জাফর ইকবাল : গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কেউ আইন অমান্য করলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। এমন কথাই বলেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। আরও বলেছেন, আমরা আশা করি ২৬ জুন যে নির্বাচন হবে তা হবে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। ভোটাররা তাদের পছন্দ মতো প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে পারবেন। গাজীপুরের প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা করবে নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এবং এর পেছনে প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল রোববারও সাংবাদিকদের একই কথা বলেছেন সিইসি।
তবে সিইসির দেয়া এমন বক্তব্যকে আমলেই নিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। যদিও বিএনপিসহ দেশের অধিকাংশ দলই বর্তমান সিইসিকে সরকার দলীয় হিসেবেই মনে করে। এবং তার পদত্যাগ দাবি করে আসছে। সিইসির বক্তব্য যে শুধুই লোকদেখানো সেটির প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে। শনিবার রাত ১২টা থেকে বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান এবং প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটি মানছে না আওয়ামী লীগ। দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা গতকাল রোববার নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এদিকে বিরোধী নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার এবং বাসায় বাসায় তল্লশী অব্যাহত রয়েছে। ধানের শীর্ষ প্রতীকের পুলিং এজেন্ট এবং নির্বাচনী কাজের দায়িত্বে থাকা নেতাকর্মীদের অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অবস্থা এমন যে, অনেক কেন্দ্রে বিএনপি তাদের প্রার্থীর পক্ষে এজেন্টও নিয়োগ করতে পারবে না। এ অবস্থায় দলটির নেতারা গতকাল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাথে দেখা করে গাজীপুর পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। এর আগে যেদিন গাজীপুরে জামায়াতে ইসলামীর মেয়র প্রার্থী তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে সেদিন উক্ত মেয়র প্রার্থীসহ ৫৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর যেদিন আদালতে নির্বাচন স্থগিতের আদেশ আসে সেদিন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকে আটক করা হয়। এছাড়া মামলা করা হয় দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজীপুরে নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ মদদে যেভাবে ক্ষমতাসীন দল মহড়া চালাচ্ছে তাতে সেখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। অনেকেই বলছেন, খুলনার আদলেই ‘বাইরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট’ মার্কা নির্বাচনই হবে।
সূত্র মতে, নির্বাচন কমিশন শনিবার রাত ১২টা থেকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকা থেকে বহিরাগত ব্যক্তিদের চলে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। ২৬ জুন ভোটের দিন পর্যন্ত ওই এলাকায় বহিরাগত ব্যক্তিদের চলাফেরায় এই বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। ২২ জুন এ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কমিশনের এই নির্দেশনা ভেঙে গাজীপুরে নির্বাচনী কর্মকা- পরিচালনা করেছেন সরকারদলীয় নেতারা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আজ নগরের হারিকেন এলাকায় মতবিনিময় সভা করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্যও দিয়েছেন। অন্যদিকে, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক চালিয়েছেন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাসিন্দা বা ভোটার না হওয়া সত্ত্বেও সেখানে প্রচারণা চালাচ্ছেন নওফেল। অবস্থানের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নওফেল বলেন, এ ধরনের প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে তার জানা নেই। আওয়ামী লীগের নেতা খালেক তালুকদার সভা করেন শহরের চৌরাস্তা এলাকায়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের হারিকেন এলাকার বাসার নিচে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে উপস্থিত হন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও আদালতের আদেশে স্থগিত থাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম, শ্রমিক লীগ নেতা রায় রমেশ চন্দ্র।
