ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোট: কুমিল্লার দেবিদ্বারে নেশার টাকার জন্য বাবাকে হত্যা করা মাদকাসক্ত ভাইকে গলা কেটে খুন করেছে ছোট ভাই। রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় পৌর এলাকার মরিচাকান্দা গ্রামে নিজ বাড়ির পাশ থেকে বড় ভাই সোহেল মিয়ার (২৮) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।এ ঘটনায় ছোট ভাই মেহেদী হাসানকে (২২) আটক করা হয়েছে।
তারা পৌর এলাকার মরিচাকান্দা গ্রামের বাদু মিয়া বাড়ির মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় দেবিদ্বার পৌর এলাকার মরিচাকান্দা গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে মাদকাসক্ত সোহেল মিয়াকে প্রথমে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং পরে ছোরা দিয়ে গলা কেটে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে হত্যা করে তারই ছোট ভাই মেহেদী হাসান।হত্যার পর ওই স্থানেই লাশ ফেলে রেখে ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে থাকে সে।
স্থানীয়রা রোববার সকালে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ সকাল সাড়ে ৭টায় ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পরে ছোট ভাই মেহেদী হাসানকে পুলিশ আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে মাদকাসক্ত ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
এলাকাবাসী ও পৌরসভার সহায়তা কমিটির সদস্য আব্দুল কাদের জানান, সোহেল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি নেশার টাকার জন্য তার বাবাকে সে কুপিয়ে হত্যা করেছিল। সেই মামলায় কয়েক বছর জেল খাটার পর গত এক বছর আগে সে জামিনে এসে তার মাকে মারধর করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তার ছয় মাসের সাজা হয়।
ওই সাজা খেটে গত কয়েক মাস আগে বাড়িতে এসে পুনরায় সে নেশায় জড়িয়ে পরে। এছাড়া তার আরেক ভাই সুমন আহম্মেদকেও মাদক সেবনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়ায় বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডের ৪ঘণ্টার মধ্যেই রহস্য উদঘাটনসহ আসামি মেহেদী হাসানকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে, অতিষ্ঠ হয়েই মাদকাসক্ত বড় ভাইকে হত্যা করেছে সে।
হত্যায় ব্যবহৃত ছোরা ও আসামির গায়ের জামা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের আরেক ছোট ভাই হাফেজ ইমরান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।