পশ্চিমা বিশ্ব যথার্থই মানবাধিকারবাদের পথে তার সংগ্রামের জন্য গর্ববোধ করতে পারে, আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে স্টোয়িকদের পর থেকেমানবাধিকারবাদের ধারণার স্ফুরণ নির্দিষ্টভাবে খ্রিষ্টীয় সভ্যতার পরিমণ্ডলেই ঘটেছে। অবশ্য এই অগ্রগতির মাইলফলকগুলো হচ্ছে ১২১৫ সালে ম্যাগনাকার্টা লিবার্ট্যাটাম, ১৬৭৯ সালের হেবিয়াস কর্পাস অ্যাক্ট, ১৬৯৮ সালের ব্রিটিশ বিল অব রাটইস, ১৭৭৬ সালের আমেরিকান স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৭৮৯ সালের ফরাসি ডিক্লারেশন অব হিউম্যান অ্যান্ড সিভিল রাইটস।
যা ইতোমধ্যেই প্রতিটি অর্ধশিক্ষিত মানুষের সাধারণ জ্ঞানের বিষয় হয়ে গিয়েছে। এর মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবটি সুদূর প্রসারী। ধারণা প্রচার করা হচ্ছে যে,এই আন্দোলনের আইনগত অগ্রযাত্রা একটি বিশ্ব আদর্শ হিসেবে আত্মপ্রতিষ্ঠা প্রাপ্তির স্বভাবসিদ্ধ দাবিদার। তাদের বিশ্বাস, এটাই এই বিশেষ ক্ষেত্রেমানবজাতির ইতিহাসে চূড়ান্ত অগ্রগতি এবং তাদের তুলনায় বিশ্বের অবশিষ্টাংশ, বিশেষত ইসলামী বিশ্ব এখনো প্রায় বর্বর অবস্থায় রয়েছে, যদিও এ দাবি এবং দোষারোপের অন্তঃসারশূন্যতা সম্পর্কে তারা মোটেই সচেতন নয়।
এই পটভূমিতে পশ্চিমা বিশ্বের বিজয়াভিযানে দলিল হিসেবেই যেন রচিত হয়েছে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বরের ‘ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস অব দি ইউনাইটেড নেশনস’-এর ১৯৬৬ সালের ১৯ ডিসেম্বরের (ক) নাগরিক ও রাজনৈতিক এবং (খ) অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের ধারাসংবলিত দু’টি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যদিও এর কোনোটিই বাধ্যতামূলকভাবে প্রয়োগযোগ্য নয় তবুও অনেক মুসলিম রাষ্ট্র ইতোমধ্যেই এগুলোকে আত্মীকরণের আনুষ্ঠানিক অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
প্রকৃতপক্ষে এগুলো কিন্তু অগ্রযাত্রার একটি নিরবচ্ছিন্ন ধারার ইতিহাস নয়। বাস্তব ঘটনাস্রোতে বার বার এই অগ্রযাত্রার ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভিন্নখাতে প্রবাহিত হয়েছে, যার কোনো একটি বিশেষ বিচ্ছিন্ন ঘটনাই মানবাধিকারবাদের স্বপ্নসৌধকে ধূলিসাৎ করে দিতে যথেষ্ট।
মানবাধিকারবাদকে একটি স্থায়ী আদর্শগত ভিত্তির ওপর স্থাপন করতে গেলে প্রথমে মৌলিক অধিকারের স্বরূপটি বুঝতে হবে, যেভাবে ইসলাম শিক্ষা দেয় ঠিক সেভাবে। এটি অবশ্যই খোদাপ্রদত্ত অধিকার, কোনো অবস্থাতেই মানুষের উদ্ভাবন নয়, বরং একটি শাশ্বত সত্যের ‘উদঘাটন’ মাত্র।
ইসলামী ধারণা অনুসারে অধিকার বলতে মানুষের যা কিছু আছে বা যা কিছু সে দাবি করতে পারে তার সবই ঐশী উৎস থেকে উত্থিত হতে হবে;কুরআন অথবা রাসূল সাঃ-এর সুন্নাহর মাঝে তার নির্দেশ বা সমর্থন থাকতে হবে।
ইসলামী আইন বিজ্ঞান এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট স্পষ্ট। মৌলিক অধিকার মানুষের কল্পনাপ্রসূত হতে পারে না, সে এটাকে ঐশী বিধানের মাঝে খুঁজে পায় মাত্র। এভাবে ইসলামী আইনতত্ত্বের মাঝেই মানবাধিকারবাদ তার সবচেয়ে শক্ত ভিত্তিভূমি প্রাপ্ত হয়। তা সত্ত্বেও আধুনিকতম ইসলামী আইন সাহিত্যের মানবাধিকারবাদকে স্বতন্ত্র ঔজ্জ্বল্যে ভাস্বর কোনো অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত থাকতে দেখা যায় না। বস্তুতবিধান হিসেবে এগুলোকে অধিকার শ্রেণীভূক্ত করাও হয় না।
অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্য এই অনুসিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া ঠিক হবে না যে, ইসলামে মানবাধিকারবাদ অপ্রতুল আইন সমর্থনপ্রাপ্ত হয়। ইসলামী আইন সাহিত্যের রচনাশৈলীই এমন যে, এখানে মানবাধিকারবাদ একটি ভুইফোঁড় স্বাতন্ত্র্য নিয়ে অস্তিত্ববান নয় বরং অন্যান্য শস্যজাত উদ্ভিদের সাথে সমান আদরে এবং সমান উচ্চতায় তার শস্যকে শিরোভাগে ধারণ করে। যেহেতু এখানে সব আইনই ঐশী বিধান প্রসূত সেহেতু এখানে সবগুলোর মর্যাদাই সমান। ইসলামী সাহিত্যে মানবাধিকারবাদকে একটি স্বতন্ত্র আঙ্গিকে লালন না করে তার অন্য বিষয়গুলো, যথা বৈবাহিক আইন, ফৌজদারি আইন,অর্থনৈতিক আইন ইত্যাদির সাথে একই আয়তনে একই মর্যাদায় লালন করা হয়। আইন পাঠ্যসূচিতে বিদেশীদের (আজনবি) যে অধিকার বর্ণিত হয়েছে তা বর্তমানকালের পাশ্চাত্য পদ্ধতির সবচেয়ে নিকটবর্তী অধ্যায়।
পাশ্চাত্য আইন বিজ্ঞানের সাথে ইসলামী আইন বিজ্ঞানের আরো একটি পার্থক্যসূচক দিক হচ্ছে, এখানে মানবাধিকারবাদসহ সব ধরনের অধিকার পদবাচ্য বিষয়গুলোকে তখনই সুনিশ্চিত মনে করা হয় যখন ইসলামী সমাজ এবং আইনব্যবস্থা সূচারুরূপে ক্রিয়াশীল থাকে, অর্থাৎ ইনসাফের সুউচ্চ ধারণাটি তখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব যখন পুরো সমাজদেহটি সুস্থভাবে বাঁচতে সক্ষম হয় অনৈসলামিক পরিবেশে ইসলাম মানবাধিকারবাদতো দূরের কথা সাধারণভাবে ন্যায়বিচারকেই নিরাপদ মনে করে না। এগুলোকে একটি সুস্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিচার করা হয়।
যেহেতু পদ্ধতি অপেক্ষা বিষয়বস্তুই অধিক গুরুত্ব বহন করে সেহেতু আমাদের সর্বাগ্রে বিচার করতে হবে যে, ইসলাম তত্ত্বগতভাবে মানবাধিকারবাদকে সমর্থন করে কি না। তার পর বিচার করতে হবে বাস্তব সামাজিক পরিবেশে এই তাত্ত্বিকক সমর্থন কতখানি অনুসৃত হচ্ছে বা আদৌ অনুসৃত হচ্ছে কি না?
