ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ নরসিংদী: নরসিংদীর রায়পুরায় দুই সন্তানকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে বাবা আত্মহত্যা করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার তুলাতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঋণের বোঝা ও মামলায় পরাজিত হওয়ায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন, তুলাতলী এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে কাজল মোল্লা (৩৫), তার দুই সন্তান কাকলী আক্তার (৮) ও সোহান মোল্লা (৫)।
নিহতের পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তুলাতলী মোল্লা বাড়ির কাজল মোল্লা গত ৩ বছর ধরে নিজ বাড়িতে না থেকে পার্শ্ববর্তী নয়াচর গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে থেকে নরসিংদী শহরে অটো রিকসা চালাতেন। এরই মধ্যে তিনি তার পাশের বাড়ির দুঃসম্পর্কের চাচা সিরাজ মিয়ার মেয়ের জামাই কিশোরগঞ্জের রুহুল আমিনকে বিদেশে যাওয়ার জন্য ঋণ করে কয়েক লক্ষ টাকা দেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেরও রুহুল আমিন বিদেশ নিতে না পারায় কাজল মোল্লা নরসিংদী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।গতকাল বৃহস্পতিবার ওই মামলায় রায় হয়। এতে কাজল মোল্লা পরাজিত হন।
এদিকে ঋণের টাকার জন্য পাওনাদাররা চাপ প্রয়োগ করেন। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার রায়ের পর দুপুরে দুই সন্তান কাকলী ও সোহানকে নিয়ে একই উপজেলার মরজাল এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াত যান। সেখান থেকে নিজের বাড়িতে তুলাতলীতে যান বিকেলে। পরে সেখান থেকে রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হন। এ সময় বাড়ির লোকজন থেকে যাওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ করলেও তিনি শুনেননি।আজ শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা বাড়ির কাছেই একটি ডোবার পাশে কাকলী আক্তার ও সোহানের লাশ পাশাপাশি দেখতে পায়। আর কাজল মোল্লাকে পাশেই একটি গাছে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে নিহত কাজল মোল্লার বড় ভাই সামসু মোল্লা বলেন, কাজল আজ প্রায় তিন বছর ধরে আমাদের সঙ্গে বাড়িতে থাকে না। সে নয়াচরে শ্বশুর বাড়িতে থেকে নরসিংদী শহরে অটোরিকসা চালাতো। মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসতো খোঁজখবর নিতে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে সে তার দুই সন্তানকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে এবং আমাদেরকে দেখে রাতে চলেও যায়। পরে আজ শুক্রবার সকালে খবর পাই আমাদের বাড়ির খানিকটা দূরে তার দুই সন্তানকে হত্যা করে ও সে আত্মহত্যা করেছে। দৌড়ে গিয়ে দেখি নোংড়া পরিবেশে বর্ষার পানি জমে থাকা একটি গর্তের পাশে সন্তান দুটির লাশ পড়ে আছে আর সে একটি গাছে ঝুলে আছে। কি কারনে সে এমনটি করল বুঝতে পারছি না।
রায়পুরা থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বিদেশ যাওয়ার জন্য সে রুহুল আমিন নামের একজনকে ঋণ করে কয়েক লক্ষ টাকা দিয়েছিল। পরে বিদেশ নিতে পারায় তার বিরুদ্ধে কাজল মোল্লা একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই মামলার রায় হয়েছে। কাজল মোল্লা মামলায় পরাজিত হয়েছেন। এখন মামলায় হেরে যাওয়ায় ও পাওনাদারদের চাপে হতাশা থেকে সে দুই সন্তানতে ডোবার পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে নিজে একটি গাছে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্যে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
—————0————-
নরসিংদীর রায়পুরায় বাবাসহ তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকেউপজেলার তুলাতুলি গ্রামের কবরস্থানের পাশ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের কাজল মিয়া (৪৫), তার মেয়ে শারমিন আক্তার কাকলি ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ।
রায়পুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার তুলাতুলি গ্রামের কবরস্থানের পাশ থেকে বাবাসহ তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে দুই সন্তানকে হত্যার পর তাদের বাবা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তাদের নাম পরিচয় জানা গেলেও তবে এ ঘটনা হত্যা না আত্মহত্যা তা জানা যায়নি। রায়পুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অভাব-অনটনের জের ধরে কাজল মোল্লা তার দুই সন্তানকে মেরে নিজে আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি। নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের কাজল মোল্লা (৪৫) তার মেয়ে শারমিন আক্তার কাকলি (৮) ও তার ছেলে সোয়ান মোল্লা (৫)।
নিহত কাজল মোল্লার বড় ভাই সামসু মোল্লা জানান, আমার ছোট ভাই কাজল মোল্লা আজ প্রায় তিন বছর ধরে আমাদের বাড়িতে থাকেনা। সে উপজেলার নয়াচর গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে থেকে নরসিংদী শহরে অটো রিক্সা চালাত। আজ শুক্রবার সকালে খবর পাই আমাদের বাড়ির খানিকটা দুরে তার দুই সন্তানকে হত্যা করে ও সে আত্মহত্যা করেছে। দৌড়ে গিয়ে দেখি নোংরা পরিবেশে বর্ষার পানি জমে থাকা একটি গর্তের পাশে সন্তান দুটির লাশ পড়ে আছে এবং একটি গাছে সে ঝুলে আছে।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …