শ্যামনগর অফিস : সাতক্ষীরার শ্যামনগর কেন্দ্রীয় দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ, ম্যানেজিং কমিটি গঠনের তঞ্চকতা ও ভারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালত, সাতক্ষীরা মামলা হয়েছে। মামলা নং-৫৩/২০১৮। মামলাটি দায়ের করেন উক্ত মাদ্রাসার সহঃ সুপার মোস্তফা শাহাজাহান সিরাজ। মামলা সূত্রে প্রকাশ, শ্যামনগর কেন্দ্রীয় দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসাটি দাখিল থেকে আলিম, আলিম থেকে বর্তমানে ফাজিল শ্রেণীতে উপনীত। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) কর্তৃক গত ১৩/২/২০১৫ তারিখে ইআবি/পরি/ফাজিল-প্রাঃ পা/২০১৭/৩২৪৪ নং স্মারকে প্রেরিত অফিস আদেশ দ্বারা অত্র মাদ্রাসাটি ১৭/২/২০১৭ তারিখ থেকে ১৪/২/২০২১ তারিখ পর্যন্ত ৪ বছরের জন্য নির্দেশক্রমে উক্ত মাদ্রাসায় ফাজিল (¯œাতক) প্রাথমিক পাঠদানের অনুমতি প্রদান করেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মাদ্রাসাটি ফাজিল স্বীকৃত হইলেও দাখিল পর্যায়ে এমপিও ভুক্ত। ফাজিল (¯œাতক) মাদ্রাসায় সুপার নিয়োগ সংক্রান্ত গত ১৬/৫/১৮ তারিখে দৈনিক দৃষ্টিপাত ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠান প্রধান পদ অধ্যক্ষ, সুপারঃ কোন পদ নেই। অথচ পত্রিকায় সুপারঃ পদে দরখাস্ত আবেদন আহবান করা হলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অভিভাবক সদস্য আলহাজ্ব শাহাদাৎ হোসেন ও আলাউদ্দীন কয়াল তাদের কোন সন্তান উক্ত মাদ্রাসায় লেখা পড়া না করায় কমিটি গঠনে প্রশ্নবিদ্ধ। এ ঘটনায় বিজ্ঞ আদালত মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান, ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে কারন দর্শানোর নোটিশে জারী করেছেন। মাদ্রাসার সুপার মাওঃ ইসমাইল হোসেন অবসর গ্রহন করায় পদটি শুন্য হয়। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা জানান, বর্তমানে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক সুপার পদে ১০ জন প্রার্থীর আবেদন পাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ফাজিল মাদ্রাসার উপাধাক্ষ্য মাওঃ মোঃ আবু ইউসুফ, আলিম মাদ্রাসার (আলিম নন এমপিও ভুক্ত) অধ্যক্ষ এ,এ,এম ওজায়েরুল ইসলাম, সুপার মোঃ আবুল কাশেম, মোঃ খবির উদ্দীন, আ.ফ.ম হাবিবুর রহমান প্রমুখ। আবেদনকারীরা অধ্যক্ষ এ,এ,এম ওজায়েরুল ইসলাম এর ঘনিষ্ঠ ও বন্ধু স্বজন। এ প্রতিষ্ঠানে অনেক অর্থের বিনিময়ে হত্যা ও ধর্ষন মামলার আসামী অধ্যক্ষ এ,এ,এম ওজায়েরুল ইসলাম কয়েক মাস জেল হাজত খাটলেও উক্ত পদে নিয়োগের জন্য মাদ্রাসার কমিটি ও বিভিন্ন দপ্তরে দৌড় ঝাপ করার গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তঞ্চকতাপূর্ণ ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। বর্তমান মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনছার আলী দাখিল শাখার সহঃ শিক্ষক(বাংলা)। মাদ্রাসায় সহঃ সুপার থাকা সত্বেও তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্রধান না করায় জেনারেল শিক্ষক মাদ্রাসার প্রধান হওয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে ২ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাস্টার আনছার আলী উক্ত এ,এ,এম ওজায়েরুল ইসলাম এর প্রতিবেশী ও বন্ধুসূলভ থাকায় তার দ্বারা কমিটিকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগটা পরিকল্পিতভাবে হওয়ার পায়তারা চলছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। অবসরপ্রাপ্ত সুপার মাওঃ ইসমাইল হোসেন নিয়মিত মাদ্রাসায় যেয়ে কমিটি ও শিক্ষকদের বিভ্রান্তি করে লেখাপড়ার পরিবেশে নষ্ট করছে এবং উক্ত ওজায়েরুল ইসলামকে নিয়োগের স্বপক্ষে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় বিজ্ঞ আদালত মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান, ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে কারন দর্শানোর নোটিশে জারী করেছেন। এলাকাবাসী যথাযথ নতুন কমিটি গঠন পূর্বক বিধি মোতাবেক পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বচ্ছতার সাথে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগের দাবী তুলেছে।