সৌভাগ্যক্রমে রাষ্ট্র ও নাগরিকের অধিকারের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইসলামী ও পাশ্চাত্য বিধানের মাঝে কোনো বৈশাদৃশ্য নেই। কুরআনি বিধান নিুলিখিত মৌলিক অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা প্রকাশ করেঃ জীবন, দৈহিক অলঙ্ঘনীয়তা, স্বাধীনতা, সমঅধিকার, নাগরিকদের মাঝে পার্থক্যসূচক বিভেদ না রাখা,সম্পত্তি, বিবেকের স্বাধীনতা, বিবাহ, আত্মপক্ষ সমর্থন, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আইনের দৃষ্টিতে নিষ্পাপ মর্যাদা, (হঁষষধ ঢ়ড়বহধ ংরহব ষবমব) সতর্ক না করে শাস্তি আরোপ না করা, নির্যাতন থেকে প্রতিরক্ষা এবং বিদেশী নাগরিককে প্রদেয় রাজনৈতিক আশ্রয়। এসবই আজ থেকে ১৪০০ বছর আগেই আইনগতভাবে নিশ্চিত হয়ে রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাশ্চাত্য মানবাধিকারবাদের বিধিমালার সাথে ইসলামের কিছু মৌলিক পার্থক্যও বর্তমান। যেমনঃ
১. ১৯৫০ সালের ৪ নভেম্বর ইউরোপীয় মানবাধিকারবাদ সংক্রান্ত কনভেনশনে নারী ও নরের মাঝে যে সমতার বিধান, বিশেষত আইনগত ও বৈবাহিক ক্ষেত্রে রাখা হয়েছে, মুসলিম দেশগুলোর পক্ষে সেগুলোকে ঠিক যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় আত্মীকরণ করা সম্ভব নয়। নরের সাথে তুলনা করতে গিয়ে ইসলামী আইন নারীদের প্রতিপক্ষে একদেশদর্শী হতে সম্মত নয়, কারণ ইসলামী আদর্শ মতে যা কিছু প্রকৃতিগতভাবেই সমধর্মী এদেরকে ভিন্ন পাল্লায় মাপাও যুক্তিসঙ্গত নয়। এটাই হচ্ছে বর্তমান বিষয়বস্তুর মূল প্রতিপাদ্য বিষয়; পশ্চিমা বিশ্ব নারী ও নরের মধ্যকার প্রকৃতিগত পার্থক্যকে স্বীকৃতি দেয় না, কিন্তু ইসলাম এ ধরনের কল্পতত্ত্বের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করতে পারে না ।
২. আইনগত জটিলতার সম্মুখীন না হয়ে কারো পক্ষে ইসলামকে ত্যাগ করে যাওয়াটা ইসলামী আইন অনুসারে মানুষের মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত নয়। কমপক্ষে তার ধর্ম ত্যাগের ঘটনাটি তার সম্পত্তির উত্তরাধিকার ও সম্ভবত তার বৈবাহিক বন্ধনের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে বাধ্য (একজন মুসলিম নারীর সাথে তার বৈবাহিক বন্ধন এ ক্ষেত্রে ছিন্ন হয়ে যায়), যদিও স্বাভাবিক অবস্থায় কুরআনে ধর্মত্যাগীদের জন্য কোনো শাস্তির বিধান নেই। বাস্তবতাটিকে ভালোভাবে বুঝতে গেলে এ ক্ষেত্রে একজন মুসলমানের আইন অবস্থানটিকে পাশ্চাত্য দেশের নাগরিকত্বের সাথে তুলনা করেদেখতে হবে। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না যে, সেখানেও রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের সাথে বিশেষ সুবিধা ও দায়িত্বের বিধান বর্তমান রয়েছে।
৩. ইসলামী রাষ্ট্রের রাজনৈতিক দায়িত্ব/ক্ষমতার আসনে একজন অমুসলিম একজন মুসলমানের সমান প্রবেশাধিকার ভোগ করেন না এবং শুধু রাষ্ট্রপ্রধানের পদটি বিশেষভাবে মুসলমানদের জন্য নির্দিষ্ট। (এ ক্ষেত্রে একজন অমুসলমানের অবস্থান আইনগতভাবে ওই মার্কিন নাগরিক নন বিধায় রাষ্ট্রপতি পদের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্য বিবেচিত হন না।)
৪. বিশ্বব্যাপী অনেক রাষ্ট্রই তাদের দণ্ডবিধি থেকে মৃত্যুদণ্ডকে তুলে দেয়ার পক্ষপাতী, সেটা অবশ্য শুধু এ কারণেই নয় যে, নাৎসি জার্মানিতে লক্ষাধিকবার এই বিধির অপপ্রয়োগ ঘটানো হয়েছে, বরং এই বাস্তবতার স্বীকৃতি হিসেবে যে, বিচারকার্যে আইনতান্ত্রিক দুর্ঘটনা (সরংপধৎৎরধমব ড়ভ লঁংঃরপব) ঘটতেই পারে সে ক্ষেত্রে একবার চূড়ান্ত দণ্ড কার্যকর হয়ে গেলে ভ্রম সংশোধনের আর কোনো পথ থাকে না। কিন্তু ইসলামি বিশ্ব তাদের সাথে যোগ দিতে পারেনি এ কারণে যে, তিনটি অপরাধের ক্ষেত্রে কুরআন মৃত্যুদণ্ডকে যথার্থ জ্ঞান করেঃ রাষ্ট্রদ্রোহ, নরহত্যা ও দস্যুবৃত্তি। অবশ্য যদিও এই শাস্তিগুলো কার্যকর করা নিঃশর্তভাবে বাধ্যতামূলক নয় তবুও একটি মুসলিম দেশে এই বিধানগুলোকে আইন গ্রন্থ থেকে সাধারণভাবে মুছে ফেলা সম্ভব নয়।
