মিত হয়েছে ফ্রান্সের তালিস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে। পরীক্ষা ও পর্যালোচনা শেষে বিশেষ কার্গো বিমানে সেটি লঞ্চ সাইটে আনা হয়। উৎক্ষেপণের জন্য প্রথমে ১৬ ডিসেম্বর তারিখ ঠিক করা হলেও হারিকেন আরমায় ফ্লোরিডায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়। এরপর কয়েক দফা সময় ঠিক হলেও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় সেসব তারিখও পেছানো হয়। সরকারের তথ্য মতে, বর্তমানে বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয় হয় বাংলাদেশের
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ উপলক্ষে এদিন কেনেডি স্পেস সেন্টারে ছিল বাংলাদেশের ৩০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এ ঐতিহাসিক ঘটনা নিজ চোখে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিরাও ছুটে আসেন ফ্লোরিডায়।
লঞ্চপ্যাডের সাড়ে তিন মাইল দূরে ছিল দর্শনার্থীদের বসার স্থান। এর ভিআইপি লাউঞ্জে এদিন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আর বাংলাদেশ দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তথ্যপ্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ইমরান আহমেদ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ প্রমুখ। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি কৃষিবিজ্ঞানী ড. সিদ্দিকুর রহমানসহ দলের নেতাকর্মীরাও ছিলেন দর্শনার্থী।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে গণমাধ্যমকর্মীরা নাসার গবেষণাস্থল কেনেডি স্পেস সেন্টারে ঢুকতে থাকেন। তবে নাসার কার্যক্রম শুরু হয় এর আগে সকাল ৭টা থেকে। সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য উৎক্ষেপণ দেখতে নির্ধারিত স্থান ছিল। তবে এর বাইরে কেনেডি সেন্টারের আশপাশে খোলা প্রান্তরে জড়ো হন বহু মানুষ।
ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠান উৎসবমুখর করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য থেকে দলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা ফ্লোরিডা আসেন। উৎক্ষেপণ উপলক্ষে কাল (আজ) কোকোয়া বিচ হোটেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস। সজীব ওয়াজেদ জয় সেখানে থাকবেন বলে আশা করছি।
সিদ্দিকুর আরও বলেন, দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান করছে। সকালে কেনেডি স্পেস সেন্টারের আশপাশে নেতাকর্মীরা আনন্দ র্যালি বের করেন। সন্ধ্যার পর থেকে ফ্লোরিডার আকাশজুড়ে আতশবাজির ঝলকানি দেখা যাবে। তিনি বলেন, ৯ মে থেকে কেনেডি স্পেস সেন্টারের পার্শ্ববর্তী হোটেলগুলোয় রুম খালি নেই। অভ্যন্তরীণ এয়ারলাইন্সগুলোয়ও আসন মিলছে না।
উৎক্ষেপণের আগে সকালে তারানা হালিম বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত। সবকিছু ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়েই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। আর জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি সক্ষমতা বাড়বে। বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। আয়ও হবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে বাংলায় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানটি লেখা রয়েছে। এ স্লোগান নিয়েই কক্ষপথের দিকে ছুটবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।’ তিনি বলেন, উৎক্ষেপণের জন্য বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সব ধরনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। সব পরীক্ষার ফল ইতিবাচক। তবে এসব ক্ষেত্রে আবহাওয়া ও কারিগরি বিষয়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। বহু ঘটনা আছে, যেখানে কাউন্টডাউনের একেবারে শেষপর্যায়ে গিয়েও উৎক্ষেপণ স্থগিত করতে হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়েই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কক্ষপথের দিকে রওনা হবে। স্পেসএক্স এবারই প্রথম উপগ্রহ উৎক্ষেপণে তাদের ফ্যালকন-৯ রকেটের ব্লক ৫ সংস্করণ ব্যবহার করতে যাচ্ছে। ৪ মে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে নতুন এই রকেটের স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট সম্পন্ন হয়। ৩ হাজার ৫০০ কেজি ওজনের জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ফ্যালকন-৯ কক্ষপথের দিকে ছুটবে কেনেডি স্পেস সেন্টারের ঐতিহাসিক লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯-এ থেকে। এখান থেকেই ১৯৬৯ সালে চন্দ্রাভিযানে রওনা হয়েছিল অ্যাপোলো-১১।
বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেছে, ফ্যালকন-৯ সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। রকেটের গায়ে উপরের অংশে সবুজ বর্গের ভেতরে আঁকা বাংলাদেশ সরকারের লোগো। উৎক্ষেপক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার ছবিও অঙ্কিত রয়েছে এতে। রকেটের গায়ে লেখা ফ্যালকন-৯, স্পেসএক্স। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মিত হয়েছে ফ্রান্সের তালিস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে। পরীক্ষা ও পর্যালোচনা শেষে বিশেষ কার্গো বিমানে সেটি লঞ্চ সাইটে আনা হয়। উৎক্ষেপণের জন্য প্রথমে ১৬ ডিসেম্বর তারিখ ঠিক করা হলেও হারিকেন আরমায় ফ্লোরিডায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়। এরপর কয়েক দফা সময় ঠিক হলেও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় সেসব তারিখও পেছানো হয়। সরকারের তথ্য মতে, বর্তমানে বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয় হয় বাংলাদেশের।
—০——
একনজরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট
বাংলাদেশে প্রথম স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। সে সময় মহাকাশের ১০২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে কক্ষপথ বরাদ্দ চেয়ে জাতিসংঘের অধীন সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নে (আইটিইউ) আবেদন করে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের ওই আবেদনের ওপর ২০টি দেশ আপত্তি জানায়।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণ চুক্তি : ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ।
অর্থায়ন : বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি।
নির্মাণ : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি নির্মাণ করেছে ‘থ্যালাস অ্যালেনিয়া’ নামের প্রতিষ্ঠানটি। স্যাটেলাইটের কাঠামো তৈরি, উৎক্ষেপণ, ভ‚মি ও মহাকাশের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ভ‚-স্তরে দুটি স্টেশন পরিচালনার দায়িত্ব এ প্রতিষ্ঠানটির।
কেনা হয় কক্ষপথ : স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ এবং তা কক্ষপথে রাখার জন্য রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কেনা হয়। মহাকাশে এই কক্ষপথের অবস্থান ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতে প্রায় ২১৯ কোটি টাকায় ১৫ বছরের জন্য এই কক্ষপথ কেনা হয়। জিও-স্টেশনারি স্যাটেলাইট : ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ কৃত্রিম উপগ্রহটি একটি জিও-স্টেশনারি স্যাটেলাইট বা ভ‚স্থির উপগ্রহ। এতে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকি ২০টি বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য।
বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট কোম্পানি : মহাকাশে উৎক্ষেপণের পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পরিচালনার জন্য ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করা হয়েছে।
উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান ও উৎক্ষেপণকারী রকেট : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণ করে এ বছরের ৩০ মার্চ একটি বিশেষ উড়োজাহাজে উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছে দেয় থ্যালাম অ্যালেনিয়া স্পেস। মার্কিন রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স এই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরালে কেনেডি স্পেস সেন্টারে স্পেসএক্সের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে উড়বে ‘ফ্যালকন নাইন’ রকেট।
বাংলাদেশে গ্রাউন্ড স্টেশন : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর এর নিয়ন্ত্রণ নিতে গাজীপুরের তেলীপাড়া ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় গ্রাউন্ড স্টেশন প্রস্তুত করা হয়েছে।