ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ গাজীপুরে বইছে ভোটের হাওয়া। সব ছাপিয়ে গাজীপুরবাসীর মুখে মুখে নৌকা ও ধানের শীষের গল্প। ২৬ জুনের ভোটে কে হবেন গাজীপুরের নগরপিতা তা আগাম জানতে ব্যাকুল সবাই।
ভোটের প্রচার দেখে অনুমানের চেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয়রা। ভোটের বাকি মাত্র তিন দিন। এ পরিস্থিতিতে মেয়র, কাউন্সিলর ও তাদের কর্মী-সমর্থকর দম ফেলার সময় নেই। ব্যস্ত প্রার্থীরা প্রচারে।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া, পথসভা, কর্মী সমাবেশ করা এবং মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করেই তাদের দিন পার হচ্ছে। এলাকার সর্বত্রই বিরাজ করছে ভোটের আমেজ।
প্রার্থী, নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উৎসাহ-উদ্দীপনার প্রভাব পড়েছে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেই। ভোটাদের মধ্যেও উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি বিরাজ করছে শঙ্কাও। এসব মিলে গাজীপুর এখন ভোটের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেয়র পদে প্রচারের শীর্ষে নৌকা-ধানের শীষ। প্রচারে থাকলেও নিজ ওয়ার্ডের বাইরে আলোচনায় নেই কাউন্সিলর প্রার্থীরা। শ্রমিক ভোটারদের টানতে মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শ্রমিক অধ্যুষিত টঙ্গীতে সবচেয়ে বেশি ভোট।
গাজীপুরে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬। এর মধ্যে টঙ্গীতে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৬৫ হাজার ২৬৭। গাজীপুরে মোট ভোটের এক-তৃতীয়াংশই এই টঙ্গীতে।
অবশিষ্ট ভোট বাকি ৭টি বিশেষ অঞ্চল কাশিমপুর, কোনাবাড়ী, বাসন, কাউলতিয়া, গাজীপুর পৌর এলাকা, গাছা ও পূবাইলের। একটি এলাকায় বেশি ভোটারের বাস হওয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী এবং উভয় দলের সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলররা টঙ্গী দখলে মরিয়া।
প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-বিএনপির এখন মূল টার্গেট এই টঙ্গীর ভোট। এ লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ-বিএনপির অধিকাংশ কেন্দ্রীয় নেতা টঙ্গীতে প্রচার চালাচ্ছেন। তারা মনে করছেন টঙ্গী যে প্রার্থীর দখলে থাকবে তার দিকেই ভারি হবে জয়ের পাল্লা।
উভয় দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা গাজীপুর সিটির মেয়র পদে জয়-পরাজয়ের মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে টঙ্গীকেই বেছে নিয়েছেন। এজন্য এলাকায় প্রচারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু কৌশলও গ্রহণ করেছেন প্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দিনভর গাজীপুর সিটি নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোটের মাঠজুড়ে এখন মূল আলোচনা প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীদের নিয়ে।
নৌকার অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ও ধানের শীষের হাসান উদ্দিন সরকারকে নিয়ে চলছে আলোচনা। এর বাইরে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাতপাখা মার্কার প্রার্থীর প্রচারণা চোখে পড়লেও বাকিদের অবস্থায় তেমন কারও নজর নেই।
প্রার্থীদের প্রচারের সময় ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। শেষদিকে তারা সময় নষ্ট করছেন না। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবারও দিনব্যাপী বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার।
বড় দুই দলের এই দুই প্রার্থীর পাশাপাশি দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মী, প্রার্থীদের সমর্থক ও কর্মীবাহিনী দিনরাত গণসংযোগ করছেন। প্রার্থীদের সঙ্গে আছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে খুলনার নবনির্বাচিত মেয়রকে প্রচার চালাতে দেখা গেছে। বিএনপির প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন ঢাকার নেতারা।
নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থী ও সমর্থকদের গণসংযোগের কৌশল প্রায় একই। সবাই ভোটারদের বুকে জড়িয়ে ধরে ভোট প্রার্থনা করেছেন। মুরুব্বিদের পা ছুঁয়ে সালাম করতেও দেখা গেছে কোনো কোনো এলাকায়। বয়স্ক নারী ভোটারদের মা, খালা ডেকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে ভোট চাচ্ছেন তারা।
কর্মী-সমর্থকরা মানুষের জটলা দেখলেই সেখানে গিয়ে লিফলেট বিতরণ ও নানা আশা ও সম্ভাবনার কথা শোনাচ্ছেন। পথসভা ও কর্মী সভায় ব্যস্ত জাহাঙ্গীর-হাসান। নৌকা ও ধানের শীষের পক্ষে ভোটার, স্থানীয় নেতাকর্মী ও কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রচার-প্রচারণা গাজীপুরে এক অন্য আমেজ সৃষ্টি করেছে।
