ক্রাইমবার্তা রিপোট দেশের সর্বোচ্চ আদালত মুক্তি দিলেও সরকারের অনিচ্ছায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে একটি গানের সিডি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
খালেদা জিয়া নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে। তাই তাকে জেলে রাখা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
গত বুধবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টে দেয়া জামিন আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
তবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সেগুলো থেকে তাকে জামিন নেয়ার পরই তিনি মুক্তি পাবেন।
বাকি মামলাগুলোতে জামিনের জন্য শিগগিরই হাইকোর্টে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন খালেদার আইনজীবীরা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়াকে সরকার ভয় পায়। তারা জানে যদি খালেদা জিয়া বাইরে থাকেন তা হলে জনগণের জোয়ার সৃষ্টি হবে। এ কারণে তারা অত্যন্ত সুকৌশলে চক্রান্ত করে নির্বাচনের আগে এ মামলার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে চায়।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতও খুলনার নির্বাচনের তদন্ত চেয়েছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সারা পৃথিবী জানে বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রের কোনো জায়গা নেই। সরকারের একটাই কাজ প্রতিপক্ষকে দমন করা।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি- আগামী সংসদ নির্বাচন কখনও গ্রহণযোগ্য হবে না, যদি বিরোধী দল সেই নির্বাচনে অংশ না নেয়, যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সেই নির্বাচন না হয়, যদি সংসদ ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা না হয়। ৫ জানুয়ারির মতো কোনো নির্বাচন এ দেশের জনগণ আর মেনে নেবে না।
ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মহাসচিব বলেন, মহাগরের দিকে সবাই তাকিয়ে থাকে। আপনারা সংগঠিত হন, যখনই ডাক দেবে তখনই রাস্তায় নামতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের লেখা গান ‘কোটি জনতার মা’ পর্ব-১’ নামে গানের সিডির এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার। পরিচালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাচ্চু।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন খান উজ্জ্বল, বিএনপি জাতীয়
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এর পর থেকে খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।