সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:সাতক্ষীরায় চাকুরি দেয়ার নামে শহরতলি রসুলপুরের ইকবাল এক মহিলার কাছ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন যশোর জেলার শার্শা উপজেলার ধান্যতড়া গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুল কাদেরের মেয়ে মোছাঃ আছমা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ২০১৭ সালের দিকে এক ব্যক্তির মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহরতলির রসুলপুর এলাকার অশরাফ আলীর ছেলে ইকবালের সাথে তার পরিচয় হয়। সে আমাকে সাতক্ষীরার খুলনা রোড মোড়ে জি,ই,ডি ফাউন্ডেশনে একটি ভাল পদে চাকুরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। স্থানীয় সরকার বিভাগে ডিজিটাল এসেসমেন্ট কর ও নম্বর স্থাপন প্রকল্পে চাকুরি করার কথা বলে ইকবাল সেখানে একটি ভাল পদে নিয়োগের জন্য আমার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে যা পরবর্তিতে ফেরতযোগ্য। ইকবালের কথায় বিশ্বস করে আমার পিতা সাতক্ষীরায় এসে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখা থেকে ১ লাখ টাকা তুলে তার (ইকবাল) হাতে তুলে দেয় এবং তিনদিন পর আরো ৭০ হাজার টাকা দেয়। টাকা গ্রহণের পর ইকবাল আমাকে জি,ই,ডি ফাউন্ডেশনে নিয়োগ দিয়ে যশোর পালা বাড়ি মোড় শাখায় পোষ্টিং দেয়। সেখানে আমাকে মাত্র ২৬ দিনের বেতন দেয়া হয়। এরপর থেকে মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন কাগজপত্র স্বাক্ষর করানোর নাম করে অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তারা ঢাকায় যান এবং আমার বেতন বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে ৪ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর আমাকে কোন বেতন না দিয়ে গত বছর অক্টোবর মাসে যশোরস্থ অফিসটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় হয়।
তিনি আরো বলেন, অফিস বন্ধ হওয়ার পর ইকবালের কাছে ১লাখ ৭০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে সে আমাকে টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ইকবাল এখনো টাকা ফেরত না দিয়ে তালবাহনা করতে থাকেন। উপায় না পেয়ে আমি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ করি। থানায় কয়েকবার বসাবসি হলেও ইকবাল শুধু কালক্ষেপন করতে থাকে। থানায় অভিযোগ করে আমি সুচিবার পাব বলে মনে করছি না। তিনি প্রতারক ইকবালের কাছ থেকে টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।