ক্রাইমবার্তা রিপোট:ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নিবাচিত হওয়ায় রেসিপ তাইয়েপ এরদোগানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় বলেছেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে আপনার পুনর্নিবাচিত হওয়ার খবর শুনে আমি খুশি হয়েছি। আমি মনে করি, এই নির্বাচন হচ্ছে, আপনার প্রতি তুরস্কের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের একটি পরীক্ষা।
তিনি বলেন, এই খুশির মুহূর্তে আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং আমার সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ এবং তুরস্কের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্কের উল্লেখ করে বলেন, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সম্পর্ক বিরাজ করছে। সূফিবাদের কালোত্তীর্ণ ঐতিহ্য আমাদের দু’দেশের জনগণকে ঘনিষ্ট করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের জনগণ কাঙ্খিত শান্তি, উন্নয়ন ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় হাতে হাত রেখে কাজ করে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছি।
প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া নির্যাতিত মুসলিম রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি এরদাগোনের ব্যক্তিগত সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে এই নিপিড়িত নির্যাতিত মানুষগুলোর প্রতি তুরস্কের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ ও সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
এরদোগান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় জামায়াতের অভিনন্দন
: ২৪ জুন অনুষ্ঠিত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বিপুল ভোট পেয়ে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় এবং তার নেতৃত্বাধীন একে পার্টির জোট পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়লাভ করায় তাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আ.ন.ম. শামসুল ইসলাম। আজ ২৫ জুন প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “২৪ জুন তুরস্কে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বিপুল ভোট পেয়ে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় এবং তার নেতৃত্বাধীন একে পার্টির জোট পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়লাভ করায় আমি আমার নিজের পক্ষ থেকে এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে তাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ বিজয় গণতন্ত্র ও তুরস্কের সংগ্রামী বীর জনগণের বিজয়।”
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমি আশা করি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের অভিজ্ঞ, সুযোগ্য ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে তুরস্ক আগামী দিনগুলোতে উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। তিনি মুসলিম বিশ্বে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যা বিশেষ করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের সমস্যা এবং ফিলিস্তিন ও কাশ্মীর সমস্যা সমাধানসহ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। আমি আরও আশা করি যে, বাংলাদেশের সাথে বিরাজমান ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় ও সুসংহত করার ব্যাপারে তিনি দৃষ্টি দিবেন। আমি তার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ূ এবং সার্বিক সাফল্য কামনা করছি এবং বিশ্বের মুসলমানদের খেদমত করার লক্ষ্যে তাকে তাওফীক দেয়ার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করছি।”