ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট: ঢাকা: বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ১০ বুদ্ধিজীবী।শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিবৃতিদাতাদের পক্ষে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ।বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন এমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, বিশিষ্ট নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, বিশিষ্ট নাট্যজন আতাউর রহমান, নাট্যজন মামুনুর রশীদ, কবি নির্মলেন্দু গুণ, নাট্যজন ও মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দীন ইউসুফ, লেখক মফিদুল হক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ এবং সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ।বিবৃতিতে যত দ্রুত সম্ভব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে সঠিক তথ্য প্রকাশ করে ভয়ভীতি থেকে মানুষকে মুক্ত করতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সারাদেশে চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের যৌক্তিকতা রয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, সারাদেশে যে মাদক বিরোধী অভিযান চলছে তার যৌক্তিকতা আমরা অনুধাবন করি। দেশে খুব কম পরিবার আছেন যারা মাদকের ভয়াবহতা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছেন। তাই সঙ্গত কারণে সর্বস্তরের মানুষের স্বতস্ফূর্ত সমর্থনও এই অভিযান প্রত্যাশিত ছিল।
কিন্তু বন্দুকযুদ্ধে নিহত অভিহিত করে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছেন। এটা গভীর উদ্বেগজনক।
বিবৃতিতে বলা হয়, “গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় এমন মৃত্যু কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। সংবিধানে প্রদত্ত জীবনের অধিকার এভাবে কেড়ে নেয়া যায় না।”
‘গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় কিছু নিহত ব্যক্তি সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “টেকনাফে নিহত পৌর কমিশনার একরামের বিরুদ্ধে কোনও প্রকার পূর্ব অভিযোগের কথা জানা যায়নি। তাকে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন পৌর মেয়র। তার পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে হত্যাপূর্ব ফোনালাপ সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করেছেন।”
পৌর কমিশনার একরাম হত্যার ঘটনার বিষয়ে বলা হয়, “কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজে তা অকল্পনীয়।”
টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধে গত ২৬ মে নিহত হন পৌর কমিশনার ও স্থানীয় যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. একরামুল হক। গণমাধ্যমে এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ সংঘটিত হওয়ার সময়কার একটি রেকর্ড করা অডিও প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পৌর কমিশনার একরামের নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, এরকম একটি ঘটনাই সমগ্র অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ ও জনগণকে আতঙ্কিত করতে যথেষ্ট।