ক্রাইমবার্তা রিপোট: রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানাধীন কলেজগেট এলাকায় এক তরুণীকে প্রাইভেটকারে তুলে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার সকালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এর আগে রোববার রাতে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা হয়।
এদিকে অভিযুক্ত যুবক মাহামুদুল হক রনিকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ সোমবার বিকালে যুগান্তরকে বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, সকালে রনিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন শেরেবাংলা নগর থানার এসআই মিনহাজ উদ্দিন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবিব তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শনিবার গভীর রাতে এক তরুণীকে কলেজগেট এলাকায় রনি এক তরুণীকে প্রাইভেটকারে তুলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠে। এ কাজে তাকে সহায়তা করে তার গাড়িচালক ফারুক। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মাহামুদুল হক রনি নামে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে পথচারীরা। ফারুক নামে অভিযুক্ত অপর যুবক পালিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, প্রাইভেটকারে তুলে ধর্ষণচেষ্টার সময় পথচারীরা বিষয়টি টের পেয়ে যায়। পরে তারা প্রাইভেটকারটি আটক করে তরুণীকে উদ্ধার করে। এ সময় দুই যুবককে গণধোলাই দেয়। এ সময় গাড়ির চালক ফারুক কৌশলে পালিয়ে যান। গাড়ির মালিক রনিকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়।
থানা পুলিশের ভাষ্য, রনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি জিগাতলায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক পাস করেছেন। তিনি ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে রনি নামের ওই তরুণকে বিবস্ত্র করে গণধোলাই দেয়ার ভিডিওটি এরই মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। আটক যুবক ঘটনার সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।