ক্রাইমবার্তা রিপোটঃসেই ১৯৬৬ সালে শিরোপা ছুঁয়ে দেখেছে ইংল্যান্ড। এরপর অতিক্রান্ত হয়েছে অর্ধশতকেরও বেশি সময়। তবে তা স্পর্শ করে দেখার আর স্বাদ হয়নি ইংলিশদের।
এবার সেই খরা ঘোচাতে মরিয়া তারা। সেই লক্ষ্যে মিশনে নামেন গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। তারা মুখোমুখি হন তিউনিশিয়ার।
অভিযাত্রাটাও শুভ হলো ইংল্যান্ডের। ওয়ান ম্যান শোতে জিতল সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। জোড়া গোল করে তাদের ২-১ ব্যবধানের রোমাঞ্চকর জয় এনে দিয়েছেন প্রাণভোমরা হ্যারি কেন।
সূচনাটা দুর্দান্ত হয় ইংল্যান্ডের। শুরুতে দারুণ খেলেন তারা। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে ব্যতিব্যস্ত রাখেন ডেলে আলি, জেসে লিংগার্ড, হ্যারি কেনরা। ১১ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরা কেন।
তবে পরে হ্যারি কেন ঝড়ের গতিটা ধরে রাখতে পারেননি ইংলিশরা। গোল হজম করে এর মাশুল গুণতে হয় তাদের। সফল স্পট কিকে ইংল্যান্ডের জালে বল জড়ান ফারজানি সাশি।
৩৩ মিনিটে ডি বক্সে ফাখরেদ্দীন বেন ইউসেফকে ফাউল করেন কাইল ওয়াকার। এতে পেনাল্টি পায় তিউনিশিয়া। তা থেকে গোল করতে মোটেও ভুল করেননি সাশি। শেষ পর্যন্ত ১-১ সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুদল।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে ইংল্যান্ড। মুহূর্মুহু আক্রমণ দাগাতে থাকেন তারা। তবে তাদের সব প্রচেষ্টাই নস্যাৎ করে দেন তিউনিশিয়ার রক্ষণসেনারা।
উল্টো কাউন্টার অ্যাটাকে ইংলিশ শিবিরে ভীতি সঞ্চার করেন তিউনিশিয়ানরা। প্রাণপণ লড়ে যান তারা। ৯০ মিনিট পর্যন্ত সমতা বজায় রাখেন আফ্রিকান সাদারা।
মনে হচ্ছিল, ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ছে মুসলিম অধ্যুষিত দলটি। তবে নাটকের তখনো বাকি ছিল। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে স্টাইলিশ হেডে বল ঠিকানায় পাঠিয়ে তাদের হৃদয় ভাঙেন কেন।