নৌকার প্রার্থীর গণসংযোগ : সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দিনব্যাপী বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে প্রচার-প্রচারণা করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। গণসংযোগকালে তিনি বলেন, প্রত্যেক প্রার্থীরই ভোটারের ওপর আস্থা রাখা উচিত। আমি ভোটারদের বিশ্বাস করি- তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারবে।
তিনি বলেন, ভোটারদের কারণেই গাজীপুরে সব সময় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। এবারও হবে। এবার গাজীপুর মডেলে নির্বাচন দেখতে চাই। আলোচনাকালে তিনি ২৬ জুন নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।
এদিকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ড হাড়িনালে পথসভায় মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগ দেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
গাজীপুরের ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের ওপর আস্থা রেখে খুলনার মানুষ বিপুল ভোটে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করেছে। গাজীপুরেও নৌকার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তিনি আগামী ২৬ জুন নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
এরপর ২৫ নম্বর ওয়ার্ড ডুয়েট ফটকের সামনে পথসভা করেন জাহাঙ্গীর আলম। পরে বিএনডিসি, পূর্ব ভুরুলিয়া, ২৪ নম্বর শিমুলতলি, চত্বর বাজার, ভানুয়া, ফাওকাল, চাপুলিয়া ২৮ নম্বর উত্তর ছায়াবীথি শ্মশান মোড়, টাঙ্কিমোড়, জোড়পুকুরপাড়, বরুদা, হাড়িনাল, লেবু বাগান, দক্ষিণ ছায়াবীথি মোড়, মাধবাড়ি মোড়, রথখোলা স্টেডিয়াম, ২৬ নম্বরে বিলাসপুর মসজিদের সামনে, মাড়িয়ালী, নেয়ামত সড়ক, শহীদ স্মৃতি স্কুল ২৭ নম্বরে কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে, তালুকদারের পুকুর পাড়, কৃষি গবেষণা শ্রমিক ক্লাব ২৯ কাজীবাড়ি, ২৭ নম্বরে পূর্ব চান্দনা, ২৯ নম্বরে ভোড়া কুমারপাড়া, এড. ওয়াজউদ্দিন মিয়ার বাড়ির রাস্তার মোড়, ৩১ নম্বরে ভাড়ারুল জামতলা, চৌরাস্তা, ধীরাশ্রম, ৪১ এ পুবাইল কলেজ গেট, ৪২এ সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ, ৪০ মাঝুখান বাজার, ৩৯ এ হায়দারাবাদ মাদ্রাসার সামনে পথসভা এবং গণসংযোগ করেন।
কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রচারণা
বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে গাজীপুরে প্রাচারণায় নেমেছে কেন্দ্রীয় ১৪ দল। সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে জোটটির একটি টিম গাজীপুরে এসে প্রচারণা শুরু করে। জোটের নেতারা প্রথমে গাজীপুর চৌরাস্তার চান্দনা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে কর্মিসভা করেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান। পরিচালনা করেন গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ডা. সহীদুল্লাহ সিকদার, উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক. ডা. সাহাদৎ হোসেন প্রমুখ। সভা শেষে দলটি স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গাজীপুর চৌরাস্তার শাপলা ম্যানশন মার্কেট, বাইপাস, বোর্ডবাজার, বাসন এলাকায় গণসংযোগ করে ঢাকায় ফেরেন।
টঙ্গীতে দিনব্যাপী গণসংযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলওয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম। নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, অ্যাড. কাজী মোরশেদ কামাল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
তাছাড়া ৩৮ নম্বর খাইলকুর এলাকায় কেন্দ্রীয় নেতা অসীম কুমার উকিল, এসএম কামাল, ১৫ নম্বরে সাগর সৈকত কনভেনশন সেন্টারে যুবলীগ চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক চৌধুরী, মো. হারুন নুর রশীদ, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল প্রমুখ নেতা মতবিনিময় এবং গণসংযোগ করেন।
নগরীর ৩, ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডে পথসভা করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলীর নেতৃত্বাধীন টিম।
এছাড়া যুব মহিলা লীগের অপু উকিল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বিভিন্ন ওয়ার্ডে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ করেন। এদিকে দুপুর ১টায় চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয়ে ইউকে এবং ইউএসএ ডিপলোমেট প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন জাহঙ্গীর আলম। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এ সময় নির্বাচনী প্রচারণার পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ধানের শীষের প্রার্থীর গণসংযোগ : বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে হাসান উদ্দিন সরকারের গণসংযোগ কোনাবাড়ি থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু বুধবার রাতে গণগ্রেফতারের ঘটনায় তার নির্ধারিত কর্মসূচির পরিবর্তন ঘটে। তিনি সকালে রিটার্নিং অফিসে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণগ্রেফতার বন্ধ ও গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির জন্য লিখিত আবেদন জানান।
এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও গণগ্রেফতার বন্ধের আশ্বাস দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে কোনাবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পথসভার মধ্য দিয়ে হাসান সরকারের গণসংযোগ শুরু হয়।
পরে তিনি কাশিমপুর এলাকায় গণসংযোগ করেন এবং গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেন। পথসভায় হাসান উদ্দিন সরকারের সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় সহশ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, সাবেক মন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. সোহরাব উদ্দিন, জেলা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দিন, সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, কুতুব উদ্দিন চেয়ারম্যান, মনিরুজ্জামান লাবলু এবং কোনাবাড়ি ও কাশিমপুর বিএনপির নেতারা।
এদিকে ধানের শীষের পক্ষে বিএনপির ৫৭টি টিম প্রতিটি ওয়ার্ডে আজও গণসংযোগ করছে। এসব টিমে প্রায় ৩০০ নেতা প্রচারণায় রয়েছেন। পথসভায় হাসান সরকার বলেন, বুধবার নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যে প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন তাতে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছিলাম।
কিন্তু ইসির দেখানো এই স্বপ্ন মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যেই যে দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে তা গাজীপুরের জনগণ কল্পনাও করেনি। হাসান উদ্দিন সরকার আরও বলেন, সব ধরনের ভয়ভীতি ও গ্রেফতার বন্ধ করে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় গাজীপুরের জনগণ এ নির্বাচন মেনে নেবে না এবং এর খেসারত নির্বাচন কমিশন ও সরকারকেই দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গাজীপুরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস-ঐতিহ্য রয়েছে। জীবন দিয়ে হলেও গাজীপুরবাসীর ইজ্জত রক্ষা করব। তাতে শহীদ হলে জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য তিনি গাজীপুরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি তরুণদের উদ্দেশে বলেন, আমরা কারও কাছে মাথানত করি নাই। আমাদের মৃত্যুর পর তোমরাও কারও কাছে মাথানত করবে না। মনে রেখ, কাপুরুষ মরে শতবার আর বীরপুরুষ মরে একবার।
কেন্দ্রীয় নেতাদের গণসংযোগ : নগরীর ৯নং ওয়ার্ডে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, ৫নং ওয়ার্ডে ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ২৭নং ওয়ার্ডে আমানউল্লাহ আমান, ২৪নং ওয়ার্ডে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ৩১নং ওয়ার্ডে শ্যামা ওবায়েদ, ৪২নং ওয়ার্ডে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও এমরান সালেহ প্রিন্স গণসংযোগ করেছেন।
এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন কাদের গণি চৌধুরী, শাহীন হাসান, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, জিয়াউল কবির সুমন, আবদুল বাতেন, সোলায়মান, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, এসকে জবি উল্লাহ, জিএস সোহেল রানা, ফরহাদ প্রবাল, সেলিম রেজা হাবিব, আনিছুর রহমান, তালুকদার খোকন, ফিরোজ উজ-জামান, হাবিবা, শামীম, জাহাঙ্গীর, সামসুজ্জামান প্রমুখ। তারা ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চান।
অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ : উন্মুক্ত প্রচারণার মধ্যেও বড় দুই দলের দুই প্রার্থীর আছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। বিএনপি নেতাদের গণগ্রেফতার ও প্রচারে বাধার অভিযোগ বিএনপি প্রার্থী হাসান সরকারের।
আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের পাল্টা অভিযোগ- মিথ্যা অপপ্রচার করে নির্বাচন বানচাল করতে চায় বিএনপি। জনগণের রায়ে বিএনপির পরাজয় হবে জেনেই তারা নানা ওজুহাত খুঁজছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ভোটারদের টানতে বিশেষ উদ্যোগ প্রার্থীদের : এবারের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী থেকে শুরু করে কাউন্সিলর প্রার্থী সবার টার্গেট শ্রমিক ভোটার। ঈদে নিরাপদে বাড়ি ফেরা থেকে শুরু করে নিরাপদে কর্মস্থলে নিয়ে আসার কাজটিও করছেন অনেকেই।
গতকাল পর্যন্ত যেসব শ্রমিক গাজীপুর ফিরে আসেননি ভোটের আগে তাদের নিয়ে আসার জন্য অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের শুভাকাক্সক্ষীরা ফোন করেছেন। ভোটের আগেই তারা যেন কর্মস্থলে ফিরে আসেন সে অনুরোধ জানান।jugantor