সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : নিজেরা পেট্রোল ঢেলে বারবার নিজেদের ঘর পোড়ানোর নাটক করছে। আর এর দায় চাপাতে চাইছে আমাদের ওপর। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে এসব অভিযোগ সাজানো। এতসবের পরও প্রতিপক্ষ আমাদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছে।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন সদর উপজেলার আমতলা (বল্লী) গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে ফজিলাতুন্নেছা। তিনি বলেন প্রতিপক্ষের লোকজন তার স্বামী মোঃ নজরুল ইসলাম যিনি বাগেরহাটের শরণখোলা মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক তাকেও ষড়যন্ত্রের জালে ফেলানোর চেষ্টা করছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন তার প্রতিবেশী আব্দুল হাকিমের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন, আহমদ আলীর স্ত্রী ময়না বেগম, আব্দুল হাকিমের ছেলে আহম্মদ আলী এবং আব্দুল হাকিম তার নিকট প্রতিবেশী। তাদের সাথে ফজিলাতুন্নেছাদের জায়গাজমি সহ নানা বিষয়ে বিবাদ থাকায় প্রায়ই তারা সাজানো ঘটনায় থানা ও আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। মামলার কোন প্রমান না থাকার পরও তারা বারবার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, গত ১৯ মে তারিখে তার স্বামী মোঃ নজরুল ইসলাম কর্মস্থল বাগেরহাট থেকে বাড়ি আসার পর তাকে ও তাদের ছেলে মুজাহিদুল ইসলামকে বিপদে ফেলতে একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ খাড়া করে। নিজেদের বসতবাড়িতে রাত ১১টায় পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরানোর নাটক করার সময় প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। এসময় তারা নিজেরাই আবার পানি ঢেলে দেয়। এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ সাতক্ষীরা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশের উপপরিদর্শক প্রদীপ তদন্ত করে জানতে পারেন বিষয়টি সাজানো। তিনি তাদেরকে এ ধরনের ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।
ফজিলাতুন্নেছা আরও বলেন, গত ২৬ মে তারিখ রাত তিনটায় প্রতিবেশীরা তাদের কাঠঘরে নিজেরাই আগুন লাগিয়ে হাউমাউ করে লোক জড়ো করে। এ ব্যাপারেও তাদের উদ্দেশ্য ফজিলা, তার বাবা মা, তার ভাই এবং স্বামী ও ছেলেকে জড়িয়ে থানায় মিথ্যা মামলা করা। নাটকীয় এই ঘটনার পর তারা ফজিলাদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে এবং জেল খাটাবে বলে হুমকি দেয়। তিনি বলেন এ দুটি ঘটনা নিয়ে পৃথক দুটি জিডি করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আব্দুল হাকিমের স্ত্রী ফতেমা খাতুন ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে প্রচার করে যে তাকে মারপিট করা হয়েছে। তার দায়ও ফজিলাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এর কোন প্রমান মেলেনি। এ ঘটনা নিয়ে একটি মামলা চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, তাদের প্রতিপক্ষকে ইন্ধন যুগিয়ে যিনি কলকাঠি নাড়ছেন তিনি কলারোয়া উপজেলার লাঙলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আরেক প্রতিবেশী আব্দুল হামিদ। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আব্দুল হামিদ তার ভাই শহীদ ও আব্দুল আলিম পুরো ঘটনার নেপথ্যে থেকে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে ৩১.০৫.২০০৭ তারিখে ১৪৩ নম্বর, ৯.০৮.২০০৭ তারিখে ৪৬২ নম্বর এবং ২৭.০৪.২০০৮ তারিখে ১৪১৫ নম্বর জিডি করা হয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে ফজিলাদের বিরুদ্ধে এভাবেই প্রতিবেশী প্রতিপক্ষের লোকজন মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করছে।
তিনি এ বিষয়ে প্রতিকার দাবি করে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। একই সাথে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
Check Also
যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …