খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রশাসন যে ভাবে সহযোগীতা করে ছিল গাজীপুর সিটি নির্বাচন ও একই ভাবে সহযোগীতা করবে :: সিইসি

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ   প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয় এবং এর পেছনে প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।

বুধবার বেলা ১১টায় গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।

সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আশ্বাস দিয়ে সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ মতপ্রকাশ করেছেন সভায়। তারা ২৬ জুন সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রশাসনের ভূমিকা ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ ছিল- সাংবাদিকদের এমন বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে সিইসি বলেন, ‘প্রশাসন নির্বাচন “স্টাফিং” (ভোট জালিয়াতি) করেছে-এই বক্তব্য আমি প্রত্যাখ্যান করি। প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা করছে, নির্বাচন (গাজীপুর সিটি) সুষ্ঠু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কোনো কারণে নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে বা প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে’।

ভোটের দিন নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত-এমন উদ্বেগ নাকচ করে দিয়ে কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘গাজীপুর এত বড় সিটি। তফসিল ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত এখানে (গাজীপুর) কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আশা করছি, নির্বাচনের দিনও পরিবেশ ভালো থাকবে, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে’।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার আচরণবিধি ভঙ্গের লাগাতার অভিযোগের বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বিএনপি প্রার্থী কোন ক্ষেত্রে বিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, তা সুনির্দিষ্ট করেননি। সেটি সুনির্দিষ্ট করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

এছাড়া সভায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সংস্থা অংশ নেয়।

আগামী ২৬ জুন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মেয়র পদে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন বিএনপি মনোনীত হাসান উদ্দিন সরকার ও আওয়ামী লীগ মনোনীত জাহাঙ্গীর আলম। মেয়র পদ ছাড়াও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড মিলিয়ে ৭৬ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে। ১৮ জুন থেকে প্রার্থীরা সেখানে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। এবার ছয়টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে ইসি।

Check Also

আশাশুনিতে টঙ্গী ইজতেমায় হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।ঢাকার টঙ্গীত ইজতেমা-মাঠে নিরীহ মুসল্লিদের উপর উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের বর্বরোচিত হামলা ও পরিকল্পিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।