ক্রাইমবার্তা রিপোট : খুলনা : ‘খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে। এক্ষেত্রে নিস্ক্রীয় ছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোট ডাকাতিতে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ। আর তালুকদার আব্দুল খালেকের ক্যাডাররা বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালট বই ছিনতাই করে সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়েছে।’
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় গণমাধ্যমকে একথা বলেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
এসময় বিএনপির পোলিং এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের দেয়া হয়। নারী এজেন্টদের লাঞ্ছিত করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়।
এদিকে সকাল সাড়ে ১১টার পর নগরীর রূপসা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুলিশের সহযোগিতায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ওই কেন্দ্রে প্রবেশ করে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। পাঁচটি বুথে ঢুকে ব্যালট নিয়ে সীল মারা শুরু করে।
পরে খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সেখানে যান। বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুও আসেন এই কেন্দ্রে। সাংবাদিকরা আসার পর পুলিশের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। ওই সময় ভোট গ্রহণ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। এরপর সাংবাদিকরা চলে গেলে পুনরায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালটে সীল মারে। এদিকে ৩১ নং ওয়ার্ডের লবণচরা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের পাশাপাশি প্রিসাইডিং অফিসারদেরও বের করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের সমর্থকরা। তারা বুথের ভেতরে ঢুকে যখন সীল মারছিলো তখন প্রিসাইডিং অফিসাররা বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা সাংবাদিকদের বলেন, তাদের বুথ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এদিকে ২০ নং ওয়ার্ডে এইচ আর এইচ প্রিন্স আগাখান উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ সমর্থকরা ভোটারদেরকে বের করে দিয়ে নৌকা মার্কায় সীল মারে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪ নং ওয়ার্ডে দেয়ানা উত্তর পাড়া কেন্দ্রে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা এবং বিএনপি কর্মী মিশুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৯ নং ওয়ার্ড ইসলামাবাদ ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টকে মারধর করে প্রশাসনের সামনেই বের করে দেয় সরকার সমর্থকরা। পাইওনিয়ার স্কুল ভোটকেন্দ্র থেকেও প্রশাসনের সামনেই বের করে দেয়া হয়েছে বিএনপির পোলিং এজেন্টদেরকে। গল্ডামারি লায়ন্স স্কুল ও নিরালয় স্কুল কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টকে প্রশাসনের সামনে মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে।
