ক্রাইমবার্তা রিপোট: কুড়িগ্রাম: রৌমারী থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা যৌতুক মামলার বাদীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই চান মিয়ার বিরুদ্ধে। শনিবার ভোররাত পর্যন্ত বিয়ের নাটকের পর অভিযুক্ত এসআই রৌমারী থানা থেকে পালিয়ে যান।
শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে রৌমারী উপজেলা শহরের কলেজ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসআই চান মিয়াকে ক্লোজড করার নির্দেশ দিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মামলা তদন্ত করার কথা বলে ডেকে নিয়ে উপজেলার কলেজ পাড়ার একটি বাসায় ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে এসআই চান মিয়া। গৃহবধূর চিৎকারে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করেন স্থানীয়রা। এ সময় তাকে গণধোলাই দেয়া হয়। পরে রৌমারী থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চান মিয়াকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর অভিযোগ, ‘আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় যৌতুকের অভিযোগ দায়ের করেছি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই চান মিয়া বিভিন্ন সময় আমাকে ডেকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিতে থাকেন।
শুক্রবার দুপুরে আমাকে বিয়ে করবেন বলে একটি বাসায় ডেকে নিয়ে আসেন। কিন্তু বিয়ের আয়োজন না করে আমাকে ঘরের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। আমি এর বিচার চাই।’ স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনা ধামাচাপা দিতে রৌমারী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম এসআই চান মিয়াকে কৌশলে সরিয়ে দিয়েছেন।
রৌমারী কলেজ পাড়ার বাসিন্দারা জানান, নিজের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এসআই চান মিয়া ওই নারীকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। পরে নারীর চিৎকার শুনে গ্রামবাসী হাতেনাতে আটক করেন। ঘটনা সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত এসআই চান মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
রৌমারী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা আমি জানি না। চান মিয়া বলেছেন তারা আগেই বিয়ে করেছেন। তাকে বিয়ের প্রমাণপত্র আনতে বললে তিনি থানায় আর ফেরেননি। কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম জানান, অভিযুক্ত এসআইকে ক্লোজড করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …