ক্রাইমবার্তা রিপোটঃসাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভানেত্রী, জাতীয় মহিলা সংস্থার সভানেত্রী মমতাজুন্নাহার ঝর্ণা না আর নেই। আজ শুক্রবার দুপুর ১ টা ১০ মিনিটের সময় তিনি সবাইকে কাদিয়ে না-ফেরার দেশে চলে গেছেন ( ইন্নালিল্লাহে —-রাজেউন )।
চিকিৎসকেরা বলছেন, হ্নদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধহয়ে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি ৩ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি ডায়বেটিস, ব্লাডপ্রেসার, হার্টসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। কয়েক দিন আগে তিনি সিঁড়ি থেকে পড়ে যেয়ে কোমরে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ জন্য পেনকিলার ওধষ খেয়েছিলেন। কিন্তু গ্যাস তাকে ছাড়ছিল না। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১0 টার দিকে হঠাৎ তার বুকে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভূত হলে তাকে সাতক্ষীরা ডক্টস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেলা ১টা ১০ মিনিটের সময় ওই হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়েছে।
মমতাজুন্নাহার ঝর্ণা মরহুম অ্যাডভোকেট শামছুর রহমানের স্ত্রী ছিলেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের মেইন গেটের ঠিক উল্টা পাশে তার বাড়ি। সুলতানপুরস্থ ওই বাড়িতেই তিনি বসবাস করতেন।
মমতাজুন্নাহার ঝর্ণা সবার প্রিয় মানুষ ছিলেন। তিনি একাধিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি জেলা মহিলা ক্রিড়া সংস্থার সহ-সভানেত্রী, সতমুখি মহিলা ক্লাবের সহ-সভানেত্রীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।
কেউ তাকে চাচি, কেউ বা তাকে ভাবি বলেই ডাকতেন। জাতীয় মহিলা সংস্থার সভানেত্রী হিসেবে তিনি বহু মানুষের উপকারে আসতেন। বিশেষ করে পারিবারিক বিরোধ মিমাংসার জন্য তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে গেছেন। একজন মানবসেবক হিসেবে তাকে সবাই চেনেন বা জানেন। যেখানেই সমস্যা সেখানেই তাকে পাশে পাওয়া যেতো। হাসিমুখে সবার সাথে তিনি কথা বলতেন।
তার ৩ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট মেয়ে লন্ডনে বসবাস করেন। বর্তমানে ছোট মেয়ে লন্ডনে রয়েছেন। বড় ও মেঝ মেয়ে ঢাকা প্রবাসী।
জানাগেছে, ১৯৬৫ সালে তিনি এসএসসি পাশ করেন। পরে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। বহু দিন তিনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনি শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহন করেছিলেন।
মমতাজুন্নাহার ঝর্ণার মৃত্যুর সংবাদ শুনে স্বজনেরা তার বাড়িতে ছুটে যান।
—————————————
সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগ নেত্রী ঝর্ণার মৃত্যুতে শোক
————————————–
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি প্রাক্তণ স্কুল শিক্ষিকা মমতাজুন নাহার ঝর্না হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি …রাজিউন)। তিনি বেশ কিছু দিন যাবৎ বার্ধক্য জনিত সহ নানা রোগে ভুগছিলেন। রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে ঝর্না আপা নামে সুপরিচিত ও জনপ্রিয় এ আওয়ামীলীগ নেত্রীর মৃত্যুতে সর্ব স্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মরহুম এড. শেখ শামছুর রহমানের সহধর্মীনি ঝর্না আপার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. নর নারায়ন ঘোষ, সহ-সভাপতি উপাধ্যক্ষ আতিয়ার রহমান, অধ্যক্ষ সুবোধ চক্রবর্তী, এড. নওশের আলী, যুগ্ম সম্পাদক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, মোঃ রেজাউল ইসলাম, সাংগনিক সম্পাদক রাশেদ সরোয়ার শেলী, প্রচার সম্পাদক মনোজ কুমার দে, সহ-প্রচার সম্পাদক মাস্টার শহিদুল ইসলাম। অনুরুপভাবে বিবৃতি দিয়েছেন পৌর শাখা কৃষকলীগের আহবায়ক মোঃ শামছুজ্জামান জুয়েল, যুগ্ম আহবায়ক শাহ মোঃ আনারুল ইসলাম, এড. রঘুনাথ মন্ডল, মাস্টার আঃ খালেক, শেক ওবায়দুল্লাহ ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক স ম তাজমিনুর রহমান টুটুল, যুগ্ম আহবায়ক প্রভাষক আবু রায়হান সহ কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ।
প্রেস-বিজ্ঞপ্তি
জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মমতাজুননাহার ঝর্ণার মৃত্যুতে এমপি রবি’র শোক
সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও জাতীয় মহিলা সংস্থা জেলা শাখার চেয়ারম্যান মমতাজুননাহার ঝর্ণার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো-০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। শুক্রবার দুপুর ১টার সময় সাতক্ষীরা ডক্টরস ল্যাবে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেছেন। (ইন্না—রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ৩ মেয়ে নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে এমপি রবি বলেন, সবার প্রিয় মমতাজুননাহার ঝর্ণা ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও জাতীয় মহিলা সংস্থা জেলা শাখার চেয়ারম্যান। সবার প্রিয় এই মানুষটি সারাটা জীবন সাতক্ষীরা মহিলা আওয়ামীলীগ ও জাতীয় মহিলা সংস্থাকে সংগঠিত করে অধিকার সম্মান আদায়সহ বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ একজন দক্ষ কর্মীকে হারাল। তার এ ক্ষতি কখনও পুরণ হওয়ার নয়। সাতক্ষীরার বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
প্রেস-বিজ্ঞপ্তি
জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মমতাজুননাহার ঝর্ণার মৃত্যুতে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের শোক
সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও জাতীয় মহিলা সংস্থা জেলা শাখার চেয়ারম্যান মমতাজুননাহার ঝর্ণার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য মিসেস রিফাত আমিন ও সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎন্সা আরাসহ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সকল নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার দুপুর ১টার সময় সাতক্ষীরা ডক্টরস ল্যাবে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেছেন। (ইন্না—রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ৩ মেয়ে নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সবার প্রিয় মমতাজুননাহার ঝর্ণা ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও জাতীয় মহিলা সংস্থা জেলা শাখার চেয়ারম্যান। সবার প্রিয় এই মানুষটি সারাটা জীবন সাতক্ষীরা মহিলা আওয়ামীলীগ ও জাতীয় মহিলা সংস্থাকে সংগঠিত করে অধিকার সম্মান আদায়সহ বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ একজন দক্ষ কর্মীকে হারাল। তার এ ক্ষতি কখনও পুরণ হওয়ার নয়। জেলা মহিলা আওয়ামীলীগসহ সাতক্ষীরার বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।