সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।
সুন্দরবনের বনদস্যু আটকে পুলিশের সহযোগিতা করায় বনদস্যু ছোট ভাই বাহিনীর সদস্যরা উল্টো সাতক্ষীরার শ্যামনগরের এক কলেজ ছাত্র ও তার পরিবারের সদস্যদের ডাকাত বানানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সাতক্ষীলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার দাতিনাখালী গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম মোড়লের ছেলে শ্যামনগর সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র আশিকুজ্জামান সবুজ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৫ মে তেরকাটি খালে বনদস্যু দলের সদস্যরা হানা দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গফ্ফার নামের এক বনদস্যুকে আটক করে। এসময় আমি ওই বনদস্যু সদস্যকে আটকে পুলিশকে সহযোগিতা করি। এতে দস্যু দলের অন্য সদস্যরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ওই দস্যু/ডাকাত দলের সাথে জড়িত রয়েছে একই এলাকার গণি সানার ছেলে আলম সানা, শাহ আলম সানা, শাহ জালাল সানা ও ছোট সানা। শাহ আলমের বড় ভাইয়ের সাথে ডাকাত গফ্ফারের একটি গোপন ফোনালাপ শুনতে পাওয়ায় সেদিন গফ্ফারকে আটক করা সহজ হয়েছিল। গফ্ফার ডাকাতকে আটকে পুলিশকে সহযোগিতা করায় তারা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ২৯ মে সুন্দরবনে মাছ ধরা অবস্থায় ডাকাত দলের সদস্যরা আমার চাচাত ভাই মহিউদ্দিনকে আটক করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার দিয়ে মিথ্যে স্বীকারোক্তি করিয়ে সেটির ভিডিও ধারণ করে। ওই স্বীকারোক্তিতে আমাকে মোড়ল বাহিনীর প্রধান ও আমার বাবাসহ এলাকার ৮/১০ জন নিরীহ মানুষকে ডাকাত বলতে বাধ্য করা হয়। পরবর্তীতে আমার চাচাত ভাইকে ছেড়ে দিলেও ওই পরিকল্পিত মিথ্যে ভিডিওটি নাকি র্যাব-৬ ও র্যাব-৮ সহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারি সংস্থার কাছে পৌছে দেয়া হয়েছে বলে প্রচার দিচ্ছে ছোট ভাই বাহিনীর সদস্যরা। শুধুমাত্র ডাকাত আটকে সহযোগিতা করায় আমাকে ও আমারা বাবাসহ এলাকার নিরীহ মানুষকে ডাকাত বানিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে ছোট ভাই বাহিনীর সদস্য আলম ও শাহ আলম সানা ওরফে ননে সানা। এছাড়া আমাদেরকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করাসহ খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে তারা। ফলে তাদের ভয়ে আমরা বর্তমানে ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছি।
তিনি নিজে ও তার পিতাসহ এলাকার নিরীহ মানুষের মিথ্যে হয়রানি থেকে রক্ষা, পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
০৯.০৬.১৮