কিউবার হাভানায় জোসি মার্তি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বোয়িং ৭৩৭ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শতাধিক আরোহী নিহত হয়েছেন।
দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির সংবাদপত্র গ্রামা জানিয়েছে, তিন ব্যক্তি বেঁচে গেলেও তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গত মাসে শপথ নেয়া কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়ের ডিয়াজ-কানেল বলেন, এটা সত্যিই এক দুর্ভাগ্যজনক বিমান দুর্ঘটনা। এটা খুবই হতাশাজনক খবর। মনে হচ্ছে, সেখানে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। -খবর রয়টার্স ও বিবিসির।
বিমানবন্দর সূত্রের বরাতে এএফপি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করে ৬৭০ কিলোমিটার দূরে হলগিউইন শহরের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিমানবন্দর ও সান্তিয়াগো দে লাস ভেগাস শহরের মাঝখানে সেটি বিধ্বস্ত হয় ও বিস্ফোরণ ঘটে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেবল জানিয়েছে, বিদেশি ক্রু বিমানটি চালাচ্ছিল। এর বেশি তথ্য তারা দেয়নি।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কিউবান ডি অ্যাভিয়াকন এয়ারলাইনের অভ্যন্তরীণ রুটের এই বিমানটিতে ১০৪ যাত্রী ছিল। আর ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ৯ বিদেশি ক্রু।
দেশটির টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে বিমানবন্দরের কাছ থেকে কালো ধোঁয়া কুণ্ডলি পাকিয়ে উঠতে দেখা গেছে।
দুর্ঘটনার পরপরই বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, দুর্ঘটনায় পড়া উড়োজাহাজটি ২৬ বছরের পুরনো। প্যানোরমা এয়ারলাইন্সের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে সেটি চালানো হচ্ছিল।
দুর্ঘটনার পরই দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে চেষ্টা করেন। বিপুল সংখ্যক পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে।
কিউবায় ১৯৯৭ সালে অনটোনভ-২৪ যাত্রীবাহী বিমান বিধ্স্ত হয়ে সমুদ্রে পড়ে গেলে সেটির ৪৪ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছিলেন। এর পর ২০০২ সালে আরেকটি বিমান দূর্ঘটনায় ১৬ যাত্রী নিহত হন।