ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:সাতক্ষীরায় মামলা থেকে রক্ষা পেতে মিথ্যে ধর্ষনের নাটক সাজিয়ে পোতা ছেলের স্ত্রী কর্তৃক তার ভাসুর, দেবর ও চাচা শ্বশুরের নামে আদালতে মামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন মামলার বাদির দাদি শাশুড়ি সদর উপজেলার থানাঘাটা গ্রামের মৃত দাউদ আলী মীরের স্ত্রী ইদিরন বিবি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাগুরা গোপিনাথপুর মৌজার এস,এ ১৫০৫ খতিয়ানের ১১২ দাগে আমার পৈত্রিক বসতভিটা। স্বামীর মৃত্যুর পর বড় ছেলে শওকত আলী আমার বসতঘর ভাংচুর করে দখলের চেষ্টা করে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ করার পর আমার বসতঘর নির্মাণ করে দেয়াসহ কয়েকটি শর্তে একটি নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে মুচলেকা দেয় শওকত। কিন্তু ওই মুচলেকার শর্ত ভঙ্গ করে শওকত অবৈধভাবে ওই সম্পত্তি ফের দখলের তার স্ত্রী জরিনা খাতুনকে দিয়ে একটি ভূয়া দখল ও শর্তবিহীন দলিল তৈরী করে। জানতে পেরে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমার পক্ষে রায় দেন। মামলায় হেরে গিয়ে শওকত আলী, তার স্ত্রী জরিনা খাতুন, ছেলে হেলাল উদ্দিন, মিলন ও সাইফুল এবং তাদের স্ত্রী আকলিমা খাতুন, মর্জিনা খাতুন ও আজমিরা খাতুন বেপরোয়া হয়ে উঠে। সম্পত্তি দখলের জন্য তারা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারার মামলা দায়ের করলে আদালতের নির্দেশে সদর থানা পুলিশ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করে।
তিনি আরো বলেন, আদালতের নির্দেশনা থাকা স্বত্বেও গত ১ জুন শওকত আলীর নেতৃত্বে তার স্ত্রী জরিনা খাতুন, ছেলে হেলাল, মিলন, সাইফুল এবং তাদের স্ত্রী আকলিমা খাতুন, মর্জিনা খাতুন ও আজমিরা খাতুন আমার বসত বাড়িতে ঢুকে ছোট ছেলে মোহাম্মাদ আলী, নাতী ছেলে রাসেল ও রাজিব এবং পোতা বউ রেবেকা খাতুনসহ আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। এসময় তারা মোহাম্মাদ আলী, রাসেল, রাজিব ও রেবেকাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হাড় ভাঙ্গা জখম করে এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এঘটনায় আমি নিজে বাদি হয়ে ৪ জুন সদর থানায় শওকতসহ ৮ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করি। মামলার আসামি শওকত, জরিনা খাতুন, আকলিমা খাতুন, মর্জিনা খাতুন ও আজমিরা খাতুন জামিনে থাকলেও হেলাল, মিলন ও সাইফুল পলাতক রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই মামলা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য শওকত আলী তার পুত্রবধূ আজমিরাকে দিয়ে মিথ্যে ধর্ষনের অভিযোগ এনে আমার ছোট ছেলে মোহাম্মাদ আলী, রিপন, আলমগীর, জামাতার ভাই আব্দুস সবুর ও নাতী ছেলে রাসেল এর নামে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি পিটিশন (২৮৩/১৮ দাখিল করে। বিচারক অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার উপর দায়িত্ব দিয়েছেন। আমার ছেলে মোহাম্মাদ আলী বাদি পোতা বউ আজমিরা খাতুনের সর্ম্পকে আপন চাচা শ্বশুর। বাকি আসামিরা তার ভাসুর ও দেবর। তিনি বড় ছেলে শওকত ও তার স্ত্রী, তাদের ছেলে এবং ছেলের স্ত্রীদের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Check Also
সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন এর আয়োজনে বিজয় দিবস পালন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,পুরুষ্কার বিতারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। …