ক্রাইমবার্তা রিপোটঃচাঁদপুর শহরে নিজ বাসায় কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহীন সুলতানা ফেন্সিকে (৫৫) খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় নিহত ফেন্সির ভাই ফোরকান আজ মঙ্গলবার চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় তার স্বামী ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে চাঁদপুর শহরের ষোলঘর এলাকার নিজ বাসার দ্বিতীয় তলায় খুন হন ফেন্সি।
হত্যা মামলায় স্বামী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম এবং দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা জহিরসহ অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
ওই হত্যাকাণ্ডের পরপরই পুলিশ অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম এবং মঙ্গলবার ভোরে চাঁদপুর শহরের নাজিরপাড়াস্থ ভাড়া বাসা থেকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা বেগমকে আটক করে।
অধ্যাপিকা শাহীন সুলতানা ফেন্সি তিন কন্যা সন্তানের জননী। তার দুই মেয়ে ইউরোপে এবং এক মেয়ে কুমিল্লা মেডিক্যালের ছাত্রী। তার স্বামী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম বেশিরভাগ সময়েই শহরের নাজিরপাড়ায় তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে দীর্ঘদিন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ ও মনোমালিন্য চলছিল।
আরো পড়ুন : নিজ বাড়িতে খুন আ’লীগ নেত্রী ফেন্সি
চাঁদপুরে কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সদস্য ও ফরিদগঞ্জ গল্লাক আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শাহিন সুলতানা ফেন্সি (৫৫) নিজ বাসভবনে খুন হয়েছেন। সোমবার রাতে শহরের ষোলঘর পাকা মসজিদ এলাকার নিজ বাসভবন থেকে ফেন্সির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
নিহত শাহিন সুলতানা ফেন্সির ভাই ষোলঘর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নাঈমুর রহমান খান বলেন, ‘অ্যাড. জহিরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী আমার বোন শাহিন সুলতানা ফেন্সি। তার অনুমতি না নিয়ে পাঁচ বছর আগে জুলেখা নামের একটি মেয়েকে বিয়ে করে। এ নিয়ে তাদের পরিবারের মধ্যে মনমালিন্য চলছিল।’
নিহতের আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, শাহীন সুলতানা ফেন্সি তিন কন্যা সন্তানের জননী। তার দুই মেয়ে দেশের বাইরে এবং এক মেয়ে কুমিল্লাতে অবস্থান করেন। তার স্বামী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম গোপনে আরেকটি বিয়ে করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। প্রায় সময়ই জহির তার স্ত্রীকে মারধোর করতো বলে অভিযোগ রয়েছে।
চাঁদপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়ালী উল্লাহ ওলী জানান, খবর পেয়ে গেলে পুলিশ ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় দেখে ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় শোবার ঘরের খাটের সামনে মেঝেতে তার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। মাথায় আঘাতের কারণে শাহীন সুলতানা ফেন্সী নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে । তদন্ত শেষে এই হত্যাকাণ্ডেরর সাথে কারা জড়িত রয়েছে তা বলতে পারবে পুলিশ। এ ঘটনায় অ্যাড. জহিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, শাহিন সুলতানা ফেন্সি চাঁদপুর মহিলা কলেজের সাবেক ভিপি ছিলেন। এছাড়াও তিনি চাঁদপুর জেলে মহিলা লীগের দীর্ঘ দিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।