ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট: রাশিয়া বিশ্বকাপের পর্দা উঠার আগে ইসরাইলের বিপক্ষে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। ৯ জুন জেরুসালেমের টেডি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। ফিলিস্তিনের ফুটবল সংস্থার (পিএফএ) পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থাকে চিঠি দিয়ে আবেদন করা হয়েছে, মেসিদের ওই ম্যাচ বাতিল করে দিতে। এবার আর্জেন্টিনার কোচ সাম্পাওলিও এই ম্যাচ খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে ঘুরিয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
হাইতির বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয়ের পরে সাম্পাওলি বলেছেন, ‘‘কোনো দলের বিরুদ্ধে খেলতে হবে, কোথায় খেলতে হবে, এ সব আমি ঠিক করি না। কিন্তু যদি ফুটবলারদের দৃষ্টিকোণ দিয়ে ব্যাপারটা দেখেন, তা হলে বলব, বার্সেলোনাতেই আমাদের খেলা উচিত ছিল।’’
যেভাবে ক্রীড়াসূচি হয়েছে, তা নিয়ে তিনি খুব একটা খুশি নন, তা ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন মেসিদের কোচ।
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি আর্জেন্টিনার কোচ। কিন্তু নিজেদের প্রস্তুতি সূচি নিয়ে বলেছেন, ‘‘আমাদের ম্যাচের আগের দিন ওখানে পৌঁছতে হবে। ম্যাচ খেলে সোজা রাশিয়া চলে যেতে হবে। এই সূচিটাই আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। এই নিয়ে আমি আর কী বলব।’’
মেসিদের এই ম্যাচ নিয়ে ইসরাইলে অবশ্য উত্তেজনা তুঙ্গে। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে।
ইসরাইলের সাথে না খেলতে মেসিদের প্রতি আহবান
ইসরাইলের সাথে আর্জেন্টিনার অনুষ্ঠিতব্য প্রীতি ফুটবল ম্যাচ বাতিল করতে অনুরোধ করেছে ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ)। জুনের ৯ তারিখে জেরুসালেমের টেডি স্টেডিয়ামে ইসরাইল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সোমবার পিএফএ সভাপতি জিব্রিল রজব জেরুসালেমের টেডি স্টেডিয়ামকে ভেন্যু নির্ধারণের প্রতিবাদে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন এবং বিশ্ব ফুটবলের মূল সংস্থা ফিফার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
রজব বলেন, ইসরাইল খেলাকেও রাজনীতিকরণ করেছে। ৯ জুন টেডি স্টেডিয়ামে ইসরাইল যে প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করেছে সেটি সম্পূর্ণ অনৈতিক। যেখানে খেলা অনুষ্ঠিত হবে ১৯৪৮ সালের আগে এই স্থানে ফিলিস্তিনের গ্রাম ছিল। সেখান থেকে এর অধিবাসীদের উচ্ছেদ করে ইসরাইলে এই এলাকা দখল করেছিল।
তিনি বলেন, ইসরাইল একটি দখলদার বাহিনী। তারা অপশক্তির প্রয়োগ করছে। এরা বৈশ্বিক মূল্যবোধের লঙ্ঘন করে আসছে। ইসরাইল খেলার মূলনীতিরও বিরোধী।
রজব বলেন, এই ম্যাচের কারণে আর্জেন্টিনাকে তার খেলোয়াড়ি এবং নৈতিকতার বিষয়ে মূল্য দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ইসরাইল ‘ইহুদিদের জন্য অখন্ড জেরুসালেম’ বলে আর্জেন্টিনার জনগনকে ভুল বুঝাচ্ছেন।
এদিকে সম্প্রতি ফিলিস্তিনে শুরু হওয়া নতুন আন্দোলন থেকে এই প্রীতি ম্যাচ না খেলতে অনুরোধ জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
