তিন বলেন, ‘মাঠের সাংবাদিকরা সক্রিয়ভাবেই উপস্থিত ছিলেন। তারা যা যা দেখেছেন তাদের মতো করে তুলে ধরেছেন। সেখানে নির্বাচনের অনিয়ম বা আপত্তিকর কিছুর চিত্র উঠে আসেনি। এর থেকেই প্রমাণিত হয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। বিএনপির প্রার্থী এক লাখ ৯ হাজার ভোট পেয়েছেন। এর মাধ্যমেও প্রমাণিত নির্বাচন অবাধ ছিল। অবাধ নির্বাচন ছাড়া কেউ এতো ভোট পেতে পারেন না।’
তিনি বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা দুরভিসন্ধি বাদ দিয়ে জনরায় মেনে নিন।’
কেসিসি নির্বাচনে সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে- বিএনপির এই অভিযোগ বিষয়ে খালেক বলেন, ‘এই নির্বাচনে আমার পক্ষে কোনও ধরনের অপরাধীর অবস্থান ছিল না। আমি অপরাধীদের চিনি না, কোনও সন্ত্রাসী লালনও করি না। বিএনপির আমলে এদেশে জঙ্গিদের উত্থান হয়েছে। বাংলা ভাইয়ের মতো লোকের আবির্ভাব হয়েছে। ফলে জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বিএনপি পরিচিত, আওয়ামী লীগ নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি মঞ্জুসহ নগরীর সবার সহযোগিতা চাই। মঞ্জুর সুন্দর সহযোগিতা নগরীর উন্নয়নে সহায়ক হবে। আমি বারবার তার সহযোগিতা চাইবো।’
দায়িত্ব গ্রহণের পর কাজ কী হবে সেব্যাপারে নবনির্বাচিত মেয়র বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর খুলনাকে মাদক, সন্ত্রাস ও ভূমিদস্যু মুক্ত স্থান হিসেবে গড়ে তুলবো। এটা আমার অঙ্গীকার। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর এই শহর হবে পরিচ্ছন্ন ও প্রশান্তির শহর। এর আগে ২০০৮ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি যেখানে শেষ করেছিলাম, সেখান থেকেই আবার শুরু করবো। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করবো। প্রথম কাজ হবে খুলনাবাসীকে জলবদ্ধতা মুক্ত করা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে খুলনার মানুষের উন্নয়ন হয়। আগামী ৫ বছরে খুলনায় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কাজ হবে।’