ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট:ঢাকা : মানুষের বার্ষিক ব্যক্তিগত আয়ের করসীমা প্রস্তাবিত বাজেটে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়নি। চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও আড়াই লাখ টাকা আয় পর্যন্ত কোনো কর দিতে হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে এই প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি জানান, গত অর্থবছরের মতো এবারও দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ে সাধারণ শ্রেণি করমুক্ত থাকবে। কারণ, উন্নত দেশগুলোতে করমুক্ত আয়সীমা সাধারণভাবে মাথাপিছু আয়ের ২৫ শতাংশের নিচে থাকে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘গেল অর্থবছরে মহিলা করদাতাসহ বিভিন্ন শ্রেণির করদাতাদের জন্য এ সীমা কিছুটা বেশি ছিল। করমুক্ত আয়ের সীমা কী হবে, তা নিয়ে এবার প্রচুর আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আমি ১৬টির বেশি বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়েছি।’
‘উন্নয়নশীল দেশগুলোতে করমুক্ত আয়ের সীমা মাথাপিছু আয়ের সামান বা কম থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে করমুক্ত আয়ের সীমা মাথাপিছু আয়ের দ্বিগুণ। তার পরও সব দিক বিবেচনায় আমি নতুন অর্থবছরে করমুক্ত আয়ের সাধারণ সীমা ও করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি। তবে কোনো ব্যক্তি-করদাতার প্রতিবন্ধী সন্তান বা পোষ্য থাকলে এরূপ প্রতি সন্তান বা পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকা হবে।’
অর্থমন্ত্রী জানান, সাধারণ করদাতার দাতার জন্য দুই লাখ ৫০ হাজার টাকায় কোনো কর দিতে হবে না। নারী ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতা তিন লাখ টাকা পর্যন্ত, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি করদাতা চার লাখ টাকা পর্যন্ত, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতা চার লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত আয়সীমায় থাকবেন।
Check Also
ইসলাম-বৌদ্ধ-হিন্দু-খ্রিষ্টান, সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
সব ধর্ম, ইসলাম-বৌদ্ধ-হিন্দু-খ্রিষ্টান, সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চান বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। …