যতক্ষণ ইসরাইল ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের ভূখণ্ড ফেরত দিবে না, তাদের মানবাধিকার রক্ষা করবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সাথে এসব খেলা থেকে বিরত থাকার দাবি জানান তারা।
ম্যাচ আয়োজক ডেনিয়েল বেনাইম ইসরাইল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে বলেন, ৬ লাখের বেশি মানুষ এই খেলাটি দেখতে চাচ্ছেন। যদিও টেডি স্টেডিয়ামে ৩১ হাজার ৭৩৩ জন বসে খেলা দেখতে পারবে।
২০১৮ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ফুটবল বিশ্বকাপে ইসরাইল অংশ নিতে পারেনি।
আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ উপহার দিতে যা করতে হবে মেসিকে
এবার না পারলে ধরে নিতে হবে ফুটবলবিশ্বে মুকুটহীন সম্রাট লিও মেসির কপালে এ জীবনে আর বিশ্বকাপ জেতা হবে না। এতদিনে তার প্রাপ্তির ভাঁড়ারে থাকার কথা কমপক্ষে একটি বিশ্বকাপ এবং দুটি কোপা আমেরিকা ট্রফি। তিনটি ট্রফির ফাইনালেই গোটা কয়েক ওপেন সিটার মিস করে লিও মেসি ও আর্জেন্টিনাকে পথে বসিয়ে দিয়েছিলেন গঞ্জালো হিগুয়েন। অবশ্য ২০১৬ সালে সেন্টিনারি কোপা আমেরিকায় চিলির বিরুদ্ধে মেসি নিজেই পেনাল্টি শ্যুট আউটে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এটা সহজ বুদ্ধির অগম্য যে নাপোলি বা জুভেন্তাসের হয়ে খেলার সময় গঞ্জালো হিগুয়েনের দুরন্ত গোল স্কোরিং ফর্ম কেন আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে মাঠে নামলে প্রতিফলিত হয় না! সত্যিই এটা এক বড়ই জটিল ধাঁধা।
আর্জেন্টিনার মতো শক্তিশালী আপফ্রন্ট বিশ্বের খুব কম দলেরই আছে। কোচ জর্জ সাম্পাওলি প্রথম একাদশে সুযোগ দিতে পারবেন না বলে ইন্টার মিলানের ইন-ফর্ম স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্ডিকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখেননি। অথচ তিনি এই মৌসুমে ইতালিয়ান লিগ সিরি ‘এ’-র যুগ্ম শীর্ষ গোলদাতা। মোট ২৯টি গোল এবার করেছেন ইকার্ডি। অথচ গঞ্জালো হিগুয়েনের এবার সিরি এ-তে মোট গোলসংখ্যা মাত্র ১৬টি। আর জুভেন্টাসের পাওলো ডায়বালার মোট গোল ২২টি। ইকার্ডি বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়লেন, যা অবাক করেছে ফুটবল বিশেষজ্ঞদের।
ইকার্ডির বাদ পড়ার নেপথ্যে রহস্যটা কি? সাবেক আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হের্নান ক্রেসপো তো বলেই ফেলেছেন, ‘লিও মেসি একদমই পছন্দ করে না ইকার্ডিকে। তাই ওর দলে জায়গা হল না। ওর জন্যই ইন্টার মিলান দীর্ঘদিন বাদে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। আমি জানতাম, ইকার্ডি বাদ পড়বে। কারণ, নিজের অপছন্দের কোনো ফুটবলারকেই মেসি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখে না।’
ঘটনা হলো, আর্জেন্টিনা দলের সব কিছুই এখন আবর্তিত হয় মেসিকে ঘিরে। তার ইচ্ছাই শেষ কথা। সবাই জানেন, মেসি থাকলে প্রথম একাদশে পাওলো ডায়বালার সুযোগ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাকে রাখা হয়েছে স্রেফ মেসির শ্যাডো হিসাবে। কোচ জর্জে স্যাম্পাওলি আগেই বলেছেন, ‘মেসি থাকলে ডায়বালাকে প্রথম একাদশে রাখা যাবে না। কারণ, দু’জনের খেলার স্টাইল অনেকটা একইরকম। উভয়েই মূলত বাঁ-পায়ের প্লেয়ার।’
