ক্রাইমবার্তারিপোট: দেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে সমঝোতার মধ্য দিয়ে নেতা নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে নেতাদের ছাড় দেয়ার মনোভাব নিয়ে আলাপ-আলোচনা করার পরামর্শ দেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলন উদ্বোধনের পর ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কমিটির নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সবশেষে বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা। তিনি ছাত্রলীগের ইতিহাস, দেশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর গড়া ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভূমিকা ও ত্যাগের বর্ণনার পাশাপাশি তার সরকারের অর্জনের বিষয়টি তুলে ধরেন।
গত ২ মের সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, তিনি এবার সমঝোতায় ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচনের পক্ষে। আর সমঝোতা না হলে ভোট হবে।
তবে ছাত্রলীগের সম্মেলনে শেখ হাসিনা ভোটের বিষয়টি উল্লেখ না করে সমঝোতার নির্দেশই দেন। দীর্ঘ বক্তব্যের শেষে শেখ হাসিনা বলেন, আগামীকাল (শনিবার) সেন্ট্রাল কমিটি বসবে। সেখানে কারা নেতৃত্ব চায়, ইতিমধ্যে দরখাস্ত পাঠিয়েছে। আমি চাই, সমঝোতার মাধ্যমে তোমাদের নেতৃত্ব নিয়ে আস।
এ সময় সাংগঠনিক নেত্রীর এই বক্তব্যে সম্মেলনে আসা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উল্লাস প্রকাশ করেন।
ছাত্রলীগের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, তোমরা নিজেরা বসে সমঝোতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নিয়ে আস। মনে রেখ, সেক্রিফাইস করাটা শিখতে হবে। সেক্রিফাইস না করলে অর্জন করা যায় না। অর্জন তখনই করতে পারবা, যখন কিছু দিতে পারবা। কাজেই তোমরা সমঝোতার মাধ্যমে কর সেটাই আমরা চাই।
এ সময় ছাত্রলীগকে নেতৃত্ব নির্বাচনে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তোমরা এমন নেতৃত্ব খুঁজবে, যারা তোমাদের সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে তোমাদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে আগামী দিনে যেন তোমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পার।
ছাত্রলীগকে সততার সঙ্গে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘রাজনীতিতে সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা থাকতে হবে। লেখাপড়ায় মনযোগী হতে হবে। ছাত্রলীগের যে মূলমন্ত্র, শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি; সেই শিক্ষার মশাল জ্বেলে, শান্তির বাণী নিয়ে প্রগতির পথে তোমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। সেটাই আমরা চাই।’