গাজীপুর নির্বাচনের বাকি আর এক দিন। এরই মধ্যে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে সরকারি দলের কৌশল নিয়ে। অনেকেই বলছেন খুলনা সিটি নির্বাচনে নেওয়া কৌশলকে ভিত্তি ধরে সরকারি দল গাজীপুরে ছক কষছে। ক্ষমতাসীন দলটি খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিজেদের নেওয়া কৌশলকে ব্যবহার করে জয় ছিনিয়ে আনতে চায়। বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারও অভিযোগ করেছেন, খুলনা সিটি নির্বাচনে যে কৌশল ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ জিতেছে, গাজীপুরেও তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খুলনায় যেভাবে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে- একইভাবে গাজীপুরেও অবাধ ভোট হবে। উন্নয়নের লক্ষ্যে ভোটাররা নৌকা প্রতীককেই বেছে নেবে।
উল্লেখ্য, খুলনা সিটি নির্বাচনে সকাল ১১টার আগেই অনেক কেন্দ্রে ভোট শেষ হয়ে গিয়েছিল। অনেকেই ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়েও ভোট দিতে পারেননি। তাদের বলা হয়েছে, আপনার ভোট দেয়া হয়ে গেছে। এছাড়া নির্বাচনের আগের দিন রাতে এবং নির্বাচনের দিন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রকাশ্যে সীল মারার দৃশ্য গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে সরকারি দলের নির্দেশে চাকরিচ্যুতও করা হয়েছে।
খুলনার ন্যায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণার পাশাপাশি বিরোধী নেতাকর্মীদের গণহারে ধরপাকড়ের ঘটনায় গাজীপুরে ভোটারদের ভেতর উৎসাহের পরিবর্তে আতংক বিরাজ করছে। অনেকেই ভোট কেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গাজীপুরে ধানের শীষের নির্বাচনী কর্মকর্তা এবং পুলিং এজেন্টদের পুলিশ গ্রেফতার করছে। এজেন্টদের বাড়িবাড়ি গিয়ে পুলিশ হয়রানি করছে এবং পরিবারের সদস্যদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় নেতাকর্মীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। পুরো নির্বাচনী এলাকায় সরকার একটি ভীতির সঞ্চার করিয়েছে। বিএনপির অভিযোগ কোনো মামলা ছাড়াই নেতাকর্মীদের সাদা পোষাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে এবং খোঁজও দিচ্ছে না তাদের যে আটক করা হয়েছে। তিনি জানান, ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী হাসানউদ্দিন সরকারের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির গ্রেপ্তারকৃত সদস্যরা হলেন- কাশিমপুর অঞ্চলে সদস্য সচিব শাহিন, সদস্য শাহজাহান ডিলার, কোনাবাড়ির আহবায়ক ড. মিলন, সদস্য তাইজুল ইসলাম,৩০ নং ওয়ার্ডের বালিয়ারার সদস্য আব্দুস সামাদ, কাউলতিয়া অঞ্চলের সদস্য শাহ আলম, টঙ্গির মরকুন টেকপাড়ার যুগ্ম আহবায়ক আবু সায়েম, ৩৬ নং ওয়ার্ডে গাছা অঞ্চলের যুগ্ম আহবায়ক ওমর ফারুক, ৪০ ওয়ার্ডে পূবাইল ইছালির সদস্যআব্দুস সামাদ, পূর্বাইলের সদস কাজিমউদ্দিন, ৩৫ নং ওয়ার্ডের সানওয়ে মডেল স্কুল কেন্দ্রের কাওসার জোসেন ও ২২ নং ওয়ার্ডে শাহাব উদ্দিন। রিজভী বলেন, পুলিশ প্রতিরাতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেতাদের গ্রেপ্তারের জন্য বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। শুক্রবার গোয়েন্দা পুলিশ স্থানীয় বিএনপির কাওয়ার হোসেন, গাছা অঞ্চলের ৩৫ ওয়ার্ডের ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদককে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও নেই। নেতা-কর্মীর বাসা-বাড়িতে পুলিশ তল্লাসির নামে পরিবারের সদস্য গালাগাল, ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ উদ্যোগে এইসব তল্লাশি চালাচ্ছে।