১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলের স্ট্রাইকার জর্জ ভালদানো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কোচ সাম্পাওলির উচিত দ্রুত মেসি-নির্ভরতা কাটিয়ে ওঠা। টিম গেম খেলতে হবে আর্জেন্টিনাকে। মেসি একাই সব ম্যাচ জিতিয়ে দেবে এমন ভেবে নেয়াটাই মূর্খামি।’
এবার প্রথম রাউন্ডে গ্রুপ ‘ডি’কে বলা হচ্ছে ‘গ্রুপ অব ডেথ’। এই গ্রুপের দুই শক্তিশালী দল আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের ফলের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।
এবার গ্রুপ ম্যাচে জমে যাবে বার্সেলোনার দুই সতীর্থ মেসি বনাম ইভান র্যাকিটিচের দ্বৈরথ। দু’জনেই দীর্ঘদিন একসাথে খেলার সুবাদে একে অপরের গেম স্টাইলের সোথে পরিচিত। আর্জেন্টিনার ডিফেন্স লাইন অপেক্ষাকৃত দুর্বল। নিকোলাস ওটামেন্ডি, জেভিয়ার মাসচেরানো কিংবা মার্কোস রোহোর মধ্যে যে কোনো দু’জন ডিপ ডিফেন্সে খেলবেন। এদের মোকাবিলা করতে হবে ক্রোয়েশিয়ান তারকা লুকা মডরিচ, ইভান র্যাকেটিচ, ম্যাটিও কোভাসিচ ও মারিও মান্ডুকিচের মতো তারকা ফুটবলারদের।
গ্রুপ ডি’তে এই ম্যাচে যে দল জিতবে তাদের গ্রুপ শীর্ষে থাকার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এই গ্রুপে রানার্স বা দ্বিতীয় স্থান পেলেই তাদের মোকাবিলা করতে হবে নক-আউট পর্বে অন্যতম ফেভারিট দল ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। ‘ডি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হলে তারা খেলবে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিদ্বন্দ্বী পেরু বা ডেনমার্কের বিরুদ্ধে।
আর্জেন্টিনা অতীতে কখনই ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট আইসল্যান্ডের মুখোমুখি হয়নি। অর্থাৎ সম্পূর্ণ অচেনা প্রতিদ্বন্দ্বি। যারা গোলমুখে শাটার নামিয়ে কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলে। গত ইউরোয় মাত্র তিন লাখ ৩৭ হাজার জনসংখ্যার দেশ আইসল্যান্ড দুরন্ত ফুটবল খেলে গোটা ফুটবল দুনিয়াকে চমকে দিয়েছিল।
আইসল্যান্ডাররা দীর্ঘদেহী, ফিজিক্যাল ফুটবল খেলে। এদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই সমস্যায় পড়তে পারে আর্জেন্টিনা দল। বরং ক্রোয়েশিয়া অতীতে ছটি সাক্ষাৎকারে চারবার হারিয়েছিল আইসল্যান্ডকে। তবে ২০১৭ সালের জুনে আইসল্যান্ড ১-০ গোলে হারিয়েছিল ক্রোয়েশিয়াকে।
তবে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে জেতা উচিত আর্জেন্টিনার। অন্তত ট্র্যাক রেকর্ড সেই কথাই বলছে। অতীতে বিশ্বকাপে চারটি সাক্ষাৎকারেই আর্জেন্টিনা হারিয়েছিল নাইজেরিয়াকে। ১৯৯৪ ও ২০০২ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা যথাক্রমে ২-১ এবং ১-০ গোলে জিতেছিল। ইউএসএ-৯৪ বিশ্বকাপে বস্টনের ফক্সবোরো স্টেডিয়ামে নাইজেরিয়া বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচের শেষে দেখেছিলাম ফিফা মেডিক্যাল কমিশনের এক দীর্ঘদেহী মহিলা মাঠ থেকেই প্রায় পাঁজাকোলা করে ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে তুলে নিয়ে গিয়ে সোজা ডোপিং ল্যাবে ঢুকে গেলেন।