শ্যামনগরে ইনকিলাব শিল্পী গোষ্ঠীর ইফতার মাহফিল
শ্যামনগর অফিস ঃ গত ৫ জুন ইনকিলাব শিল্পী গোষ্ঠির আয়োজনে কুটুমবাড়ী রেস্তোরায় ইসলামী সাংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় সিয়ামের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা ও সুধীজনদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে হাফেজ মাওঃ হারুন অর রশিদ এর কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। সংগীত পরিবেশন করেন ইনকিলাবের সংগীত পরিচালক হাফেজ মাওঃ ওবাইদুল্লাহ বিন হাসান। ইনকিলাব শিল্পী গোষ্ঠির (শ্যামনগর) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওঃ এটিএম মিসবাহ উদ্দিন বোরহানীর উদ্ধোধনী বক্তব্য প্রদান করেন। সার্বিক উপস্থাপনায় ছিলেন ইনকিলাবের নির্বাহী পরিচালক জি এম নুরুজ্জামান। উক্ত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত সুধী মেহমানদের মধ্যে ছিলেন উপদেষ্ঠা সদস্য হাজী মুজিবুর রহমান, ইঃ যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওঃ আবুবকর সিদ্দিক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবু রায়হান সহ ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। বিশেষ আলোচকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর থানা মসজিদ মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মাওঃ মওসুফ সিদ্দিকী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান বকুল, নুরে আলম সিদ্দিকী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন শ্যামনগর উপজেলা জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব মুফতি আব্দুল খালেক।
শ্যামনগরে এক দিনমজুরের বসত ঘর ভাংচুর ও লুটপাট
শ্যামনগর অফিস ঃ শ্যামনগরের গাবুরার খোলপেটুয়া গ্রামের এক দিনমজুরের বসত ভিটায় প্রতিপক্ষরা অনাধিকার প্রবেশ করতঃ বাড়ীঘর ভাংচুর, মালামাল লুটপাট ও মারপিটের ঘটনায় থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে। এজাহারটি দায়ের করেন খোলপেটুয়া গ্রামের নেরমান আলীর পুত্র আনোয়ার হোসেন। সূত্রে প্রকাশ, আনোয়ার হোসেন একজন দিনমজুরী শ্রমিকের কাজ করে। মাত্র ১২ শতক ভিটায় ঘরবাড়ি নির্মান ও বৃক্ষাদি লাগিয়ে ১৫ বছর যাবৎ অতি কষ্টে জীবন যাপন করে আসছেন। অনেকদিন ধরে তার এ ভিটা অবৈধভাবে দখল করার পায়তারা করে তাকে উচ্ছেদের জন্য ষড়যন্ত্র অব্যহত থাকে। গত ২৫ মে একই গ্রামের লিয়াকত খাঁন, আরব বিল্লাহ, হোসেন শেখ, আজম খাঁন, ফজর আলী, ইয়াকুব, ওমর ফারুক, রেজাউল, মোস্তাফিজুর, শহিদ খাঁন সহ একযোগে আনোয়ারের বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করতঃ বাড়ী ঘর, জিনিস পত্র ভাংচুর, বৃক্ষাদি কর্তন সহ জিনিস পত্রাদী ও নগদ অর্থ সহ স্বর্ণালংকারাদী লুটপাট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠে। আনোয়ারের শিশু কন্যা মুনিয়া (৩) কে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে প্রতিপক্ষরা হোসেনের বাড়িতে আটকে রাখে। পরবর্তীতে শ্যামনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলের ক্ষয়ক্ষতি স্বচক্ষে দেখেন এবং শিশু কন্যা কে উদ্ধার করে তার পিতা মাতার কাছে ফিরিয়ে দেন। এ ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংশার কথা বলে সময় ক্ষেপন করা হয়। আনোয়ার বাধ্য হয়ে কোন উপায় না দেখে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে শ্যামনগর থানায় এজাহার দাখিল করেন। শ্যামনগর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।