জানা গেছে, গাজীপুরে একতরফা নির্বাচন করতে পুলিশ গোটা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন একেবারেই নিরব, নিথর, নিশ্চল, চুপ হয়ে বসে আছে। বিএনপির পক্ষ থেকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের এই চক্রের হীন অনাচারমূলক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী। তিনি বলেন, এসব বিষয় প্রতিকার চেয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কোনো লাভ হয়নি। পুলিশ অভিযান-হয়রানি অব্যাহত রয়েছে। লেভেল প্ল্যায়িং ফিল্ডের যেকথা আমরা বলছি এটা এখন দূর আকাশের তারা। এই কমিশনের অধীনে কোনো এলাকায় নির্বাচনী মাঠ সমতল হওয়ার সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছে তাও কমিশন ‘ চোখে দেখছে না’ বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, কাশিমপুর ও কোনাবাড়িসহ সকল অঞ্চলে ২০ দলীয় জোটের সকল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাসা-বাড়িতে পুলিশ প্রতিদিনই হানা দিচ্ছে। বিশেষ করে নির্বাচন পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মী-সমর্থকদের তালিকা ধরে টার্গেট গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এতে নেতাকর্মীরা ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ নেতাকর্মীদের বাড়ির গেট ও দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে গ্রেফতার করছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কোন গ্রেফতারি পরোয়ানা নাই। তাদের মধ্যে কেউ কেউ রাজনৈতিক মিথ্যা অভিযোগে মামলার আসামী হলেও বর্তমানে জামিনে আছে। নির্বচন কমিশনকে লিখিতভাবে জানানোর পরও পুলিশের গ্রেফতার অভিযান এখনো অব্যাহত আছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজীপুরেও সরকার ‘খুলনা স্টাইলে’ একতরফা নির্বাচনের পায়তারা করছে। সরকার খুলনা স্টাইলে নির্বাচনের জন্যই পুলিশকে দিয়ে ধানের শীষের সমর্থক ভোটারদেরকে এলাকা ছাড়া করে সিটি কর্পোরেশন এলাকাকে শ্মশান ভুমিতে পরিণত করেছে। যাতে ভোটারবিহীন নির্বাচন সুচারুভাবে সম্পন্ন করা যায়। খুলনায় ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রেই ছিল সরকারি দলের একাধিক নির্বাচনী প্যান্ডেল। বিএনপি প্রার্থীর প্যান্ডেল খুব বেশি ছিল না। প্রত্যেক কেন্দ্রে স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি আশপাশের এলাকা থেকে আসা নেতাদের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকেরা গাড়ি ও মোটরসাইকেলে নৌকা প্রতীকের স্টিকার লাগিয়ে চলাচল করেছেন। গাজীপুরেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। এরই মধ্যে আশপাশের জেলা থেকে সরকার সমর্থিতরা গাজীপুরে এসে উপস্থিত হয়েছে। স্থানীয়রা এদেরকে কখনোই এলাকাতে দেখেননি বলে জানান।
নির্বাচনের পরিবেশের বিষয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, এখনো বহিরাগতরা এলাকাতেদ অবস্থান করছে। সরকারি দলের শীর্ষ নেতারা প্রচারণা চালাচ্ছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের হয়রানি ও গ্রেফতার অব্যঅহত আছে। তিনি বলেন, আমাদের এজেন্টদের আটকে রাখার চক্রান্ত করা হয়েছে। নির্বাচনের সময় আটকে রেখে তাদের কোনো কিছু করতে দেওয়া হবে না। তাদের নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। গাজীপুর ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা বলেন, খুলনা আর গাজীপুরের পরিবেশ এক না। এটা অনেক বড় সিটি কর্পোরেশন। এক প্রান্তে কিছু ঘটলে খবর পেলে যে কোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটে যেতে পারে। গাজীপুর বিএনপির সভাপতি ও হাসান উদ্দিন সরকারের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফজলুল হক মিলন বলেন সরকারি দলের হাজারো চাপের ভেতরেও ভোটের শেষ পর্যন্ত বিএনপি নেতা-কর্মীরা থাকবে। খুলনার মতো প্রহসনের চেষ্টা করা হলে গাজীপুরবাসী রুখে দাঁড়াবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সরকার ও ইসির জন্য এসিড টেস্ট। আমরা দেখবো এই নির্বাচনে তারা কী করে। খুলনার মতো যদি গাজীপুরেও নির্বাচন হয় তবে তার পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। এ নির্বাচন দেখেই আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো। তিনি বলেন, এই নির্বাচনের পরে আমরা চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেবো রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো কিনা। আমরা মনোনয়ন দেবো, সবকিছুই করবো। কিন্তু গাজীপুরের নির্বাচন দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।
Check Also
সাতক্ষীরা জেলা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
শাহ জাহান আলী মিটন, সাতক্ষীরা:সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১০ নভেম্বর) …