নিজস্ব প্রতিনিধি:সাতক্ষীরায় ধর্ষণের দায়ে সুকুমার মৃধা নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত সুকুমার মৃধা শ্যামনগর উপজেরার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের কুলতলি গ্রামের কমল মৃধার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের কুলতলি গ্রামের কমল মৃধার ছেলে সুকুমার মৃধা বাংলা ১৪০৯ সালের ৫ জ্যৈষ্ঠ রাত ১১টার দিকে একই গ্রামের প্রভাষ চন্দ্র মাঝির বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তার মেয়ের ঘরে প্রবেশ করে দেব-দেবীর শপথ নিয়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন সুকুমার মৃধা ঈশ্বরীপুরের একটি মন্দিরে নিয়ে তাকে সাজানো (ভুয়া) বিয়ে করে। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মেয়েটি। কিন্তু পরে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে সুকুমার মৃধা। এরই মধ্যে মেয়েটির কোল জুড়ে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি মিমাংসা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা করেননি। উপায়ান্ত না পেয়ে মেয়েটি ২০০৩ সালের ২০ জুন সুকুমার মৃধা, তার বাবা কমল মৃধা ও মা করুনা মৃধার নামে থানায় মামলা করতে যান, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে কোর্টে মামলা করেন। পরে মামলা থেকে কমল মৃধা ও করুনা মৃধার নাম বাদ দেওয়া হয়।
এ মামলায় আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে আসামি সুকুমার মৃধার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডর আদেশ দেন।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামি সুকুমার মৃধা বর্তমানে পলাতক রয়েছে।