সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে স্ত্রীর পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাতক্ষীরা জামায়াতে ইসলামীর প্রতীষ্ঠাকালীন কিংবদন্তি বর্ষীয়ান জননেতা গোলাম রহমান পাঞ্জাতুন । সাতক্ষীরা ইসলামী আন্দোলনের রূপকার এই নেতার নামাযে জানাযায় হাজারো মানুষের ঢলনামে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দুই ছেলে দুই মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগাহী রেখে গেছেন তিনি। প্রতিষ্ঠা করেছেন অসংখ্য ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
মঙ্গলবার দুপুরে আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়নের পাইখালি গ্রামের তৃতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হয়। জানাযা পূর্বসমাবেশে স্বতস্ফুর্ত জনতার উপস্থিতি ছিল অভুতপূর্ব। প্রিয় মানুষটিকে শেষ বিদায় জানাতে, তার প্রিয়মুখ একটি বারের জন্য দেখাই যেন তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।
সকাল ৯টায় তার কর্মস্থাল সাতক্ষীরা জামায়াত অফিস সংলগ্ন মোসলেমা কিন্ডারগার্ডেন মাঠে জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়ে। মরহুমের হাতেগড়া মসজিদ পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মসজিদের ইমাম মাওলানা আয়রুল বাশার তাঁর নামাজের ইমামতি করেন। দুপুরে নামায শেষে নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে এই কিংবদন্তি নেতাকে দাফন করা হয়। জানাযা নামাযে বিভিন্ন শ্রেণী পেষার মানুষ অংশ নেয়।
মরহুমের বাসায় শোকার্ত মানুষের ঢল : সকাল থেকেই মরহুমের বাসায় ছিল শোকার্ত মানুষের ঢল। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত— থেকে মরহুমের লাশ এক নজর দেখার জন্য বাসায় ভীড় জমাতে থাকে জনতা। সবার মুখে মুখেই ছিল কালেমা শাহাদাতের শব্দধ্বনি। কালেমা শাহাদাতের উচ্চারণে আলোড়িত করে আগত নেতাকর্মীদের। প্রাণপ্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে অনেকে আবেগ- আপ্লুত হয়ে পড়েন। গত সোমবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তিকাল করেন। সাতক্ষীরা যে পাঁচজনের হাতে ইসলামী আন্দোলন প্রতিষ্ঠা হয়ে ছিলেন, গোলাম রহমান ছিলেন তার মধ্যে অন্যতম।
Check Also
বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন
দেবহাটা প্রতিনিধি: স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার এবং বিএনপির …