৫. একটি প্রায় সমধর্মী, কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে কেবল আনুষ্ঠানিক, সমস্যা দেখা দেয় ক্রীতদাসত্বের প্রশ্নে, যা আজ সারাবিশ্বে একটি ঘৃণিত ঐতিহাসিক অধ্যায় বটে, কিন্তু কুরআনে এটাকে তৎকালীন সমর আইনের স্বীকৃত অংশ হিসেবে বিবৃত করা হয়েছে। যদিও দাস হিসেবে গৃহীত যুদ্ধবন্দীদের এখানে‘নিয়ন্ত্রিত ব্যক্তি’ হিসেবে সুস্পষ্ট দায়িত্ব ও অধিকারসহ সমাজে স্থান দেয়ার বিধান রয়েছে, যা কোনো অবস্থাতেই রোমান আইনের ইতর প্রাণীসম দাস গোষ্ঠীর সাথে তুলনীয় নয়।
অবশ্য কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তায়ালা যুদ্ধবন্দী দাসদের মুক্তি প্রদান করে নাগরিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করাকে একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ বলে উল্লেখ করেছে। এ ক্ষেত্রে বলতেই হয় যে, দাসপ্রথা বিলোপের পথে পবিত্র কুরআনই সর্বপ্রথম নৈতিক দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
অবশ্য যদিও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন ছদ্মাবরণে এখনো দাস প্রথার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। মৌরিতানিয়া সরকার যে মাঝে মাঝেই দাস প্রথা বিলোপের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে থাকেন তা এই কথার সত্যতাই প্রমাণ করে। কোনো খাঁটি মুসলিম রাষ্ট্রই আর এই ঐতিহাসিক প্রথাটির পক্ষপাতী নয় যা আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় ইতোমধ্যেই গত হয়েছে কিন্তু গ্রন্থের অখণ্ডতা রক্ষার্থে কুরআনে এর উল্লেখ রয়ে যাবে মাত্র। যেহেতু আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে দাস মুক্তিকে একটি পুরস্কারের উপযুক্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে ঘোষণা করেছেন এবং যেহেতু বাস্তব ক্ষেত্রে তা বিলুপ্তও হয়ে গেছে, সেহেতু জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারের ঘোষণার ৮ নম্বর ধারা এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির ৪ নম্বরধারার অনুসৃতিতে দাস প্রথাবিরোধী চুক্তির আত্মীকরণের পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে ইসলামের সাথে পশ্চিমা বিশ্বের মানবাধিকারবাদের ধারণার কোনো বাস্তব বা সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্বের অবকাশ নেই। বরং ইসলাম নিজেই একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ স্বতঃস্ফূর্ত মানবাধিকারবাদ (যা বিশ্বায়তনে পাশ্চাত্যের মানব রচিত মতবাদের একটি উপযুক্ত পরিপূরক বটে।)
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মুসলমানদের পক্ষ থেকে এই আশঙ্কার যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়ে যাচ্ছে যে, ‘ইসলাম এবং মানবাধিকারবাদ পারস্পরিকভাবে সামঞ্জস্যশীল নয়’ এই চিরায়ত অপপ্রচার চালানোর পেছনে পশ্চিমা বিশ্বের একটি কায়েমি স্বার্থ জড়িত রয়েছে এবং মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে তারা মানবাধিকারবাদকে একটি রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেই যাবে! http://shibir-study.blogspot.com