ক্রাইমবার্তা রিপোটঃফরিদপুর :ফরিদপুরে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৬ জন নেতা-কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের সোনামূয়ী গ্রামে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি-সংলগ্ন কয়রাবাড়ি জামে মসজিদ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ দাবি করেছে, জামায়াতের লোকজন সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ ক্ষতিগ্রস্ত করতেই সেখানে গোপনে বৈঠক করছিলেন। তবে জামায়াত নেতার দাবি, ঈদ পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠান থেকে এ গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের মধ্যে জামায়াতের ফরিদপুর অঞ্চলের অঞ্চল সহকারী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য দেলোয়ার হোসেন (৬৫), ভাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমির ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসাইন (৬০), উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি রোকনউদ্দিন খান (৬৭), ভাঙ্গা উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম (৩৮), চান্দ্রা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আকতাবউদ্দিন (৬৪), চান্দ্রা ইউনিয়ন সেক্রেটারি আবদুস সালাম মুন্সী (৬৫), তুজারপুর ইউনিয়নের আমির ফজলুর রহমান (৬৫), জামায়াতের রুকন এনায়েত হোসেন (৫১), রুকন মো. আকতার তালুকদার ((৫৩), রুকন মজিবর রহমান মোল্লা (৬০), রুকন রহিসউদ্দিন (৬০), রুকন তৈয়ব আলী মোল্লা (৫১), ভাঙ্গার সরকারি কে এম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আরিফুজ্জামান (৪২) প্রমুখ রয়েছেন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু প্রকল্পের আওতায় ভাঙ্গা চৌরাস্তা পর্যন্ত চার লেন কাজ, ভাঙ্গা চৌরাস্তার নির্মাণাধীন উড়ালসড়কের কাজ বা যন্ত্রাংশের ক্ষতি সাধন করা কিংবা এ কাজে নিয়োজিত বিদেশি নাগরিকদের জানমালের ক্ষতিসাধনের চেষ্টার অভিযোগে আনা হয়েছে। এ অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামসুল হক বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিরাজ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জেলা জামায়াতের আমির আবদুদ তাওয়াব বলেন, ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে প্রকাশ্যে দিবালোকে জামায়াত ও স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মসজিদে সভা করছিলেন। ওই সভা থেকে জামায়াত নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হয়। ‘সকাল আটটা-নয়টার সময় প্রকাশ্যে কেউ গোপন বৈঠক করে না’ মন্তব্য করে আবদুদ তাওয়াব অবিলম্বে নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।