সেদিন মধ্যরাতেই জানা গেল, ম্যারাডেনার মূত্রের নমুনায় পাওয়া গিয়েছে এফিড্রিন, সিউডো-এফিড্রিন, স্ট্যানজানল সহ পাঁচ রকমের নিষিদ্ধ ড্রাগ। ফিফার মেডিক্যাল কমিশনের প্রেস ব্রিফিং হয়েছিল ডালাসের ফোর সিজনস রিসর্টে। তারপর ১৫ মাসের আন্তর্জাতিক সাসপেনশনের কবলে পড়েছিলেন ম্যারাডোনা। এরপর ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা যথাক্রমে ১-০ ও ৩-২ গোলে হারিয়েছিল নাইজেরিয়াকে।
আর্জেন্টিনার কোচ জর্জ সাম্পাওলি বলেছেন, ‘বিশ্বের সেরা একঝাঁক ফুটবলার আমাদের দলে রয়েছে। এটাই আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট। আর মেসি সম্পর্কে বলব, ওর যতটা না বিশ্বকাপ জেতা প্রয়োজন, তার থেকে বিশ্বফুটবলের ঋণ শোধ করার জন্যই লিও’র হাতে ওয়ার্ল্ড কাপ ওঠা উচিত।’
২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে মাত্র ১৮ বছর বয়সে মেসির অভিষেক ঘটেছিল। কিন্তু সেবার গোটা ম্যাচ খেলার সুযোগ তিনি পাননি। তিনটি ম্যাচে তার গোল ছিল মাত্র একটি। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে মেসি পাঁচটি ম্যাচে কোনো গোল পাননি। অ্যাসিস্ট ছিল মাত্র একটি। ব্রাজিলে গত বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত সাতটি ম্যাচে মোট চার গোল করেছিলেন লিও। এর মধ্যে আর্জেন্টিনা জয়ী হয়েছিল ছয়টিতে। ফাইনালে যথারীতি জার্মানির কাছে হার।
আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০১৬ সালে সেন্টিনারি কোপা আমেরিকায় মেসি পাঁচটি ম্যাচে মোট পাঁচ গোল করেন এবং অ্যাসিস্ট বাড়ান চারটি ক্ষেত্রে। এটাই তার দেশের হয়ে সেরা পারফরম্যান্স। ৭৭টি ফিফা অনুমোদিত টুর্নামেন্টে মেসির গোল সংখ্যা ৩৯টি। আর দেশের হয়ে তার আন্তর্জাতিক গোলের সংখ্যা ৬১টি। এই মৌসুমে ৪৪৪৫ মিনিট ফুটবল মাঠে ঘাম-রক্ত ঝরিয়েছেন মেসি। বিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে ২৮৮টি শটের মধ্যে ১৩৬টি তিনকাঠির মধ্যে ছিল। তিনি ম্যাচ পিছু অন্তত পাঁচটি শট নিয়েছেন। এল ক্ল্যাসিকোয় সর্বাধিক ২৬টি গোলের মালিক লিও মেসি একটানা আটটি মৌসুমে ৪০টির বেশি গোল করেছেন।
এই রেকর্ড বিশ্বের আর কয়জন ফুটবলারের রয়েছে? ২০১৬ সেন্টিনারি কোপা আমেরিকায় চিলির কাছে পরাজয়ের পর হঠাৎ অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন লিও। দেশে ফেরার পর রাজধানী বুয়েনস আইরেস এয়ারপোর্টে অ্যারাইভাল ডিসপ্লে বোর্ডে জ্বল জ্বল করছিল এই লেখাগুলি-‘নো তে ভায়াস লিও’। অর্থাৎ মেসি যেও না।
বাছাই পর্বে তিনজন কোচের অধীনে খেলে ধুঁকতে ধুঁকতে আর্জেন্টিনাকে রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট জোগাড় করে দিয়েছিলেন মেসি। ইকুয়েডরে যখন লাতিন আমেরিকান জোনের বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচটি কুইটোর হাই অল্টিচ্যুডে মেসিরা খেলতে নামলেন, তখন লিগ টেবলে প্রথম চারটি দলের মধ্যে ছিল না আর্জেন্টিনা। কিন্তু সেই ম্যাচেই পিছিয়ে পড়া সত্ত্বেও হ্যাটট্রিক করে মেসি আর্জেন্টিনাকে তুলে নিয়ে গেলেন মূলপর্বে।
রাশিয়ায় বিশ্বকাপ জিততে গেলে মেসিকে ৮৬’র ম্যারাডোনা হয়ে উঠতে হবে! মেক্সিকোয় ম্যারাডোনার পাঁচটি গোল ও পাঁচটি অ্যাসিস্টই আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। এবার গ্রুপ পর্বেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে আর্জেন্টিনাকে।