এমবিবিএস পরীক্ষায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় স্থান#সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে একাদশ বিজ্ঞান শাখায় ৮৭ ভাগ ফেল

নিজস্ব প্রতিনিধি: মেডিকেল কলেজ সমূহের এমবিবিএস পরীক্ষায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ সারাদেশে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। ৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৪ জন কৃতকার্য হয়েছে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. কাজী হাবিবুর রহমান জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মেডিকেল কলেজ সমূহের শেষ বৃত্তিমূলক এমবিবিএস পরীক্ষায় ১৯টি মেডিকেল কলেজ হতে এক হাজার ৯৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষায় এক হাজার ২৫১ জন কৃতকার্য হয়। পাশের শতকরা হার ৬৩.৭৬ ভাগ। সেখানে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পাশের হার শতকরা ৮০ ভাগ। ৮৩.৩৩ ভাগ পাশ করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ প্রথম স্থান করে। ৭৫ ভাগ পাশ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ তৃতীয় স্থান এবং নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ৩৩.৩৩ ভাগ পাশ করে ১৯টি কলেজের মধ্যে সর্বনিন্মে অবস্থান করে।

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষায় বিজ্ঞান শাখায় চরম ফল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের বিজ্ঞান শাখা থেকে একাদশ শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ৪৬১জন। এদের মধ্যে মাত্র ৬০ জন পাশ করলেও বাকী ৪০১ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। পাশ করেছে ১৩ ভাগ আর ফেল করেছে ৮৭ ভাগ।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ জেলার সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে মেধাবীরাই ভর্তি হয়। শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই ‘এ প্ল¬াস’ বা ‘এ গ্রেডে’ পাশ করবে। অথচ তাদের এতবড় ফল বিপর্যয়ে অভিভাবকসহ সচেতন মহলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কলেজের শিক্ষকরা ক্লাস বাদ দিয়ে প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণেই এ ফল বিপর্যয় বলে দাবি করেছেন অনেকে।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্বাস সুদেব কুমার বলেন, এটা ফল বিপর্যয় বলা যাবে না। এটাতো ১ম বর্ষ থেকে ২য় বর্ষে উঠবে। পরবর্তীতে আবারো পরীক্ষা নিয়ে ঠিক করা যাবে।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।