ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট: দেশে কি যুদ্ধ শুরু হয়েছে যে, এভাবে বন্দুকযুদ্ধে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে? যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা কি এ দেশে জন্ম নেয় নাই? তাদের কি বিচার পাওয়ার অধিকার নেই?
শনিবার রাজধানীর বিজয়নগরের একটি হোটেলে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে এসব প্রশ্ন রাখেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ আরও বলেন, মাদক নির্মূলের নামে যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা এ দেশের নাগরিক। মানুষ মারার অধিকার আপনাদের (সরকার) কে দিয়েছে? দেশে কি আইন বা আদালত বলে কিছু নেই?
আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয় ইসলামী মহাজোট। এ জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবু নাসের এয়াহেদ ফারুকের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সুনীল শুভ রায়।
এরশাদ বলেন, রমজান শান্তি ও সংযমের মাস। কিন্তু আমরা কেউ শান্তি ও স্বস্তিতে নেই। আমাগীকাল কে বন্দুকযুদ্ধের শিকার হবে, আমরা কেউ জানি না।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে আমাদের জন্য কী আনছেন? আমরা জানি না, জানতে চাই। তিস্তার পানি সমস্যার কোনো সমাধান কি করতে পেরেছেন? আশা করি, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য রাখবেন।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, রোহিঙ্গাদের দেখতে অনেকে যাচ্ছে। অনেক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু তাদের প্রতিশ্রুতির কোনো মূল্য নেই। নোম্যান্স ল্যান্ডে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা। তাদের বাংলাদেশে নিয়ে আসুন। ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারলে আরও চার লাখ মানুষকেও খাওয়াতে পারবেন।
তিনি বলেন, ইসলামী রাষ্ট্রগুলো আজ বিচ্ছিন্ন। কারও সঙ্গে কারও মিল নেই। ফিলিস্তিনিসহ অনেক মুসলিম রাষ্ট্র আজ নিগৃহীত। তাদের পক্ষে বলার কেউ নেই। মুসলমান রাষ্ট্রগুলো নীরব। ফিলিস্তিনিরা নিজ দেশেই আজ ইসরাইলিদের দ্বারা হত্যার শিকার হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব বিবেক নীরব।
এরশাদ বলেন, আমাদের দেশেও আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ নই। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে এ দেশে কেউ ইসলাম বিনষ্ট করার সাহস পাবে না।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সব ইসলামি দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন সব ইসলামি দল একত্র হয়ে নির্বাচনে অংশ নেই। যাতে করে আমরা ইসলামের সেবা করতে পারি।