আৎকে উঠার মতোই খবর। আর্জেন্টিনা ভক্তদের চিন্তিত হবার কোন কারন নেই। এই মেসি আর্জেন্টিনার মেসি নন। তিনি হলেন ইরানের রেজা পারাসতেশ। মেসির লুক এ লাইক।গেল কয়েক মাসে রেজা পারাসতেশ ইরানে রীতিমতো মহাতারকা হয়ে উঠেছেন।
লিওনেল মেসির সাথে তার চেহারা-অবয়বের প্রচুর মিল। বিশ্বকাপের সময়তো আরো বেশি উচ্চতায় উঠে গেছেন রেজা। মেসির লুক এ লাইক হওয়ায় হয়রানিও কম হয়নি। খবর বেরোয় ইরানিয়ান মেসি নাকি রাশিয়ান পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। এমন খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে রেজা নিজেই সংবাদটা উড়িয়ে দেন। মেসির আদলের কারণে ওখানে তার প্রচুর ফলোয়ার। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের সাথে মিলের কারণে খ্যাতির বিড়ম্বনার কথা স্বীকার করে পোস্ট দিয়েছেন। ওখানে সামনে পেছনে পুলিশের সাথে হেঁটে যেতেও দেখা যাচ্ছে তাকে।
এবারই প্রথম নয়। ইরানের মেসি রেজাকে গেল বছর একবার পুলিশ স্টেশনে কাটিয়ে আসতে হয়েছে। তার গাড়ীও জব্দ করা হয়েছিল। কারণ, হামাদান শহরের পথের মাঝে তাকে নিয়ে ভক্তরা এমন হই চই করতে থাকেন যে রাস্তাই বন্ধ হয়ে যায়। সবাই তার সাথে সেলফি তুলতে চান। রেজাও সানন্দে খ্যাতি উপভোগ করার শাস্তিতে শেষে পুলিশের সাথে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে নিজের গাড়িটাকেই হারান।
চলমান বিশ্বকাপে রাশিয়ায় হঠাৎ খবর, পথ থেকে রাশিয়ার পুলিশ মেসির মতো দেখতে রেজাকে গ্রেফতার করেছে। রেজা এখন মস্কোতে। তার দেশ খেলছে। কিন্তু তাকে নিয়ে আরো বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। মস্কোতে তাকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হয়েছে বলে জানা যায়।
কিন্তু নিজের ইনস্টাগ্রামে সব পরিষ্কার করেছেন ইরানিয়ান মেসি, ‘ইরানে গুজবটা ছড়িয়ে পড়েছে যে মস্কোতে জনগণের ভোগান্তির কারণ হওয়ায় আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা সত্যি না। আসলে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা ফ্যানরা আমার সাথে সেলফি তুলতে থাকেন। তাতে ট্র্যাফিক জ্যাম হয়ে যায়। এটা দেখে মস্কোর পুলিশম্যানরা আমাকে খুব বিনীতভাবেই এসকর্ট করে ক্রেমলিন ওয়ালের দিকে নিয়ে যান। আমাদের মধ্যে চমৎকার আলাপ হয়। তারাও আমার সাথে সেলফি তুলেছেন এবং অটোগ্রাফ নিয়েছেন।’