মো.অহিদ সাইফুল, হাসপাতালের নৈশ প্রহরী দ্বারা শিশুরোগীর মাকে (২২) ধর্ষনচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোরটসাইকেল দূর্ঘনায় আহত শিশুপুত্রকে চিকিৎসা করাতে এসে হাসপাতালের নৈশ প্রহরী তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নৈশ প্রহরী মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সোহাগ মৃধা (৩৮) উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আ: বারেক মৃধার ছেলে। ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় সোহাগের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে হাসপাতালের বাইরে দোকান থেকে ফেরার সময় নৈশ প্রহরী সোহাগ হাসপাতালের নিচতলার একটি কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। সেখান থেকে যাওয়ার সময় হঠাৎ সোহাগ তাকে ঝাপটে ধরে জোড়পূর্বক ওই কক্ষের ভেতর টেনে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। সেখানে জোড়পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায় নৈশ প্রহরী সোহাগ। এ সময় চিৎকার করলে সোহাগ তাকে ছেড়ে দেয়। পরে শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে ওই নারী সবাইকে বিষয়টি জানায়। এছাড়াও তাঁর এক আত্মীয়কেও মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানায়। পরে রাতেই ওই আত্মীয় থানা থেকে পুলিশ নিয়ে হাসপাতালে ছুঁটে যায়।
ওই নারী আরো অভিযোগ করেন, এই ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল ছাড়তে বিভিন্ন ভাবে হুমকী দিচ্ছে নৈশ প্রহরী সোহাগ। এছাড়া বিষয়টি কাউকে জানালে বা কোথাও অভিযোগ করলে দেখে নেয়ার হুমকী দেয় সোহাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত সোহাগ রাজাপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী র্যাবের সাথে বন্ধুকযুন্ধে নিহত আলম চেয়ারম্যান ও সবুজের একান্ত সহযোগী ছিল। এছাড়াও সোহাগের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। সে হাসপাতালের নৈশ প্রহরী হওয়া সত্যেও হাসপাতালে ভেতরেই একাধিক কক্ষ দখল করে নিয়মিত মাদক আড্ডা বসায়। তাঁর এমন আচর দেখেও ভয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ করেনা।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। আমি জরুরী প্রয়োজনে ঢাকার পথে রয়েছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রাজাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফিরোজ আলম বলেন, ‘ঘটনা শুনে রাতেই হাসপাতালে গিয়েছি। তবে অভিযুক্ত সোহাগকে পাইনি। অভিযোগকারী ওই নারীকে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ওই নারী কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।