ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট:নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসসহ ৮ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (১ জুন) শহরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলেন, চিরিরবন্দর উপজেলার জিয়াউর রহমানের স্ত্রী আরিফা নাজনীন (২৬), কিশোরগঞ্জের রণচন্ডি এলাকার আরেফুজ্জামানের স্ত্রী লালভী আক্তার (২৪), একই উপজেলার বালাপাড়া এলাকার প্রমোদ চন্দ্র রায়ের কন্যা পলি রায় (২৬), আকাশকুড়ি এলাকার আবুল কালাম আজাদের কন্যা তাহিরা পারভীন (২৪), মুশা এলাকার সুমনের স্ত্রী উম্মে হাবিবা (২৪), ডিমলা উপজেলার নাউতারা এলাকার আবুজার রহমানের পুত্র আরাফাত সিদ্দিক (২৯), কিশোরগঞ্জের বাজে ডুমুরিয়া এলাকার ইয়াছিন আলীর পুত্র মিজান আহমেদ (২৮) ও নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী এলাকার আতিয়ার রহমানের পুত্র সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেন (২৯)। আটককৃতরা সৈয়দপুর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
জানা গেছে, ক্যান্টপাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ৪, লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ১, পাইলট বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে ১, সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ১ ও সৈয়দপুর সরকারী কারিগরি মহাবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ১ জনকে আটক করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল বলেন, অভিযোগ পেলে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বজলুর রশীদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশে দেয়া হয়েছে।
নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি: তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্রে ৪ জনের কারাদণ্ড
নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে বিতর্কে থাকা ঢাকার তেজগাঁও কলেজে ডিজিটাল জালিয়াতি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন দুজন। এ ছাড়া একই কেন্দ্রে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসায় আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
ঢাকাসহ দেশে মোট ২০টি জেলায় আজ এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা জেলায় পরীক্ষা হয় ১৪টি কেন্দ্রে।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহী গণমাধ্যমকে বলেন, এই পরীক্ষায় তিনি তেজগাঁও কলেজের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে থাকা ভ্রাম্যমাণ আদালত কেন্দ্র থেকে দুই নারী পরীক্ষার্থীকে ইলেকট্রনিকস ডিভাইসসহ আটক করেন। তাঁরা এই ডিভাইস ব্যবহার করে উত্তর সংগ্রহ করছিলেন। এ ছাড়া প্রক্সি দিতে আসায় অন্য দুই নারীকে আটক করা হয়। পরে আটক চার নারীকে ১০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ড পাওয়া চার নারী হলেন সুমাইয়া আক্তার, কেয়া আক্তার, বিথি আক্তার ও শারমিন আক্তার।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহী জানান, বিথি ও শারমিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মুঠোফোনসহ কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। তাঁরা মুঠোফোনের মাধ্যমে বাইরে থেকে উত্তর সংগ্রহের সময় ধরা পড়েন। আর অর্থের বিনিময়ে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসে আটক হন সুমাইয়া ও কেয়া।
নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে তেজগাঁও কলেজ নিয়ে বিতর্ক আছে। এই কেন্দ্র এর আগে একাধিকবার ডিজিটাল ডিভাইসসহ বেশ কয়েকজন আটক হন।
গত বছরের অক্টোবরে জনতা ব্যাংকের সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা (অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার) পদে নিয়োগ পরীক্ষার সময় ডিজিটাল চুরির সময় ১৪ জন পরীক্ষার্থী ডিভাইসসহ হাতেনাতে ধরা পড়েন।
গত ২০ জানুয়ারি অগ্রণী ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগের পরীক্ষা ছিল। এ সময় একই কেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থী একটি ইলেকট্রনিকস ডিভাইস বের করলে অন্যরা প্রতিবাদ করেন। পরীক্ষা শেষে প্রতিবাদকারী প্রার্থীদের ওপর হামলা হয়।
নানা বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে তেজগাঁও কলেজকে নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে বাদ দেওয়ার দাবি ওঠে। একপর্যায়ে এই কেন্দ্রকে বাদ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।