মমতাজের অত্যাচারে কাটিয়ার হালিমা পরিবার অসহায়;সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : স্বামীর মৃত্যুর পর বৃদ্ধা হালিমা খাতুনের ছেলে মেয়েরা পৈতৃক জমি ভাগাভাগি করে নিয়ে বেশ শান্তিতে বসবাস করছিলেন। স্বামী মৃত গোলাম ওয়াদুদের জমি ৩ একর ৪৬ শতক হলেও রাস্তার জন্য বাদ দিয়ে মাপ জরিপে ৪ শতক কম পাওয়ায় মোট সম্পত্তি দাঁড়ায় ৩ একর ৪২ শতক। পৌরসভার সার্ভেয়ার দিয়ে ১২ একর ২৯ শতক মূল অংশ থেকে বাদ দিয়ে মাপজরিপ করে স্ত্রী হালিমা খাতুন এবং তার চার পুত্র ও দুই কন্যার মধ্যে আইনানুগ ভাগ বাটোয়ারা হয়েছে।
শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন শহরের উত্তর কাটিয়ার মৃত গোলাম ওয়াদুদের স্ত্রী হালিমা খাতুন । তিনি বলেন ২০১১ সালে তার ছেলে জিয়া খালিদ হিমু জনৈক মমতাজ সুলতানা বেবীর কাছে তার অংশ বিক্রি করে দেয়। সেই হিসাবে মমতাজের পাওনা ৩ একর ১৪ শতক। কিন্তু মমতাজ বেগম তার ক্রয়কৃত অংশেরও বেশি দখল করে রেখেছে। মাপ জরিপ করে সাতক্ষীরা পৌরসভা থেকে তাকে এ বিষয়ে বারণ করা হলেও মমতাজ কারও কথায় কান দিচ্ছে না। বাধা দিলে মমতাজ ও তার ভাড়াটে বাহিনী মারধর করতে আসে। বিষয়টি সমাধানের জন্য পৌর কাউন্সিরর সেলিম হোসেন ও সৈয়দ মাহমুদ পাপা শালিসে বসে বাড়তি জমি ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও মমতাজ তাতেও কর্ণপাত করেনি। বরং হালিমা খাতুনের বাড়ির সামনে ট্রাক ভর্তি বালি ফেলে রেখে তাদের চলার পথও রুদ্ধ করেছে। এতে প্রতিবাদ করলে সে হালিমা খাতুন ও তার পৌত্রদের জেল খাটাবে বলে হুমকি দিয়েছে। মমতাজ জানিয়েছে তোদের সকলকে জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়বো। মমতাজ এতোটই বেপরোয়া যে সে কারও মূল্যায়ন করতে চায়না। সে হালিমাদের পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। সম্প্রতি হালিমা খাতুনের মেজ ছেলের বড় ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। সে কয়েকদিন জেলও খেটেছে। মমতাজ কোনো কারণ ছাড়াই তাদের নামে ভুয়া অভিযোগে মামলা করে আসছে। মমতাজের অত্যাচারে এলাকায় টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন জমি জায়গা বিষয়ক গোলযোগের প্রেক্ষিতে মমতাজদের বিরুদ্ধে তারাও মামলা করেন। এই মামলায় হালিমা খাতুন পক্ষ জয় লাভও করে। মমতাজের বিরুদ্ধে গত ২২ জানুয়ারি আরও একটি মামলা করা হয়। ১৫ এপ্রিল তারিখেও আরও একটি মামলা করা হলেও মমতাজ কিছুতেই নরম হচ্ছে না। সে বারবার হালিমা পরিবারকে হুমকি দিয়ে বলছে ‘ কোর্ট পুলিশ আমার হাতে, বাড়াবাড়ি করলে তার মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেবো , যাতে সোজা হয়ে দাঁড়াতে না পারে’।
বৃদ্ধা হালিমা খাতুন ও তার ছেলের বউ সেলিনা কুদ্দুস মমতাজের কবল থেকে রক্ষা পেতে চান। এ লক্ষ্যে তারা সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

Check Also

যশোর বেনাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় কলারোয়ার আ’লীগ কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি :- সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।