সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:দুই সন্তানের জননী পুলিশের এ.এস আই মাছুমা বিনতে কাদেরকে সাতক্ষীরায় এক কলেজ ছাত্রের সাথে জোর পূর্বক বিয়ে দেয়ার জন্য তালা থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তালা উপজেলার ঘোনা গোপালপুর গ্রামের মৃত হারুন অর রশিদ খানের ছেলে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ আবু হোসেন খান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বড় ছেলে খান নাজমুল হুসাইন বর্তমানে মাষ্টার্সে অধ্যায়নরত। মাত্র ২০/২৫ দিন আগে ফেসবুকের মাধ্যমে মাগুরা সিআইডিতে কর্মরত মাছুমা বিনতে কাদেরের সাথে নাজমুল হুসাইনের পরিচয় হয়। এর কয়েকদিন পর মাছুমা বিনতে কাদের পদন্নোতি পেয়ে খুলনার মেট্রোপলিটন জজ কোর্টে পুলিশের এ.এসআই হিসাবে যোগদান করেন। খুলনায় যোগদানের পর তাকে বিয়ে করার জন্য তিনি আমার ছেলের উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। এসময় আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে, মাছুমা বিনতে কাদের এর আগে তিনটি বিয়ে রয়েছে এবং তিনি দু’টি মেয়ে সন্তানের জননী। তার বর্তমান বয়স ৪৫ বছর আর আমার ছেলে বয়স মাত্র ২৭ বছর। বয়সের অনেক পার্থক্য ও দুই সন্তানের মা হওয়ায় আমার ছেলে তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১ জুন রাত ১১টার দিকে ওই মহিলা আমার বাড়িতে ্এসে একটি ঘর দখল করে এবং বলতে থাকে নাজমুল আমাকে বিয়ে না করলে আমি এখানেই থাকবো। এভাবে বসে থেকে পরদিন বিকাল ৫টার দিকে চলে যাওয়ার সময় ডিএসবি’র মাসুদের উপস্থিতিতে সে আমার স্ত্রীকে বলে যদি আপনার ছেলেকে আমার সাথে বিয়ে না দেন তাহলে ওকে গুলি করে হত্যা করা হবে। এর পর খুলনায় বসে ফোন করে সে ছেলে রাজি করার জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রশর্দন করছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,৭ জুন ইফতারের আগ মূহুর্তে তালা থানার দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে মাছুমা তার একটি মেয়েসহ আমাদের বাড়িতে আসে। এসময় ওই দুই এসআই আমার নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায় তারা আমাকে বলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মাছুমার সাথে আমার ছেলে বিয়ে দিতে হবে না হলে স্বপরিবারে ক্রমফায়ারে হত্যা করবো বলে হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে। বিষয়টি তালা থানার ওসি মেহেদী রাসেলকে জানালে তিনি এবিষয় কিছু জানেন না বলে জানান। তবে বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে আশ্বস্থ করেন। একজন প্রতারক পুলিশ কর্মকর্তার মুখের কথায় কোন অভিযোগ ছাড়াই ভদ্র লোকের বাড়িতে গিয়ে স্ব পরিবারে হত্যার হুমকি দেয়া কতটা আইন সঙ্গত, পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার কাছে এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি। বর্তমানে ওই মহিলাসহ তালা থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তার ভয়ে আমরা ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছি। তিনি প্রতারক দুই সন্তানের জননী মাছুরার খপ্পর থেকে ছেলেকে রক্ষা ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Check Also
সাতক্ষীরায় ৪ গ্যালন ফরমালিন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ গ্যালন ফরমালিন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। তবে এসময় …