ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট:ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর মধ্যকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা গাজা উপত্যকাকে আরেকটি যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে জাতিসংঘ।
মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত নিকোলাই ম্লাদেনভ বুধবার রাতে নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, গাজায় কারো পক্ষে আরেকটি যুদ্ধ সহ্য করা সম্ভব নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ওই জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার গাজা উপত্যকার অন্তত ৩০টি অবস্থানে ইসরাইলি বাহিনীবিমান হামলা চালানোর পর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
তেল আবিব দাবি করছে, গাজা উপত্যকা থেকে একঝাঁক রকেট ও মর্টার হামলার পর তারা এ আগ্রাসন চালিয়েছে।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও জিহাদ আন্দোলন ইসরাইলে রকেট হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে বলেছে, গত কয়েক দিন ধরে গাজা উপত্যকায় তাদের অবস্থানে ইসরাইলি বাহিনীর হামলার জবাবে তারা ওই প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে ফ্রান্সের প্রতিনিধি ফ্রাঁসোয়া দিলাত্রে বলেন, গাজা সংকটের ব্যাপারে এ পরিষদ কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে জাতিসংঘের বদনাম হবে।
তিনি বলেন, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে গাজা অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে এবং এ বিষয়টিকে উপেক্ষা করা যাবে না।
বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানান।
তবে জরুরি বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের প্রতিনিধিরা গাজায় চলমান উত্তেজনার জন্য ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোকে দায়ী করে ইসরাইলকে অসহায় হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়েছেন।
দেশ দুটি ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ফিলিস্তিনিদের রকেট হামলার নিন্দা জানানোর প্রস্তাব আনলেও কুয়েতের বিরোধিতার কারণে তা পাস হয়নি।
কুয়েত বলেছে, দেশটির পক্ষ থেকে গাজার চলমান পরিস্থিতির জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে আলাদা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।