ক্রাইমবার্তা রিপোট:ঢাকা : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিএমএইচের চেয়ে ভালো হাসপাতাল আর নেই, বিএনপি আন্দোলনের সব ইস্যুতে ব্যর্থ হয়ে এখন খালেদা জিয়ার চিকিৎসাকে ইস্যু করছে। তিনি বলেন, সেনা পরিবারের সদস্য হয়েও কেন সিএমএইচে আস্থা নেই?
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের যাত্রা ব্যবস্থাপনা দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি জানতে চাই, বিএনপি কি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চায়? না এ নিয়ে রাজনীতি করতে চায়? সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) যাদের পছন্দ না, নিশ্চই তারা এ নিয়ে রাজনীতি করতে চাচ্ছে?’ তিনি বলেন, সেনা পরিবারের সদস্য হয়ে কেন সিএমএইচে আস্থা নেই? এই সুযোগটি বিএনপি না নিয়ে রাজনৈতিক ইস্যু খুঁজছে। সিএমএইচ আর্মি পরিবারের সদস্যদের জন্য অথচ সিএমএইচকে বিশ্বাস করে না, এটা কেমন কথা?
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়াকে সর্বশেষ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সিএমএইচে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। এর চেয়ে ভালো চিকিৎসা কি বাংলাদেশের কোথাও আছে? ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে এখানে যা যা যন্ত্রপাতি চিকিৎসার জন্য আছে, বাংলাদেশে সুচিকিৎসার জন্য সিএমএইচের চেয়ে ভালো আর কেউ গ্যারান্টি দিতে পারবে না।
এর আগে বিভিন্ন বাসের কাউন্টার ঘুরে ঘুরে দেখেন মন্ত্রী কাদের। এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রা স্বস্তির এবং ঝামেলা ছাড়া হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।রাস্তাঘাটে কোনো যানজট নেই, মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি যাচ্ছে
—0——
ঈদে ঘরমুখী মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই : রিজভী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আর একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের ঘরমুখী মানুষের দুর্ভোগকে আমলে না নিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন- রাস্তাঘাটে কোনো যানজট নেই, মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি যাচ্ছে।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- ঈদে ঘরমুখী মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। খানাখন্দে ভরপুর রাস্তাঘাটে বৃষ্টির পানি, কাদায় লুটোপুটি খাচ্ছে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-উত্তরাঞ্চল, ঢাকা-ময়মনসিংহসহ সব সড়ক-মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটে পড়ে মানুষকে সীমাহীন কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। শুধু টঙ্গী-জয়দেবপুর পার হতেই লাগছে ৫-১০ ঘণ্টা।
সেতুমন্ত্রী বছরজুড়ে বাকোয়াস অমৃত বচন শুনিয়ে মানুষের মনকে জয় করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। কথার ফুলঝুরি ছাড়া বছরব্যাপী রাস্তাঘাট নির্মাণে সেতুমন্ত্রীর উদ্যমী প্রচেষ্টা ছিল না। খানাখন্দে ভরা সড়কের কারণে অর্ধেক জনগোষ্ঠী ঈদে বাড়ি যায়নি।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ লোক ঝুঁকছে ট্রেনের দিকে, সেখানে দুর্ভোগের সীমা নেই, সিডিউল বিপর্যয় আর যাত্রীদের ভিড়ে জীবনের চরমঝুঁকি নিয়ে বাদুড়ঝোলা ঝুলে বাড়ি যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে মানুষ। কাজেই সেতুমন্ত্রীর বক্তব্য জনগণের সঙ্গে ইয়ার্কি-ঠাট্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।