ক্রাইমবার্তা রিপোট :একাডেমিক আওয়ারে স্কুল ফাঁকি দিয়ে কোচিং বাণিজ্যের সাথে যুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে জেলা প্রশাসন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ অনুযায়ী গঠিত জেলা মনিটরিং কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গতকাল বুধবার কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোজার পরেই স্কুল খুললে শহরের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিভাবক সমাবেশ করা হবে। কোচিং সেন্টারগুলোকে নিয়েও পৃথক বৈঠক করা হবে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করে এ বিষয়ে সকলকে সচেতন করবেন।
সভায় বর্তমানে শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রমে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে শহরের দুটি সরকারি স্কুলে দুপুরের পর ৫-৭ জনের বেশি শিক্ষার্থী পাওয়া যায় না। যারা স্কুলে ক্লাস করতে ইচ্ছুক নয়, তাদেরকে ছাড়পত্র দেওয়ার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, সরকারি স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া হচ্ছে না। শিক্ষকরা কোচিং করাতে উদ্বুদ্ধ করছেন। একাডেমিক আওয়ারে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বসানো হচ্ছে কোচিং সেন্টার। এমনকি টিফিন আওয়ারে শিক্ষকরা স্কুল থেকে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে স্পেশাল কোচিং করাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা কোচিংয়ে না গেলে দুই এক দিন অনুপস্থিতির জন্য ভর্তি বাতিল করার হুমকিও দিচ্ছেন। একাডেমিক আওয়ারে কোচিং সেন্টারগুলো খোলা রাখা হচ্ছে। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদ, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা খাতুন, অভিভাবক সদস্য ও দৈনিক পত্রদুত’র উপদেষ্টা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।