স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং (বিচারবহির্ভূত হত্যা) হচ্ছে না। মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন
বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত বৈঠক করেন।
এর পর মন্ত্রীর দফতর থেকে বেরিয়ে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনায় উদ্বেগ জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘সরকারের চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে যারা মারা যাচ্ছে, তাদের প্রত্যেকের আইনের সুযোগ পাওয়ার অধিকার আছে। বিনাবিচারে একজন মানুষ মারার অর্থ হচ্ছে ওই পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে যাওয়া।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স আমরাও চাই। তবে অভিযুক্ত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা উচিত বলে আমরা মনে করি।
মাদকের জন্য অভিযুক্ত মূল অপরাধী এবং এর উৎস বন্ধ করার গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, মাদকের উৎস বন্ধ না করে এ অভিযান পরিচালনা করলে তা সফল হবে কিনা তা নিয়ে আমরা সন্দিহান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের সরকারও (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার) বাংলাদেশ সরকারের মতো জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরাও এ কথাগুলো বলে আসছেন। মাদকমুক্ত সমাজ গড়া সবার অঙ্গীকার। কিন্তু সেটা হতে হবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।