যারা তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে আসছেন তাদের মনোনয়ন না দিয়ে সেলিব্রিটিদের মনোনয়ন দেয়াটা কতটা যৌক্তিক। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সেলিব্রিটিরা দেশের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্মান বয়ে এনেছেন। তারা চাইলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।
গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মাগুরার জন্য একটা প্রজেক্ট পাস হলো। মাগুরার লোকজনের তো মিষ্টি খাওয়ানো উচিত, তখন সাংবাদিকরাবলেন, আগামী নির্বাচনে মাশরাফি নির্বাচন করবেন, তিনিই মিষ্টি খাওয়াবেন।তখন আমি বলেছি, সে যদি অংশ নেয় আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ তাকে হেল্প করবেন। সে ভালো মানুষ।
মন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পর সাকিব-মাশরাফির জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। সেই আলোচনার অংশ হিসেবেই বুধবার গণভবনে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে সেলিব্রিটিদের নির্বাচনের অংশ নেয়ার প্রসঙ্গ ওঠে।
সেলিব্রিটিদের নির্বাচনের অংশ নেয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই সেলিব্রিটিরা নির্বাচন করে। তারা দেশের জন্য খেলাধুলা করে সম্মান বয়ে এনেছে। তারা যদি রাজনীতিতে আসতে চায় আসতে পারে। আর যারা রাজনীতি করছেতারাও থাকবে। তারাও রাজনীতির একটা অংশ।’
ক্রীড়াঙ্গন থেকে এর আগেও নির্বাচন করেছেন অনেকে। জাতীয় দলের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় এবং জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক তারকা খেলোয়াড় আরিফ খান জয় প্রতিনিধিত্ব করছেন বাংলাদেশ সরকারের।