ক্রাইমবার্তা রির্পোটঃ প্রায় ২০ দিনের প্রচার প্রচারণা শেষ হয়েছে। নেই কোনো মাইকের আওয়াজ, নেতাকর্মীরাও ছুটছেন না ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। নারীরা সারি বেধে প্রার্থীর লিফলেট হাতে নামছেন না রাস্তায়। খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হয়েছে রোববার রাত ১২টায়। আর সে কারণেই নগরীর রাস্তাঘাট এখন সুনসান। কেবল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী টহল দিচ্ছে। রাত পোহালেই খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, কেসিসি নির্বাচনে গত ২৪ এপ্রিল থেকে ৫ জন মেয়র, ১৪৮ জন সাধারণ ও ৩৮ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীসহ মোট ১৯১ জন প্রতীক পেয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন। তাদের প্রচারণায় মুখর হয়ে ওঠে খুলনা মহানগরী। কেন্দ্রীয় আর স্থানীয় নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে দিনরাত প্রচারণা চালান প্রার্থীরা। প্রচারণায় নতুনত্বও আনেন অনেকে। বিভিন্ন গানের সুরে সুর মিলিয়ে নির্বাচনী গান দিয়েই প্রচারণা চালান প্রার্থীরা। যা নগরবাসীকে আকৃষ্টও করে।
তবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু’র একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ নিয়েই বেশি সময় কেটেছে নগরবাসীর। কিন্তু সেই সব কিছুই আর নেই। আর সে কারণেই নগরী এক প্রকার ঠান্ডা হয়ে গেছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি কেন্দ্রে এ ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোটারদের সুবিধার্থে এক হাজার ৪২৮টি স্থায়ী বুথ ছাড়াও ৩৩টি অস্থায়ী বুথ নির্মাণ করা হয়েছে। এবার ২০২টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ও ৮৬টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।