শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা ॥ শ্যামনগর-ভেটখালী সংযোগ সড়ক ধুমঘাটের জামিয়া ইসলামিয়া রশিদিয়া হোসাইনাবাদ মাদ্রাসায় এলাকার মুসল্লীদের পাশাপাশি দেশ বিদেশের প্রায় ৩৫/৩৬ টি জেলা থেকেও মুসল্লীগন ইতেকাফে শরীক হয়েছেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রমজানের শেষ ১০ দিনের ইতেকাফে মুসল্লিদের উপস্থিতিতে মুখরিত ধুমঘাট মাদ্রাসা। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও হাঁটি হাঁটি পা পা করে ইতিমধ্যে এতদাঞ্চলের এ মাদ্রাসা টি দেশজুড়ে ব্যাপক সুনাম অর্জনে সমর্থ হয়েছে। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোহতামিম মাওঃ মিজানুর রহমান বলেন, মানুষ ইমান আখলাক থেকে দুরে সরে যাচ্ছে, দেশে ইসলাম বিরোধী নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে, তাদের আত্মশুদ্ধির জন্য সীমিত পরিসরে সকলের সহযোগীতা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়। মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে হেফজখানা, কেরাত খানা ও কিতাব বিভাগে অধ্যায়নের সুযোগ রয়েছে। যেখানে প্রায় ৪০ জনেরও বেশী শিক্ষার্র্থী লেখাপড়া করছে। আল্লাহ আকবর আর লা ইলাহা ইল্লাহ – ধ্বনিতে যেন প্রকম্পিত হয়ে উঠতে থাকে গোটা মাদ্রাসা প্রাঙ্গন। অনেকে রোয়ার শুরু থেকে এত্তেকাবে বসলেও অধিকাংশ মুসল্লী শেষ দশ দিনের জন্য ইত্তেকাফে বসেছেন আল্লাহ পাকের পানাহ লাভের আশায়।ইত্তেকাফে বসা হযরত মাওলানা রফিকুর রহমান বলেন, তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে এসেছেন ইত্তেকাফে বসার নিয়তে। হবিগঞ্জ জেলা সদরে বাড়ি হলেও কর্মস্থলসুত্রে সিলেটে অবস্থানরত হাফেজ মাওলানা কুতুবুল আলম জানান, এটা নিয়ে তিনি দ্বিতীয় বার এ মাদ্রাসায় এসেছেন এত্তেকাবের নিয়তে। এখানে এসে নিজের আমলকে আরও মজবুত করার মানসে তিনি সার্বক্ষনিক এবাদত বন্দেগীতে ব্যস্থ থাকেন দাবি করে বলেন, ১৩ বছর আগে এ মাদ্রাসার মোহতামিম নংরশিদী থাকার সময় তার সাথে পরিচয়। পরবর্তীতে মোহতামিম এখানে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার খবরে এতদুর পাড়ি দিয়ে হলেও রোযার মাসে আল্লাহ পাকের একান্ত নৌকাট্য লাভের আশায় এখানে আসি।
